somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিলুপ্তপ্রায় ভাষার ইতিকথা !!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে সব মাধ্যমগুলো রয়েছে তার মাঝে মুখের ভাষা সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। আর তাই নিজেদের মাঝে ভাব প্রকাশের নিমিত্তেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে ভাষা। আদিম জনগোষ্ঠী থেকে আধুনিক সমাজ আজন্ম লালন করে আসছে তাদের নিজস্ব ভাষাগুলোকে। তবে কবে থেকে মানুষ প্রথম কথা বলা শুরু করেছে কিংবা কখন এবং কিভাবে তৈরী হলো মানুষের ভাষা তার সঠিক দিন ক্ষন এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে অজানা। তবে প্রায় ৮০ লক্ষ বছর আছে আফ্রিকার কিছু জঙ্গলে বাস করতো এপ-জাতীয় এক প্রজাতি। আর এই এপ প্রজাতির মধ্যেই শিম্পাঞ্জী এবং আধুনিক মানুষের পুর্ব পুরুষ ছিলো। এরা সম্ভবত দেখতে ছিলো বর্তমান গরিলাদের মতো। এরা মূলত গাছে গাছে বসবাস করতো এবং চার পায়ে হাটত। তার নিজেদের মাঝে কিছু সংখ্যক ডাকের মাধ্যমে নিজেদের ভিতর ভাব প্রকাশ করতো। আর বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ২০ লক্ষ বছর আছে মানুষের আদি পুর্ব পুরুষটি শিম্পাঞ্জির পুর্ব পুরুষ থেকে আলাদা হয়ে যায়। আর বিবর্তনের পথে আস্তে আস্তে আধুনিক মানুষের রুপান্তরিত হয়ে উঠে। নিয়ান্ডারথাল মানুষ প্রথম কথা বলা শুরু করে। আর তাও প্রায় ৩ লাখ বছর আগের ঘটনা। এর সাথে সাথে মানুষের ভাব প্রকাশের ক্রমবিকাশের ফলে আজকের আধুনিক ভাষার উৎপত্তি ঘটে। আর তাই ভাষা প্রতিটি সমাজের এবং দেশের সংস্কৃতি আচার আচরন এবং ইতিহাসকে বহন করে। বর্তমান বিজ্ঞানের আধুনিকায়নের ফলে ন্‌বিজ্ঞান এবং প্রত্নবিজ্ঞানের গবেষনা হতে এটা স্পষ্ট প্রমানিত হয়। সমাজ এবং মানুষের বিবর্তনের সাথে সাথে ভাষার বিবর্তন ঘটেছে এবং ঘটছে সবসময়। এই বিবর্তন এতো ধীর গতিতে ঘটে যে আপাতদৃষ্টিতে তা বোঝা যায় না। এই পরিবর্তন বুঝতে হলে অপেক্ষা করতে হয় কয়েক’শ কিংবা হাজার বছর।

মানব প্রজাতির বিকাশের সাথে সাথে ভাষার উৎপত্তি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবার এর পাশাপাশি আদি সমাজের বিলুপ্তির সাথে সাথে অনেক ভাষার মৃত্যু অর্থাৎ হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে। বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিলুপ্তির ফলে সাথে সাথে তাদের নিজস্ব ভাষাও সহজেই হারিয়ে যায়। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে তাল মেলাতে মাতৃভাষা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে অনেক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তাই ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে অনেক ভাষা। অনেক ভাষা আবার হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভাষা নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। তাদের মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে ছয় হাজার ৭০০টি ভাষা আছে। বর্তমান শতকের মধ্যে এর অর্ধেকই হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির মতে, প্রতি ১৪ দিনে একটি করে ভাষার মৃত্যু ঘটছে। অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে এ বিলোপের মাত্রা বেশী।আমরা চাইনা আমাদের ভাষা হারিয়ে যাক। কারন একটি ভাষার সাথে জড়িয়ে আছে একটি জাতির আদি ইতিহাস। একটি ভাষার মৃত্যু মানে একটি জাতির ইতিহাস হারিয়ে যাওয়া।

The death of the last speaker of an ancient language in India's Andaman Islands highlights the fact that half of the world's 7,000 languages are in danger of disappearing. Linguist K David Harrison argues that we still have much to learn from vanishing languages. সূত্র : http://news.bbc.co.uk/2/hi/8500108.stm

হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে এমন ভাষাগুলোর একটি মানচিত্র তৈরি করেছে ইউনেস্কো। এ বছর প্রকাশ করা হবে এর তৃতীয় সংস্করণ। এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ওই মানচিত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তৃতীয় সংস্করণের জন্য ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। মানচিত্রটি এখনো ছাপা হয়নি। তবে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দুই হাজার ৫৮০টি ভাষাকে 'বিপদগ্রস্ত' হিসেবে উল্লেখ করেছে ইউনেস্কো। ঝুঁকির পাঁচটি মাত্রায় এসব ভাষার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।ইউনেস্কোর তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি ভাষা হারানোর শঙ্কায় রয়েছে ভারত। প্রকাশিতব্য মানচিত্রে ভারতের ১৯৬টি ভাষাকে বিপদগ্রস্ত উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশ থেকেই শতাধিক ভাষা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশেরও পাঁচটি ভাষাকে বিপদগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউনেস্কোর হিসাবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব থেকে হারিয়ে গেছে ২২৯টি ভাষা। এ ছাড়া শিগগির বিদায় নেবে আরো অন্তত ৫০০ ভাষা। কারণ, এসব ভাষায় কথা বলার মতো মানুষ বেঁচে আছে মাত্র ১০০ জন। ১০ জনেরও কম মানুষ ব্যবহার করে ২০৪টি ভাষা।

Dr. Harrison said, is that speakers and writers of the 83 languages with “global” influence now account for 80 percent of the world population. Most of the thousands of other languages now face extinction at a rate, the researchers said, that exceeds that of birds, mammals, fish or plants. সূত্রঃ Click This Link

যে সমস্ত ভাষা বিপদে রয়েছে তাদের অবস্থান দেখানো একটি ইন্টারএ্যাকটিভ বা সক্রিয় মানচিত্রে দেখাচ্ছে পৃথিবীতে ২৫০০ থেকে প্রায় ৬০০০ ভাষা বিপদে রয়েছে। এই মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশন সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) নামের সংস্থা।


যে সমস্ত ভাষা বিপদের মধ্যে রয়েছে সে সমস্ত ভাষা নিয়ে তৈরী ইউনেস্কোর ম্যাপ।

ভাষাতাত্তি্বকরা বলছেন, যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে অনেক গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্ম মাতৃভাষা ব্যবহার করতে চায় না। ফলে পুরনো প্রজন্মের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মরে যায় ওই গোষ্ঠীর মাতৃভাষা। চলতি মাসেই ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বোয়া সিনিয়র নামে এক নারীর মৃত্যুর সঙ্গে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে 'বো' ভাষা। ৬৫ হাজার বছর বয়সী 'বো' ভাষায় কথা বলার মতো আর কেউ বেঁচে নেই পৃথিবীতে। একই ভাবে ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার ম্যারি স্মিথ জোনসের মৃত্যুর সঙ্গে চিরতরে হারিয়ে গেছে 'ইয়াক' ভাষা। এ ছাড়া ক্যামেরুনের 'বিকিয়া' ভাষা এবং অ্যারিজোনার 'কেমেহুয়েভি' ও 'আমুরদাগ' ভাষা ব্যবহারকারী মাত্র একজন করে মানুষ বেঁচে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের 'লিপান আপাশে' ভাষার দুজন, কলম্বিয়ার 'তোতোরো' ভাষার চারজন ও দক্ষিণ আফ্রিকার 'নিও' ভাষায় কথা বলা আটজন মানুষ বেঁচে আছেন। নিজের ভাষায় কথা বলার মানুষ না থাকায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন একমাত্র কেমেহুয়েভি ভাষী জনি হিল। তিনি বলেন, 'এখন নিজের সঙ্গেই কথা বলি আমি।'
এসব ভাষা হারিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে একেকটি যুগের বিদায় ঘটবে বলে মন্তব্য ভাষাতাত্তি্বকদের। ফরাসি ভাষাবিদ ক্লদ হেগেগ বলেন, 'ভাষা কেবল কয়েকটি শব্দের সমষ্টি নয়, প্রতিটি ভাষাই জীবন্তভাবে উপস্থিত থাকে সমাজ। ভাষার বিলুপ্তির মাধ্যমে আমরা যা হারাচ্ছি, তা অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।' যুক্তরাষ্ট্রের ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক কে ডেভিড হ্যারিসন বলেন, 'ভাষার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মানুষের সংস্কৃতি ও দর্শন। একটি সমাজের প্রবাদ, বিশ্বাস ও উপকথার প্রতিফলন থাকে ভাষায়। তাই ভাষার মৃত্যু হলে বিশাল জ্ঞানের ক্ষেত্র হারিয়ে যায়।' তিনি বলেন, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই। ভাষার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সম্পদ হারিয়ে যায়। বিশ্বের বৈচিত্র্য বজায় রাখার স্বার্থে ছোট-বড় সব ভাষাকেই বাঁচিয়ে রাখার দাবি জানান হ্যারিসন।
ভাষার বিলুপ্তি রোধে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে অনেক সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রের এথনোলগ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ ভাষাগুলো সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। সংস্থাটির মতে, বর্তমানে বিশ্বে ছয় হাজার ৯০৯টি ভাষা টিকে আছে। লিঙ্গুইস্টিক সোসাইটি অব আমেরিকাও ভাষা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কাজ করছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে ইউনেস্কো। বিপদগ্রস্ত ভাষা বাঁচানোর জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছে সংস্থাটি। বিশ্বজুড়ে বিপদগ্রস্ত ভাষাগুলোকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে ইউনেস্কো। এ বছরের 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ভাষা রক্ষার জন্য অনুবাদ, বহুভাষিতা ও বিদেশি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা। সূত্র : ইউনেস্কো ওয়েবসাইট, বিবিসি অনলাইন ও নিউইয়র্ক টাইমস।

কেউ চাইলে যেসব ভাষাগুলো আজ বিলুপ্তির তার পুরো একটি তালিকা এইখান থেকে ডাইনলোড করে দেখতে পারেন

Language death may manifest itself in one of the following ways:
gradual language death
bottom-to-top language death: when language change begins in a low level environment such as the home.
top-to-bottom language death: when language change begins in a high level environment such as the government.
radical language death
linguicide (Also known as sudden death, language by genocide, physical language death, biological language death) সূত্র : Click This Link

বর্তমান সময়ে পৃথিবীর দেশে দেশে দেখা দিয়েছে নতুন এক প্রবণতা। রাজনৈতিক অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ভাষাগুলো উন্নত কোনো ভাষার বর্ণমালা দিয়ে লেখার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও গড়ে উঠেছিল এ প্রবণতার প্রেক্ষাপটে। আরবি, উর্দু বা রোমান হরফে বাংলা লেখার সে ঔপনিবেশিক প্রয়াস সালাম-রফিক-বরকতরা বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিহত করেছিল। কিন্তু সব দেশের পক্ষে, সব ভাষার ক্ষেত্রে এমনটা সব সময় আশা করা যায় না। ফলে আঞ্চলিক অনেক ভাষার বর্ণমালা ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে, মরে যাচ্ছে প্রাচীন ভাষাগুলো। সূত্র: http://arts.bdnews24.com/?p=3455

সারা পৃথিবীতে যে সব ভাষাগুলো আজ বিলুপ্তির পথে এখানে তার একটি তালিকা দেয়া হলো।

এখানে বিপুপ্তিপ্রায় ভাষা গুলো সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। ইউনেস্কো বিলুপ্তপ্রায় ভাষা গুলো নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছে। আশা করি ওদের ওয়েবসাইডে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।

ইগ্লেসিয়া ডেসকালজা একজন গ্রন্থাগারিক এবং ব্লগার: “"ভাষাকে ভালোবাসে এ রকম একজন হিসেবে আমি ইউনেস্কো থেকে আসা এই সংবাদে হতাশ। এই মানচিত্রে বিপদে পড়া কিছু ভাষা রয়েছে যা একদিন হয়ত হারিয়ে যাবে। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে (২১ ফেব্রুয়ারী) এই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এই মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীতে প্রায় ২০০টির মতো ভাষায় রয়েছে যে সব ভাষায় মাত্র ১০ জনের কম লোক কথা বলে। আবার মানচিত্রে ১৭৮টি ভাষা রয়েছে যে সব ভাষায় ১০ থেকে ৫০ জন মাত্র মানুষ কথা বলে।
এই সমস্ত তথ্য আমাদের জানাচ্ছে ৬০০০ এর মতো যে ভাষা এখনও টিকে আছে তার বাইরে প্রায় ২০০টিরও বেশী ভাষা মারা গেছে। এই ভাষাগুলো মারা গেছে গত শেষ তিন প্রজন্মের মধ্যে। এখন ৫৩৮টি ভাষা বিপদজনকভাবে বিপদগ্রস্ত। ৫০২টি ভাষার অবস্থা খুবই খারাপ। এখনও টিকে থাকা ৬৩২ টি ভাষাকে বলা যায় নিশ্চতভাবে বিপদের মধ্যে রয়েছে। এখনও ৬০৭ টি ভাষা নিরাপদ অবস্থায় নেই।
যখন কোন ভাষায় কথা বলা শেষ ব্যাক্তিটি মারা যায় তখন ভাষাটিও পৃথিবীতে মৃত হয়ে যায়। আইল অফ ম্যান নামের একটি এলাকার ভাষা মানক্স হারিয়ে হয়ে যায় ১৯৭৪ সালে। কারণ এ বছরই এই ভাষায় কথা বলা শেষ ব্যাক্তি নেড ম্যাডরেল মারা যায়। একই ভাবে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রদেশ আলাস্কার আইক নামের ভাষাটিও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় যখন গত বছর মারিয়া স্মিথ জোনস মৃত্যুবরন করেন। তিনিই ছিলেন এই ভাষায় কথা বলা শেষ ব্যক্তি।
আমাদের জীব বৈচিত্র, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, বর্ণবৈচিত্র এবং ভাষাবৈচিত্রকে মূল্য দিতে হবে। কারণ আমরা আমাদের পৃথিবী থেকে আমরা অনেক বেশী কিছু হারিয়ে ফেলেছি। আর এই ঘটনাটি আমরা ঘটিয়েছি একক একটি অংশ হতে গিয়ে, একটি মোটা, সাদা, ইংলিশভাষী সমাজ হতে গিয়ে, এর ফলে আমরা আমাদের বৈচিত্র হারিয়ে ফেলেছি"”।

এই রকম তথ্যমূলক আলোচনার পরিশেষে বলা যায়, ভাষা মূলত মানুষের ভাব প্রকাশের জন্য সৃষ্টি হলেও তা একটি সমাজের কিংবা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। আর তাই অনেক ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে এবং বর্তমান সময়ে অনেক ভাষা চিরতরে হারিয়ে গেছে। আর এই ভাষার সাথে সাথে হারিয়ে গেছে সেই সব জনগোষ্ঠির আচার আচরন তাদের জীবন পদ্ধতির ইতিহাস। ভাষাকে বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। আর তাই মানব ইতিহাসকে সঠিক ভাবে বাচিয়ে রাখতে হলে ভাষাগুলোকে সংরক্ষন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আর তাই সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই প্রতিটি ভাষা আমাদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকুক। ধন্যবাদ সবাইকে।

( এই লেখাটি একটি তথ্যভিত্তিক লেখা আর তাই অনেক ওয়েবসাইড থেকে তথ্যগুলোকে একত্রিত করে এই পোস্টটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে )

সূত্র :

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-02-03/news/221588
http://www.samakal.com.bd/print_news.php?news_id=100883&pub_no=486 http://www.dailykalerkantho.com/print_news.php?pub_no=84&cat_id=1&menu_id=60&news_type_id=1&index=10
http://bn.globalvoicesonline.org/2009/02/25/1684/ http://www.bdreport24.com/archives/32684
http://www.nytimes.com/2007/09/18/world/18cnd-language.html http://news.bbc.co.uk/2/hi/8500108.stm
http://www.guardian.co.uk/news/datablog/2011/apr/15/language-extinct-endangered
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×