এতক্ষণে লেখা হয়ে যেতো
পুরাতন যা ছিল—
খুঁজে খুঁজে হয়েছি হয়রান
মনে হলো, একটিও যেন নেই
তোমাকে দেয়ার মতো।
কেনই বা দেবো,
অতীতের জড়াজীর্ণ পঙক্তিমালা
তুমি যেন পড়েছো তা আগে
চাতকীর মতো খুঁজে খুঁজে।
পুরাতন কিছু দিতে ইচ্ছে হয় না
অনেক ঘাঁটাঘাঁটির পর
আমি তাই বদ্ধপরিকর,
তোমায় নতুন কিছু দিতে।
তুমি কী দেখনি ?
বাদল দিনের প্রস্ফুটিত নতুন কদম ফুল
সবুজ সতেজ প্রকৃতি যৌবনের অনুরাগে
অরণ্যের সজীবতায় নেই কোন ভুল ।
শুধু ঢাকা মহানগরীর মলিনতা দেখে
দুঃখ পেয়ো না মেয়ে,
অপ্রগলভ ভালোবাসা দিলাম তোমাকে
লোভী পাপীষ্ঠের লালসার গ্রীবায়
কবরের নীরবতা, তুমি এখানে পাবে।
প্রকৃতি আজও সতেজ আছে—
তুরাগ নদীর উপচে পড়া জল
নেই আর আগের মতো কলুষিত
যেন সুস্থ পরিবেশ,
নদী গুলোও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে
শুধু মানুষ পারেনি তা
হয়তো পারবে না মরণের আগে ।
তাই আজ মানব জীবন গভীর সংকটে
যদিও দেশ তলিয়ে গেছে প্লাবন জলে
আশ্রয়হীন মানুষ গড়েছে অস্থায়ী নিবাস
সংকটাপন্ন উঁচু বাঁধের উপর
বেঁচে থাকার তাগিদে অতঃপর
সেখানেও ভেজাল তুমি পাবে।
প্লাবন
বিপন্ন মানুষের মন
ত্রাণ বিতরণ
নতুন কিছু নয়
সব যেন চলে আগের নিয়মে।
শুধু বন্যার প্রকটতা বাড়ে
সেখানেও লোভী গ্রীবা নির্মম প্রহসনে।
বেঁচে থাকা মানে টিকে থাকার সংগ্রাম
প্রেম মানে তুমি আমি অবাক মানবতায়
স্বার্থপর চোখ ফাঁকি দিয়ে অনন্ত সঙ্গমে
বিপন্ন পৃথিবীর স্পর্শের বাহিরে ।
প্রেমের উপচে পড়া জলে
তবুও যেন সন্তর্পণে নৌকো চলে
তাতে নেই কোন হেলা।
জলতরঙ্গের আশানিরাশায় যেন নৌকো দোলে
তবুও অব্যর্থ গন্তব্য তার—
ভয় নেই পথ হারাবার
এভাবেই ক্রম অগ্রসরমান জীবন কাফেলা।
ইঁদুর গেল বিড়াল পেটে
_____________________
আমার তোমার ইঁদুর বিড়াল খেলা
দেখে দেখো নিত্য যেন বসে চাঁদের মেলা।
এই খানে তুমি- আমি
যেন সবার থেকে ভীষণ অন্যরকম ।
আমাদের বিচ্ছেদে যেন হয় সবার বুকে
না সারা এক যখম ।
যেন প্রাণে সহে না ।
আমাদের দুজনার সঙ্গমে সবার বুকে
যেন অবিরাম সুখের ফোয়ারা ছুটে।
লাগে যে মন্দ না ।
এমন প্রেম বলো সখি করিতে পারে ক'জনা
তোমার আমার প্রেমে হলো সহস্র কাব্য রচনা।
আষাঢ় শ্রাবণ মেঘের ঘোর বর্ষণ মুখর বেলা
তোমার আমার খুব জমেছে রাধা কৃষ্ণ খেলা।
ইঁদুর যেন গেল বিড়াল পেটে
তাই এই তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২০