somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওফেলিয়া

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১.
একটা আদরের চিহ্ন রেখে গেলাম। পারতপক্ষে না রাখাটাই ভাল। ভুল যোজনে ভুল হয়ে যায়। ধর, আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামলো। তুমি নাম দিলে আষাঢ়। আমি গাণিতিক বিষয়াদিতে দূর্বল। তবুও উত্তর দক্ষিণ বরাবর আলম্বিত এক প্রায়ান্ধকার দিন দেখি।

২.
সমগ্রতা নিয়ে আছি। এই সব রোদ দুপুর সকাল বিকেল। কিভাবে কাটে সন্ধ্যা। বেঁচে থাকাটা নিদারুন আনন্দের। যদি থাকে ধরার মত একটি হাত। দেখার মত খোলা আকাশ। একটা রুপালী চাঁদ।

৩.
পাড় হয়ে যাচ্ছে নদী। আমার বাঁচার সাম্পান। হিয়ার করতলে বিস্মৃত গান। আঁখি পটে ভাসমান স্মৃতি। একদা আমার কবন্ধে ছিল রৌদ্র করটি।

৪.
বন্ধু তোর প্রতীক্ষায় পনের বছর। আমি ঘর হীন। বাহির বাড়ি বারান্দা। দ্বীন অদিন। বন্ধু তোর প্রতীক্ষায় বাড়ি ঘর ছাড়া। ঘর বাড়ি হীন। নির্বিঘ্নে কাটেনাতো দিন। কত দিন কত রাত, রাত হলো প্রভাত। বন্ধু তোর প্রতীক্ষায় পথ হলো পথিক, পথিক হলো পথ। তোর জন্যে জীবনের মানে বরাত।
বন্ধু আসল কিংবা নকল তুমি চিনোনি। অপেক্ষায় কে থাকে তা জানোনি। বন্ধু জীবন হলো যুদ্ধ। তোর জন্য পথ রুদ্ধ। এ পথিক হলো বৃদ্ধ তা দেখনি। বন্ধু আমায় ভাবোনি। বন্ধু প্রতীক্ষা বুঝনি।

৫.
এটা না হলে ওটা হবে
এক না হলে দুই হবে
প্রশ্ন হবে
উত্তর না হলে মাথা আঁচরাবে।

হবে, ঘর না হলে পর হবে
আপন না হলে পর হবে
এই যে লতা তার একটা ঠাঁই হবে
কোমল না হলে কালো হবে
রাত হবে, দিন হবে
ঋণ হবে কানাকড়ি
যাই হোক হবে কিছু
জেনে রেখো তোমাকে ছাড়া
হবে না কিচ্ছু।

৬.
শোন বেহালা
তোর কোলে
আজ আমাকে শুতে দিও
একটু না হয় ঘুমিয়ে নিবো।

দেখা হয় না জমজমাট এক গানের আসর
কত দিন যে, আগল পাগল কথা হয় না
বন্ধুরা সব কোথায় গেল
যাক না সবাই যে যার পথে
তোমার কোলে শুতে দিও।

শোন বেহালা পছন্দ ঐ এক চপলা
রাত বিরাতে কাটাতাম এক নদীর তীরে
না হলে এক পদ্ম ফোটা পুকুর পাড়ে
গান শোনাতো হাসনা হেনা
বকুল গাছে শিরশিরে এক
বাতাস বইতো।

শোন বেহালা তোর গানে আজ মাতাল হবো
ভুলে যাবো উত্তরে সব বেভুল গান
কেমনে বলি, সে যে মোর
আসা যাওয়ার পথের প্রাণ।

৭.
কি মনে করে একটা শব্দ লিখিনি। সেখানে একটি বিষাদময় বৃক্ষ জন্মেছে। আবহমান কাল ধরে ঝুলে আছে কৃষ্ণকায় ফল। শুধু একবার ডাকিনি বলে আর কেউ আসেনি।
ওফেলিয়া নামের মেয়েটি ছিল বিমর্ষ এক বৃক্ষ, বিষন্নতম ফুল। শুধু যারা জানতো তারাই তাকে ছুঁতে পেরেছে। মেয়েটি সহোদরের জীবন ভালবেসে পৃথিবী ত্যাগ করেছিল। নিজের জীবনের বিনিময়ে সে হয়েছিল ধরিত্রী রাণী। আজ আমার কবিতাগুলো ন্যুব্জ হয়ে তাকে কুর্নিশ করার উদ্দেশ্যে ধাবিত হচ্ছে। তারা ফলবান বৃক্ষ হতে চায়। বলতে চায় একটি শব্দ ভালবাসি।

৮.
সে দেখে গেল অযাচিত জীবন। তুমি বোধে রাখোনি তারে। হিয়ার করতলে কান্না জমে আছে। অশ্রুরা বিষাদ বিপন্ন। এ জীবন অসংলগ্ন। উপেক্ষায় জীবন পুড়ে ছাই। কাঠ কয়লায় নাইবা সিদ্ধ হলো সহজ উপাচ্য। তুমি পুড়ে পুড়ে অংগার।

৯.
গ্লাণিরা কখনো বলবে না আমি আছি। তারা আছে তোমার পিছে। তোমার মুমূর্ষতায় তারা জীবন্ত। জীবন মানে যুদ্ধ, পুরনো প্রলাপ। গ্লাণিরা পুরনো ও প্রকট।

১০.
হাজার বছর ধরে মনে করো অপেক্ষায় আছো। প্রাচীন ঐতিহ্যগতভাবে বিধ্বস্ত এক নগরী। কেউ কাউকে চিনলো না। অতীতের কথা কেইবা মনে রাখে। মনে করো আমিও ছিলাম না। কাকে মনে পড়বে তখন। তোমার সৃষ্টির সূত্র না সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টি সংকটে না ভূগে মনে করো কেউ তোমার শুশ্রূষায় ব্যস্ত। উত্তর ক্রম বিবর্ধিত হবে। আসল রহস্য সীমানায় প্রথিত।

১১.
আমি দেখতে চেয়েছি অসীম
তুমি দেখালে তর্জনী
ভ্রুকুটি করে কাটালে রজনী
মনে করলে কেনবা বিশালতা
আপাত সান্নিধ্যে কাটে যখন অপারগতা
সেরা সৃষ্টির সূত্র জানলেনা তুমি
ভূমি ও আকাশের মাঝে
আছে আর এক রণভূমি
ভালবেসে নাও শুধু তুমি
তুমি তুমি তুমি।


ছবি: নিজস্ব এ্যালবাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
৪৪টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডোডোগুলো না পারে কোন বিষয়ে লিখতে, না'পারে কমেন্ট করতে।

লিখেছেন জেনারেশন একাত্তর, ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৯



২০১৬ সাল থেকে আজ অবধি ১০০০ বারের বেশী আমাকে কমেন্টব্যান করেছে সামু। সামুটিমে যারা ছিলেন ও ব্লগিং করতেন, তাদের ১ জনও ব্লগার হিসেবে ভালো করেননি; অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হতেই হবে- 'হুজুরের মতে অমত কার'!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১০

( রাজনীতিবিদদের জন্য অগ্রীম সতর্কতাঃ এরা হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে এক হাত হারিয়ে হাসতে হাসতে বলে যখন,দেশের জন্য প্রয়োজন হলে আরেক হাত দিব- তখন কি আপনাদের মনে হয়; শুধু আলু পটোলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপির ভোট কিভাবে বাড়ানো যায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩



একটি নিরপেক্ষ সংস্থার জরিপ অনুযায়ী এখন বিএনপির ভোট ১৯% (প্রায়), জামায়াতের ভোট ১৬% (প্রায়), আওয়ামী লীগের ভোট ৯% (প্রায়), এনসিপির ভোট ৩% (প্রায়) সিদ্ধান্তহীন ভোট ৩০% (প্রায়), ভোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা কেমন আছেন?

লিখেছেন জেনারেশন একাত্তর, ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪



আমি আশা করছি, তিনি ভালো আছেন! কেহ কি জানেন উনি শারীরিকভাবে কেমন আছেন বর্তমানে? সর্বশেষ জেনেছিলাম (বছর খানেক আগে ) যে, উনি ভালো আছেন, চিকিৎসা চলছিলো। এরপর আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যাপিত জীবনঃ আমি আফগান হতে চাই।

লিখেছেন জাদিদ, ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০২

আজকে একটা পোস্ট চোখে পড়ল আফগানদের নিয়ে। সেখানে আফগানদের প্রশংসা করা করা হয়েছে। আফগানদের নিয়ে প্রশংসায় আমার কোন আপত্তি নেই তবে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ যে মনস্তত্বের কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×