সবাই গ্রামীনফোনের বদনাম করে, আমি তাদের প্রশংসা করার একটা কারণ খুঁজে পেয়েছি। আমি সাধারণ মানুষ;আর্ট-কালচারের ভেতরের ব্যপারগুলো বুঝি না, কিন্তু এতটুকু বুঝি যে আর্ট-কালচার এমন কিছু হওয়া উচিত নয় যেটা বাস্তবতা-কে ডিনাই করে, অথবা মূল থেকে সরে গিয়ে একটা ব্যপারকে পুরোপুরি অন্যভাবে তুলে ধরে। বলছিলাম টিভি বিজ্ঞাপনের কথা, টিভিতে আমরা টেলিকম কোম্পানীর হরেক রকমের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি।
আচ্ছা, বাংলাদেশীরা সেলফোন কি জন্যে ব্যবহার করে? উত্তর দেয়ার আগে একমিনিট নিরবতা পালন করুণ, এবং কয়েকটি সেলফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের কথা চিন্তা করুণ। এবার বলুন আপনার কি মনে হচ্ছে না যে, বাংলাদেশীরা সেলফোন ব্যবহার করে শুধুমাত্র ছেলে-মেয়েতে ফোনে হাংকি-ফাংকি করার জন্য?!! #বাংলালিংক এর “কলড্রপ” এর বিজ্ঞাপনটা দেখেছেন হয়তো। একটা ’নিষ্পাপ’ মেয়ে লুতুপুতু সুরে আরেকটা ’সোজাশান্ত’ ছেলেকে জিগেস করছে,
-“সত্যি করে বলবা কিন্তু! আচ্ছা; আমি কি তোমার ফাষ্র্ট লাভ?” আহারে!
ঠিক এই সময়েই ফোনটা কেটে যায়! চিন্তুা করেন, কি গুরুত্বপূর্ণ সময়! এই বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্টরাইটার নি:সন্দেহে একজন ফাউল ছোটলোক, কারণ মোবাইলে যারা ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে তার কিসব বলে তা ভালোই জানা আছে।
[একই ব্যপার অর্থাৎ কলড্রপ নিয়ে #গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনের স্ক্রীপ্ট-টা প্রশংসাযোগ্য। একজন বাবা যখন তার সন্তানকে নিয়ে উৎকন্ঠায় থাকেন/এবং চশমা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা বলার ছলে ছেলের খোঁজ খবর নিতে যান, তখন ব্যপারটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার ছেলে ইমার্জন্সি পেশেন্ট দেখে ফোন কেটে দিতে বাধ্য হয়/ ব্যপারটা বাবাকে কষ্ট দেয়। এডটার শেষ দিকে দেখা যায় ছেলে ঠিকই বাবার চশমা নিয়ে এসেছে!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





