কুমারি পায়ের তরল রসায়নে সেরাতে খুলেছিলাম
ইস্তিরি করা নাগরিক শার্ট ,প্যান্ট;
শুধু শৈশবের হাফ প্যান্ট পড়ে বন্ধু-
উদম শরীরে খেলেছিলাম ডাংগুলি।
চেয়ে চেয়ে দেখেছে অস্থির ঋত্বিক
রবীন্দ্রনাথও চেয়েছিলেন সৌম্যদৃষ্টিতে।
প্রতিবাদের কান্নার শান্ত দীঘি পারে
গ্লাস হাতে বসে থাকি আমরা দুজন
পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে আন্দলিত করি জল
চোখের পলকে সমুদ্দুর।
মাস্তুল হাতে জীবনানন্দ !
শামসুর রাহমান,শামসুল হক,
আর রুদ্র এসে রীতিমত
বুক পকেটে গুঁজে দেয় চিরকুট।
সে রাতে তুমিও বলেছ, আমিও বলেছি;
আবার বলিনি অনেক কিছুই।
সে রাতে বলিনি বন্ধু যেমন
একটি আড়াল কথা,
পাছে তুমি মাতাল ভাব
আমি এই শহরে যখন আসি
ব্যাগ ভর্তি ঘাস ফুল এনেছিলাম,
এরপর অনেকদিন বাদে হাতরে দেখি
ওগুলো সব পাথর!
মাকে জানিয়ে ছিলাম,
মা বলেছিল, "বাড়ি ফিরে আয় বাবা"।
সে রাতে আরও যেমন বলিনি
আমি এক শহুরে তরুণীর প্রেমে পড়েছিলাম,
আমরা ডেট করতাম,আইসক্রীম খেতাম,
একদিন বিকেলে-
যখন সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকারা বাদাম খাচ্ছিল
ও তখন ওর ভ্যানিটি ব্যাগ হতে বের করে দেয়-
এক ঠোঙা ভর্তি টুকরো ব্লেড
অমোঘ নিয়তির মত ব্লেড গুলোকে মুখে পুরে চিবোতে থাকি
আর রক্তাক্ত হই।
অন্তর দেহে প্রবাহিত হয় বিষাক্ত নীল।
সে রাতে হয়ত একথা বলিনি বন্ধু
বেশি বোলেছিলাম মার্কস,চে গুয়েভারা,সফোক্লিস...
আর গেয়েছিলাম জংলী ফুলের গীত।
চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




