প্রায় এক বছর পর আজ অনেকগুলি রক্তের টেস্ট করাতে হলো। টেস্ট করানোটা আজ কাল অনেক সহজ হয়ে গেছে। ডাক্তারের সহকারি ছাপানো একটি ফরমে কটকট করে টিক চিহ্ন দিয়ে দেয়।
তারপর সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট প্যাথলজি সেন্টারে গেলে একটা কমেন্ট করে অনেকগুলো টিক চিহ্ন দিয়ে দেয় তারপর ওই ধরনের আধুনিক প্যাথলজি সেন্টারে গেলেই বাহুতে মোটা একটি সূচ ঢুকিয়ে দিয়ে পর পর কয়েক বোতল রক্ত নিয়ে নেয়।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই রক্ত গুলির প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা তারা করে না। এত প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো যথেষ্ট যোগ্য এবং অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান ও তাদের নেই। তারা তাদের কম্পিউটার থেকে ছাপানো প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট প্রিন্ট করে বের করে যথাসময়ে রোগীর হাতে ধরিয়ে দেয়। রোগীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা বোতল বোতল রক্ত তারা বাথরুমে ফেলে দেয়।
এভাবেই চলছে আমাদের দেশের আধুনিক প্যাথলজিক্যাল সেন্টারগুলো। সেন্টারগুলো থেকে প্রচুর কমিশন পায় ডাক্তার সাহেব রা।
এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তিনি যত বড় চিকিৎসক হোন না কেন সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য তাকে নির্ভর করতে হবে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এর রিপোর্ট ও অন্যান্য ডায়াগনোষ্টিক রিপোর্টের উপর। সেই রিপোর্ট যারা বানাবেন অর্থাৎ যারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো করবেন তাদেরকে অবশ্যই যোগ্য দক্ষ-মেধাবী তো হতে হবে।
যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় তারা মেধাবী বলে পরিচিত। কিন্তু যারা মেধাবী তারা কি মেডিকেল প্যাথলজি বা অন্যান্য ডায়াগনোস্টিক শেখার জন্য কোর্স করতে যায় তারা কি আসলেই মেধাবী ?
তারা যদি মেধাবী ও হয় তারপরেও বিবেকবান দায়িত্ববান ন্যায়নিষ্ঠ সত্যবাদী এই সমস্ত গুণাবলী তাদের আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই আপনার রিপোর্ট বের করে দিবে আর অজস্র টাকা কামাবে। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভুল রোগ নির্ণয় করবেন । পুরো ক্ষতিটা হবে রোগীদের ই।
গত কাল রাতে আমার এক বাংলাদেশি বন্ধুর সাথে আলাপ করে এই জাতীয় জিনিস গুলো জানতে পারলাম । যদিও আমি আগেই এই জাতীয় রিপোর্টের বহু গল্প শুনেছি।
আসুন, আমরা সবাই সত্যবাদী হই । নীতিবান হই। বিবেকবান হই । অন্যের প্রতি সহমর্মী হই । যার যার কাজ করি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ।আন্তরিকতা দিয়ে মানবতাবোধের দরদ দিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬