তুমি মনের বনে প্রেমের অভিধান
___________________________
দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে,
আমি ঘোষণা দিতে পারি
তুমিই শেখালে,
এই আমাকে সব প্রেমের নির্ভুল ব্যাকরণ,
প্রিয়তমাগো,
তুমি আমার সকল ভালোবাসার— প্রথম আতুর ঘর,
তোমার প্রেমে পড়েছি বলে
বুঝে গেছি আমি— প্রকৃত দেশপ্রেম ,
কতটা নিবেদিত, কেমন প্রগাঢ় হতে পারে?
আমি শেকড়ের সন্ধানে দেশ থেকে দেশান্তরে
যেন এক যাযাবর পাখি,
তুমিই শেখালে প্রেম —আগুন পানি মাটি।
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখতে গিয়ে
মনের অজান্তেই যেন হয়ে যায় প্রেম
সুপ্রিয় মাতৃভাষা বাংলার, শব্দের অন্বেষণে।
তোমাকে রক্ষার দৃপ্ত শপথে রপ্ত করেছি
দেশ রক্ষার সকল রক্ষাকবজ আনমনে।
প্রয়োজনে কেমন করে অকাতরে নিজেকে
বিলিয়ে দিতে হয়,
জননীর প্রকৃত শাশ্বত রূপ আমার তোমার কাছ
থেকেই শেখা।
তুমি না এলে জীবনে স্নেহময়ী জননীর
সিকি আনাও বুঝা যেন হতো না।
মায়ের প্রতি আমার যে ভালোবাসা
সে প্রকৃত অর্থেই তোমার কল্যাণে,
তেমন করেই বাবার ভালোবাসার
পরিপূর্ণ রূপ বাবা না হলে
হতো না জানা____ কোনদিন,
তুমি শেখালে তাই
আমি আজ নিরবে নিভৃতে বয়ে বেড়াই
দেবতুল্য আমার পিতৃঋণ।
এমন করে ভাইবোন আর যত আপনজন
তুমি না এলে হতো না জানা— ষোল আনা।
তুমি যেন এক ঈশ্বর,
আমাকে নতুন করে চেনালে
যত ভালোবাসা আছে তার সব।
তোমার প্রেম তাই সব রকম ভালবাসা শেখার
হাতে খড়ি যেন,
তুমি না এলে এই জীবনে হতো না তা জানা
সোনার মেয়েগো তোমার প্রেম তাই সর্বাগ্রে
এ কথা নির্দ্বীধায় আমি বলতে পারি,
যা বলে বলুক লোকে,
তুমিইতো বাকি সব প্রেমের ব্যাকরণ
হাতে কলমে যেন শেখালে আমাকে।
তুমি তাই আমার কাছে প্রেমের এক অকাট্য অভিধান
তোমার দাবি তাই সর্বাগ্রে
কবিতা লিখে লিখে তাই করি ওগো তোমার গুনগান
তোমার উপরে আর কোন প্রেম হতেই পারে না!!
তুমিই তাই সবার উপরে এই জীবনে
মধুর বসন্ত বাতায়নে, অঘোর বর্ষায়
শরতে— শীতে— গ্রীষ্মের খরতাপে
আমের বনে কাঁঠাল চাঁপার ঘ্রাণে,
তোমার স্পর্শে আমি পাই অনন্ত যৌবন— প্রেমের উন্মাদনা।
তুমিও যেন ষোড়শি বালিকা, শিমুল ফোঁটা
পলাশ ফোঁটা বসন্ত হয়ে ওঠো তুমি তাই আরাধনা
আমার কবিতায়!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮