আজিকে আমি রিকশা যাত্রি হলেও—
হেঁটেছি বিস্তর পথ,
রিকশায় চড়ে ঘরের বাইরে
বেইলী রোড থেকে শান্তি নগরে
কাকরাইল মোড় বিজয়নগর মগবাজার মৌচাক অতঃপর
দেখা হলো বিশৃঙ্খল এক নগর
যেন পঙ্গপালের মতো মানুষ ঝাঁকে ঝাঁকে চলছে
কাটছে সময় মৃত্যুর ছায়া মাথায় আড্ডারত কাণ্ড জ্ঞান শূন্য।
কেউ যেন মানছে না আইন
মাস্ক নেই মুখে, তবুও যে হচ্ছে না ফাইন।
আশি বছরের এক বৃদ্ধ মৌচাকের গলিতে নির্ভয়ে দিচ্ছে সুখটান।
যেন করোনাতঙ্ক বলে কিছু আর নেই
যা আছে তা হলো কিছু বুভুক্ষু আর অর্ধনগ্ন মানুষের,
অসহায় আকূতি; অন্ন নেই বস্ত্র নেই ..
যদিও সংখ্যায় তারা নগন্য পঙ্গপালের তুলনায়।
অনেকের মুখে মাস্ক, কতকের মাস্ক সমেত শিল্ড
মাথা আবৃত, কতকের পরণে পিপিই—
কতকের মুখে ফেনা ওঠে গেছে কথা বলে বলে
মাস্ক বিহীন।
অবশেষে যেন তাদের জীবন ধন্য হলো
বদ্ধ ঘরে শ্বাস রূদ্ধ অবস্থার অবসানে।
মানুষ চলছে ছুটে এলোপাথাড়ি
তবে বেড়েছে জীবনের গতি
কতকের হয়েছে সুমতি
তবুও অনেকের হয়নি রয়ে গেছে আনাড়ি।
গলাকাটা দামে চলছে পণ্য বিক্রি
আমিও মৌমাছির মত সংগ্রহ করেছি
জীবনের উপকরণ ;
তোমার আমার অপার সম্ভাবনার সমীকরণ
তুমি ও সঙ্গী ছিলে তাই
আমি ঘুরেছি ঢাকা শহরে অনেক ক্ষণ হেঁটে হেঁটে
আমি যতক্ষন হেঁটেছি তুমি যেন স্পষ্টতর হয়ে ওঠেছো
মম স্মৃতির মানসপটে
তুমি কেমন আছো, কি করছো? এসব বৃত্তান্ত
সঙ্গী করেই আমার পথচলা;
যেন সেই সুদীর্ঘ কাল থেকে তুমি সঙ্গী আমার
করোনার পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়
আমাদের প্রেম যেন আরও প্রগাঢ় হলো
যদিও মৃত্যু স্কন্ধে যেন ফেলে শ্বাস
স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলায় শহরের আনাচে কানাচে
তবুও মৃত্যু নিয়ে ভাবিনা আর
আমাদের মিথোজীবিতা সমৃদ্ধতর হয়
স্রষ্টার অলৌকিক ইশারায় আশীর্বাদে
জানি যমদূত ঘুরে বেড়ায় এই নির্বোধ নগরে
মরণ উপত্যকায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতির প্রশ্রয়ে
মৃত্যু হতে পারে খুব সন্নিকটে
তবুও তা হতে পারে
তোমার আমার দাম্পত্যের বহুদিন পর।
তোমার আমার প্রেম— তীব্র করোনা বিনাশক
তোমার ওষ্ঠে রয়েছে অমৃত সুধা
তোমার আমার সঙ্গমের পর
করোনা থাকবে না আর
তোমাকে নিয়ে শব্দ সাজাই— অপার নিরবতায়
তুমি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠো দিনে দিনে
কবিতার মিছিলে।
তাই তো তুমি ক্রমাগত এত সুন্দর,
তোমার আমার প্রেম চুম্বকের মতো কাছে টানে
আমাদের আশীর্বাদে
পৃথিবী হয় জনাকীর্ণ নিরাপদ ..
ছবিঃ নিজস্ব অ্যালবাম
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২২