somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আধুনিক প্যাথলজি সেন্টার

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রায় এক বছর পর আজ অনেকগুলি রক্তের টেস্ট করাতে হলো। টেস্ট করানোটা আজ কাল অনেক সহজ হয়ে গেছে। ডাক্তারের সহকারি ছাপানো একটি ফরমে কটকট করে টিক চিহ্ন দিয়ে দেয়।

তারপর সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট প্যাথলজি সেন্টারে গেলে একটা কমেন্ট করে অনেকগুলো টিক চিহ্ন দিয়ে দেয় তারপর ওই ধরনের আধুনিক প্যাথলজি সেন্টারে গেলেই বাহুতে মোটা একটি সূচ ঢুকিয়ে দিয়ে পর পর কয়েক বোতল রক্ত নিয়ে নেয়।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই রক্ত গুলির প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা তারা করে না। এত প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো যথেষ্ট যোগ্য এবং অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান ও তাদের নেই। তারা তাদের কম্পিউটার থেকে ছাপানো প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট প্রিন্ট করে বের করে যথাসময়ে রোগীর হাতে ধরিয়ে দেয়। রোগীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা বোতল বোতল রক্ত তারা বাথরুমে ফেলে দেয়।

এভাবেই চলছে আমাদের দেশের আধুনিক প্যাথলজিক্যাল সেন্টারগুলো। সেন্টারগুলো থেকে প্রচুর কমিশন পায় ডাক্তার সাহেব রা।

এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তিনি যত বড় চিকিৎসক হোন না কেন সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য তাকে নির্ভর করতে হবে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এর রিপোর্ট ও অন্যান্য ডায়াগনোষ্টিক রিপোর্টের উপর। সেই রিপোর্ট যারা বানাবেন অর্থাৎ যারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো করবেন তাদেরকে অবশ্যই যোগ্য দক্ষ-মেধাবী তো হতে হবে।

যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয় তারা মেধাবী বলে পরিচিত। কিন্তু যারা মেধাবী তারা কি মেডিকেল প্যাথলজি বা অন্যান্য ডায়াগনোস্টিক শেখার জন্য কোর্স করতে যায় তারা কি আসলেই মেধাবী ?

তারা যদি মেধাবী ও হয় তারপরেও বিবেকবান দায়িত্ববান ন্যায়নিষ্ঠ সত্যবাদী এই সমস্ত গুণাবলী তাদের আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই আপনার রিপোর্ট বের করে দিবে আর অজস্র টাকা কামাবে। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভুল রোগ নির্ণয় করবেন । পুরো ক্ষতিটা হবে রোগীদের ই।

গত কাল রাতে আমার এক বাংলাদেশি বন্ধুর সাথে আলাপ করে এই জাতীয় জিনিস গুলো জানতে পারলাম । যদিও আমি আগেই এই জাতীয় রিপোর্টের বহু গল্প শুনেছি।

আসুন, আমরা সবাই সত্যবাদী হই । নীতিবান হই। বিবেকবান হই । অন্যের প্রতি সহমর্মী হই । যার যার কাজ করি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ।আন্তরিকতা দিয়ে মানবতাবোধের দরদ দিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬
১১টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×