মালয়েশিয়াতে কভিড নাইনটিন এর কারণে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ বা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বহাল করা হয় ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে। এরপর ধাপে ধাপে তার মেয়াদ বাড়ানো হয় । সর্বশেষ গত কাল এই মেয়াদ বৃদ্ধি করে একত্রিশে ডিসেম্বর 2020 পর্যন্ত করা হয়েছে।
চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ, এটাকে সাধারণ মানুষ লকডাউন নামে অভিহিত করে থাকে। প্রথমদিকে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের সময় ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর উপায় ছিল না প্রচুর ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হতো। মালয়েশিয়াতে সংক্রমণের হার খুবই কম। এখানে এখন যে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বহাল আছে তাকে বলা হয় রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার। চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ বহাল থাকার সময় মানুষজন সভাপতি ঘরের বাইরে যেতে পারে না ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার ও বেশি হয়।
এখানে প্রতি মাসে যথাসময়ে বিদ্যুতের বিল বাসায় দিয়ে যায়। কিন্তু চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের সময় প্রথম তিন মাসে কোন বিদ্যুতের বিল না পেয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম ।
কোনো না কোনো কারণে বিদ্যুতের বিল বকেয়া হয়ে গেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তাহলে খুবই বিপদে পড়ে যাব।
ঠিক তখনই সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম সরকার বিদ্যুতের বিল কমিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে এ কারণে বিদ্যুতের বিল আসতে দেরি হচ্ছে।
এরই মধ্যে গতকাল বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ বিলের নতুন কপি এসেছে। আমি পুরোটা বুঝতে না পেরে
তারা তা লিখেছে সেটাই পরিশোধ করে দেই। গতকাল দেখি আর একটি বিল এসেছে সেখানে আমার বিদ্যুৎ বিল এসেছে -173 রিংগিত!
তার মনে আমাকে আগামী মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলেও চলবে। কেননা ইতিমধ্যেই আমার হিসাবে 173 রিঙ্গিত অতিরিক্ত জমা হয়ে গেছে।
মালয়েশিয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পহেলা এপ্রিল থেকে একত্রিশে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে এটা বিশেষ করে আবার সিম ব্যবহারকারীদের জন্য।
যেসব আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী বিদ্যুতের ব্যবহার দুই শত ইউনিট এর মধ্যে সীমিত রাখতে পারবে তাদের বিল প্রচলিত সময়ের চেয়ে 50% কম নেয়া হবে।
এছাড়া রয়েছে আরও অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা । কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিল একেবারে ও মাফ করে দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩০