জুন মাসের শেষ দিকটা এবং জুলাই মাসের অর্ধেকের বেশি প্রায় অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে কেটে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার রাজনীতি। অস্থিরতার মূল কারণ হচ্ছে একটি ভিডিও ক্লিপ।
তুন ডাক্তার মাহাথির মোহামাদ
কে বা কারা একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়। এটা একটি অ্যাডাল্ট ভিডিও ক্লিপ। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, ভিডিও ক্লিপটিতে মাহাথির সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী দাতুক সেরি আজমিন আলীর এর সাথে অন্য একটি লোকের আপত্তিকর বাজে দৃশ্যসম্বলিত ভিডিও। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো গরম হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক মাঠ হয়ে পড়ে অস্থির।
মন্ত্রী দাতুক সেরি আজমিন আলী
মিস্টার আজমিন আলী ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক দল পিকেআর এর অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। 2018 সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি মালয়েশিয়ার অন্যতম প্রদেশ সেলাঙ্গরের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে মাহাথির মোহামাদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পরে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। তিনি এক জন জনপ্রিয় ও ক্যারিশমাটিক নেতা। পার্টিতে আনোয়ার ইব্রাহিম এর পরেই তাঁর স্থান। ধরেই নেয়া যায় যে, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল।
অপেক্ষমান প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম
ভিডিওটি নিয়ে যখন সারাদেশে তুমুল আলোচনা আর নানান ধরনের ফিসফিস সমালোচনা তখন মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী তুন মাহাথির। তিনি বলেন যে, আজমিন আলী এতটা স্টুপিড নন। তাঁকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাঁরই কিছু প্রতিপক্ষ।
প্রাইম মিনিস্টার - ইন ওয়েটিং দাতুক সেরি আনোয়ার। ইব্রাহিম বলেন, দোষী হলে আজমিনা আলী পদত্যাগ করুক। আজমিন আলী তাঁকে বললেন, আপনি আয়নার দিকে তাকান।
প্রধানমন্ত্রীর পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার দায়িত্ব দিলেন পুলিশের আইজিপি কে। আইজিপি তাঁর দীর্ঘ তদন্ত শেষে রিপোর্ট দিয়েছেন যে , পুরো বিষয়টি বানোয়াট এবং আজমিন আলীকে বিপদে ফেলার জন্য এটা করা হয়েছে।
আপাতত ধরে নেওয়া যায় যে, এই স্পর্শ কাতর বিষয়টির এখানেই সমাপ্তি হয়ে যাবে। কেননা, এই ধরনের একটি অপবাদ এর জন্য আনোয়ার ইব্রাহিমকে জেল খাটতে হয়েছিল।
আমি মোটামুটি সংক্ষেপে ঘটনাটি বললাম। কিন্তু ঘটনাটি আসলে এতো সংক্ষেপ ছিল না। প্রতি দিন পত্রিকা লিড নিউজ হিসেবে ছাপা হতো এই ক্লিপের নানান ঘটনা। পুরো বিষয়টি মাহাথির সরকারের জন্য অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫