somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

এই যে শিশু ফুলের মতই নিস্পাপ!!!

১৬ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই যে শিশু ফুলের মতই নিস্পাপ
এই যে শিশুটি এখনও ওঠেনি তার দুধ দাঁত;
শুধু মায়ের স্তন্য পান করেই বেঁচে থাকা তার
বেড়ে ওঠা দূর হতাশার— আঁধার ঠেলে,
আশার প্রদীপ জ্বেলে ।
শিশুটি জানে শুধু ক্ষুধার তাড়নায় কাঁদতে
মাঝে মাঝে অকারণ হাসতে
ভুবন ভোলানো এক হাসি —
হাসিতে তার যেন পৃথিবীটা হেসে ওঠে
বেঁচে থাকার সংগ্রামে আত্মপ্রত্যয়ে..
ক্রন্দনে যেন তার— তিমির আঁধার
গোটা পৃথিবীটা কেঁপে ওঠে
যদিও এখনও সে যে পারে না— উঠে দাঁড়াতে
ভালোবেসে দুহাত বাড়াতে
তবুও তো জন্মেছে সে
এই মুজিব বর্ষে — মহেন্দ্র এক ক্ষণে
অপার সম্ভাবনা লয়ে
করোনার মরণ উপত্যকায়
সে যেন দিগ্বিজয়ী মৃত্যুঞ্জয়ী পতাকা উড়িয়ে
মানব সভ্যতার অগ্রদূত
অশান্ত পৃথিবীর বুকে,
ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যোগাতে।
করোনার ধ্বংস যজ্ঞ থেকে আমাদের বাঁচাতে
গোটা পৃথিবীটা বসন্তের অনুরাগে সাজাতে ...

এমনি করে শিশুরা জন্মায় অপার সম্ভাবনা লয়ে
এমনি করেই জন্মেছিলেন একজন
ঠিক এমনি শিশু হয়ে যে শিশুটি জন্মেছিল বলে
এদেশের মানুষ প্রতিবাদি হয়েছিল— অন্যায়ের বিরুদ্ধে;
শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে;
অবশেষে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল
এক মহাকাব্যিক বিজয়ে
ঠিক এমনি করে— এই অবণীর পরে
আরও কত নিষ্পাপ শিশু!
পৃথিবীর বুক আলো করে মহীরুহ হয়ে ওঠেছিল।

শিশুরা তোমরা বড় হও— যথার্থই বেড়ে ওঠো
মহান স্রষ্টার অপার কৃপায়
মৃত্যুর মিছিলের বিপরীতে মানবের হীতে
টিকে থাকার লড়াইয়ে এই ধরণীতে
আমাদের ভালোবাসা লয়ে তোমরা বেড়ে ওঠো
আগামী দিনের কাণ্ডারী হয়ে— এই শুভকামনা
আজিকার এই দিনে।


--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

প্রিয় নেতা। ভালবাসতেন কবি ও কবিতা। তিনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথকে আত্নস্থ করেছিলেন । বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে পশ্চিম বঙ্গ থেকে এনে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন। জাতীয় কবির সম্মানে ভূষিত করে কবির সমস্ত চিকিৎসার ও জীবিকার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দুখু মিঞাকে আর্থিক সচ্ছলতা দিয়েছিলেন। কবি জসিম উদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় বড় দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। অতীতে যেমন রাজসভার সৌন্দর্য বাড়াতেন কবিরা তেমন ভাবে বঙ্গবন্ধু কবি সাহিত্যিকদের সম্মানিত করেছেন। জাতির জনকের বক্তব্যে শুধু কন্ঠ ও বাচনভঙ্গী নয় কবি গুরুর কাব্য ভান্ডার থেকে ব্যবহৃত কথা অনেক সমৃদ্ধ ও প্রানবন্ত করে তুলতো । বাংলার মুক্তিপাগল জনতা বঙ্গবন্ধু বক্তব্যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এদেশ স্বাধীন হবে, এদেশের মানুষ সকল প্রকার বৈষম্য অবিচার থেকে মুক্ত হবে। ১৭ মার্চ ২০২১ মহান একাত্তরের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একশত একতম জন্মদিন। গোটা বাঙালি জাতির জন্য উদযাপনের দিন্ আ্নন্দের দিন। বঙ্গবন্ধু আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছেন। শত প্রতিকূলতায় মাথা নত না করার শিক্ষা দিয়েছেন । তিনি ছিলেন অসম্ভব স্বপ্নচারি। অতঃপর তিনি স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছিলেন। মহান একাত্তুরে মুক্তিযু্দ্ধে পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহাকাব্যিক অভ্যুদয়। সারা বিশ্বে এমন যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভের ঘটনা বিরল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম বাংলাদেশের জন্মের জন্য যেন অপরিহার্য ঘটনা। ইতিহাস তাই বলে। আজকের এইদিনে আমরা তাই আনন্দিত। করোনাক্রান্ত পৃথিবীতে চরম হতাশাগ্রস্ত মানব। পৃথিবীটা যেন মৃত্যুপুরী। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণঘাতি বহুরূপিয়া কোভিড নাইনটিন মানব সভ্যতার জন্য চ্যালেঞ্জ। মুজিব বর্ষে শুধু করোনায় মৃত্যুর ঘটনা নয় জন্মের ঘটনাও আছে। একটি নবজন্ম যেন নতুন করে আশার প্রদীপ জ্বেলে দেয় মানবের ঘরে।একটি শিশু একটি নতুন সম্ভাবনা। বিশেষ করে যারা নতুন মুজিবের আগমন প্রত্যাশি। মুজিব শতবর্ষে যে শিশু জন্মগ্রহণ করলো সে যেন করোনা প্রতিকূলতা জয় করে মানবের বিজয়ের উপলক্ষ্য এনে দিয়ে মুজিব বর্ষকে উদযাপনের নতুন মাত্রা এনে দিলো। আনন্দঘন ক্ষণ উপহার দিল । দেশ স্বাধীন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে । এখন সময়ের চাহিদা আরেক মুজিব আরেক বঙ্গবন্ধুর জন্মলাভ দেশকে উৎকর্ষের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দেয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলছে স্বদেশ। দেশকে আগামীতে সমৃদ্ধতর অবস্থানে পৌঁছে দিতে আজকের শিশুরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।মানবের বিজয়ের ইতিহাস অক্ষুন্ন রাখবে মানব ভ্রুণ। বঙ্গবন্ধুর একশ এ্ক তম জন্মদিন জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক শুভ হোক। বঙ্গুবন্ধুর জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব হোক সেই দোয়া থাকলো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেন কবিতা লিখি? হ্যা বঙ্গবন্ধুকে মগজে ও মননে ধারণ করে বুকে লালন করে কবিতা লেখার আমিই যোগ্য লোক। তাই লিখি। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। বাংলার জয় হোক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে পৃথিবীর বুকে ততদিন মুজিব বেঁচে থাকবেন। প্রতিবাদি মানুষের ঝান্ডা হাতে। স্বপ্নচারির স্বপ্ন হয়ে। দেশের মানুষের জন্য ভালবাসা হয়ে। শুভজন্মদিন প্রাণপ্রিয় নেতা মুজিব। শুভজন্মদিন বঙ্গবন্ধু। শুভ জন্মদিন জাতির জনক। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ।তিনি প্রধান মন্ত্রী আছেন বিধায় জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী এতটা জৌলুস নিয়ে পালন করা সম্ভব হচ্ছে । আনন্দ নিয়ে উদযাপন করা যাচ্ছে । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তিনি। তার যথাযোগ্য মর্যাদায় এমন অনুষ্ঠান পালন যৌক্তিক দাবি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন কার্পন্য করেননি । তাকে অভিবাদন সাদর সম্ভাষণ ১৭ মার্চ জাতীয় শিশুদিবস হওয়াতে অমন কবিতার অবতারণা। আর করোনা তো ছাড়ছেই না। নবজন্ম তাই আমাদের জন্য আনন্দদায়ক । আশাব্যঞ্জক।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:২৭
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রম্য: টিপ

লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন লিটন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫




ক্লাস থ্রীয়ে পড়ার সময় জীবনের প্রথম ক্লাস টু'এর এক রমনিকে টিপ দিয়েছিলাম। সলজ্জ হেসে সেই রমনি আমার টিপ গ্রহণ করলেও পরে তার সখীগণের প্ররোচনায় টিপ দেওয়ার কথা হেড স্যারকে জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈশাখে ইলিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪০



এবার বেশ আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে । বৈশাখ কে সামনে রেখে ইলিশের কথা মনে রাখিনি । একদিক দিয়ে ভাল হয়েছে যে ইলিশকে কিঞ্চিত হলেও ভুলতে পেরেছি । ইলিশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×