মিহি মায়ার চাদর জড়িয়ে কুয়াশায়
একজোড়া অলৌকিক খেজুর গাছ-
অমৃতের কলসী হাতে-
অনাদিকাল থেকে অপেক্ষমাণ ।
সবুজ সুখের ডগায়
জ্বলজ্বল চোখে-এক বিন্দু অশ্রু
অন্তর্ধানের ঠিক আগে- অপেক্ষায় আছে।
প্রায়ান্ধকারে টুপটাপ ঝরে পড়ে
অপার্থিব গাবের কুসুম,
হাস্নাহেনার ঝোপ পেঁচিয়ে অন্ধকারে
একটি পয়মন্ত বাস্তুসাপ,
গাঁদা অরণ্যে কিশোরী জ্যোৎস্না-
নির্ঘুম বসে আছে আমার জন্যে ।
বাঁধ ভেঙে গেলে প্রবল বেগে জনপদে
ঢুকে পড়ে জলজ উচ্ছাস,
বিপদজ্জনকভাবে অপেক্ষা করে -
জ্বলন্ত দাওয়ায় অন্ধ বাউলের মত
অপরিনামদর্শী আমার জন্যে।
শৈলদহের কোল ঘেঁসে
অজানার দিকে হেঁটে যাওয়া পথ -
প্রতীক্ষায় তিতিবিরক্ত হয়ে
রোজ রাতে হানা দেয় স্বপ্নে।
হামাগুড়ি দেওয়া দেবশিশু
একটি উঠোন, ধানের মলন,
পায়ের নীচে মায়াবতী মাটি-
একটি সমাধি -
অপেক্ষা করে আমার জন্যে ।
উদ্ধত ফণা তুলে ডাকে অথৈ সাগর,
পিঙ্গল বিষাদ ভুলে ডাকে অরন্য ,
নিশ্চল পাহাড়, গুহার নির্বিঘ্নতায় ঈশ্বর -
অন্য কোন ঘ্রাণ, দীর্ঘতম সিঁড়ি,
অগ্নিদগ্ধ করতলে অনন্ত নির্বাণ
অপেক্ষায় মুহ্যমান ।
নিরাময় বোঝাই জাহাজগুলোকেও
উপেক্ষার পাহাড়চূড়ায় অপেক্ষমান রেখে
ঝাপসা চোখ মেলে আমি-
সোনামুখী সুঁই দিয়ে জোড়া দিচ্ছি
অপেক্ষায় ছিন্নভিন্ন বুকের জমিন -
বস্তুত: আমিও অপেক্ষা করছি আমার জন্য ।
_________
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২