সামহোয়্যার ইনের প্রতিবাদ এবং সাপ্তাহিক-এর বক্তব্য
পোস্টাইছেন: আনিস রায়হান » ২৫ জানুঃ, ২০১১, মঙ্গলবার, ১৩:০১ শেষভাগ
* সমসাময়িক
ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিগ্বিদিক হয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির। সরকারের নানা উদ্যোগের প্রেক্ষিতে তাদের দেশ, স্বাধীনতা ও জনবিরোধী তৎপরতার পরিধি কমে আসতে থাকে। এ অবস্থায় স্বাধীনতার এই চিরশত্রুরা তাদের কর্মপন্থায় পরিবর্তন আনে। বর্তমান সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে জামায়াত-শিবিরের নেতারা যখন একের পর এক গ্রেপ্তার হচ্ছে, তখন তথাকথিত দেশের সবচেয়ে সুসংগঠিত এই দলটির রাজপথে কোনো কর্মসূচি নেই। তাহলে তারা সব গেল কোথায়? জনমানুষের এই শত্রুরা তো চুপ করে বসে থাকার নয়। সাপ্তাহিক-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তাদের গোপন তৎপরতার বিস্তারিত খতিয়ান। গত ২ ডিসেম্বর, ২০১০ সংখ্যায় এ নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘ইন্টারনেটে জামায়াত-শিবিরের প্রপাগান্ডা' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন। এতে দেখানো হয় সরকারের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিভাবে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধীরা তাদের প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের কর্মক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম এবং সামাজিক নেটওয়ার্কের অনেক পাতা, দল ও ব্যক্তির নাম।
প্রতিবেদনের এক অংশে সামহোয়্যার ইন ব্লগে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের কর্মকান্ডের বর্ণনা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এ নিয়ে সামহোয়্যার ইনের ব্লগাররা প্রচুর লেখালেখি করেন। অধিকাংশ লেখাতেই প্রতিবেদক এবং সম্পাদককে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়। ব্লগাররা শুধু সামহোয়্যার ইনের পাতা ভরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তারা ছুটে আসেন সাপ্তাহিক-এর ওয়েবসাইটে। এখানেও তারা পরিবেশ দূষিত করেন। সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষও এসব দূষণকে প্রশ্রয় দেন বলে প্রতীয়মান হয়। কারণ এ ধরনের লেখা বা মন্তব্যের জন্য কাউকে সতর্ক করা বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অবশ্য সামহোয়্যার ইনের অনেক ব্লগার কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদনের বক্তব্য আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সামহোয়্যার ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিল ক্লোকারহগ আসেন সাপ্তাহিক কার্যালয়ে। তিনি সাপ্তাহিক-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সামহোয়্যার ইন সংক্রান্ত বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তার আমন্ত্রণে প্রতিবেদক আনিস রায়হান সামহোয়্যার ইনের গুলশানস্থ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। আরিল বারবার বলেন যে, ‘আপনারা দেখেন, আমাদের এখানে যারা কাজ করছে তারা কেউ জামায়াত-শিবির কিনা।’ জবাবে প্রতিবেদক বলেন যে, ‘কারো বেশ-ভূষা দেখে সে জামায়াত-শিবির কিনা তা শনাক্ত করা অসম্ভব। এখানে জামায়াত-শিবিরপন্থীরা আছে কিনা তা বোঝা যাবে সামহোয়্যার ইনে প্রকাশিত লেখা এবং মডারেশন প্রক্রিয়া দেখে।’ আরিল তখন তার স্ত্রী সামহোয়্যার ইনের হেড অব এ্যালায়েন্স সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সাপ্তাহিক-এর প্রধান প্রতিবেদক তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন যে, ‘প্রতিবেদনের নির্দিষ্ট কোনো অংশ নিয়ে আপনাদের বক্তব্য থাকলে তা আমাদের লিখিতভাবে জানান।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে জানা সাপ্তাহিক বরাবর একটি লিখিত বক্তব্য পাঠান। এতে বলা হয়, ‘ওই প্রতিবেদনে সামহোয়্যার ইন সম্পর্কে সঠিক তথ্য পরিবেশিত হয়নি। সরাসরি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ধরনের ভুল তথ্য পরিবেশিত হতো না বলে আমরা মনে করি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘প্রতিবেদনে প্রকাশিত এ তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল যে, জামায়াত-শিবিরপন্থীরা সামহোয়্যার ইন নিয়ন্ত্রণ করে বা এতে কাজ করে। কারণ মানবিক মূল্যবোধ, উদার মানসিকতা এবং গভীর পেশাগত দক্ষতার ভিত্তিতে এখানে লোক নিয়োগ দেয়া হয়।’ সামহোয়্যার ইন কর্তৃপক্ষ দাবি করেন যে, সামহোয়্যার ইন বাংলাদেশের একটি প্রগতিশীল সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান। এটি অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় একটি কর্মক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। সামহোয়্যার ইন এবং এর ব্লগাররা বছরাধিক কাল যাবৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে পিটিশন প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এছাড়া ব্লগে মুক্তিযুদ্ধ, ¯স্বাধীনতা এবং বিজয় সংক্রান্ত লেখাগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে (স্টিকি করে) প্রকাশ করা হয়। এই ব্লগ বাংলা ভাষায় ইন্টারনেটে লেখালেখির পথিকৃৎ।’ শেষত সামহোয়্যার ইন কর্তৃপক্ষ দাবি করেন যে, ‘প্রতিবেদনে প্রকাশিত সামহোয়্যার ইন সংক্রান্ত বক্তব্য ভুল বলে আপনারা স্বীকার করুন।’
সামহোয়্যার ইনের বক্তব্য হাতে পৌঁছাবার পর আমরা ব্লগটির দিকে আবার মনোযোগ দেই। ২০ জানুয়ারি বেলা ৩টা ৩৭ পর্যন্ত আমরা আগের পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন দেখতে পাইনি। সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষকে আমরা আগাগোড়াই বলে এসেছি যে, সামহোয়্যার ইন জামায়াত-শিবিরপন্থীরা ব্যবহার করছে কিনা তা ব্লগে প্রকাশিত লেখা এবং ব্লগারদের বক্তব্য দেখেই বোঝা যাবে; কারো দাবির ভিত্তিতে নয়। সামহোয়্যার ইন কর্তৃপক্ষ যদি প্রমাণ করতে চান, মডারেটর এবং ব্লগ কোথাও স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয় দেয়া বা কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ দেয়া হয় না তার প্রমাণ দিতে পারেন ব্লগের লেখাগুলোর মাধ্যমেই; আর কোনো পথে নয়।
আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, সামহোয়্যার ইনের অনেক ব্লগাররাই মনে করেন মডারেটর প্যানেলে জামায়াত-শিবিরপন্থীরা রয়েছেন। ব্লগাররা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের লেখার মাধ্যমে এর জবাবও চেয়েছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ টু শব্দটিও করেননি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গডব্রাদার নামক ব্লগার গত ২০ জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১টা ১৮ মিনিটে ‘মাননীয় মডারেটররা কি দয়া করে জানাবেন, কেন আমার পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে?’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী ব্লগার ও তাদের সমর্থকদের বিরোধিতা করেই পোস্টটি লেখা হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশের দুদিনের মাথায় কর্তৃপক্ষ তার ওই লেখা সরিয়ে দিয়েছে। লেখক বলেন ‘আমার ওই পোস্টে আমি সর্বশেষ দেখেছিলাম, ২৫টি প্লাস এবং ১২টি মাইনাস। আমার প্রশ্ন, যে ১২ জনের ওই পোস্ট ভালো লাগেনি তাদের মতামতই কি মডারেটরদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে দ্বিগুণেরও বেশি ব্লগারের ওই পোস্ট ভালো লেগেছে।’ ওই ব্লগার আরো লেখেন, ‘প্যানেলে এখন তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থক। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরোধিতা বা ব্যঙ্গ করলে ইনাদের আঘাত লাগে।’ আসিফ মহিউদ্দীন নামক ব্লগার ২০ জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১টা ২৬ মিনিটে এই লেখাটিতে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন যে, ‘মুক্তমনাদের যে কোনো পোস্ট তারা কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই যেমন ইচ্ছা ডিলিট করে দিচ্ছে।’
মিলনমেলা নামক ব্লগার গত ১৯ জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯টা ৪৯ মিনিটে ‘ফেলানি ও রাজাকার’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেন যে, ফেলানি হত্যা নিয়ে অনেক লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। মানুষ হত্যাকে অপরাধ মনে করলেও এসব ব্লগাররা কেউ কিন্তু ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে লেখা এই পোস্টটি ২০ জানুয়ারি, ২০১১ বেলা ৩টা পর্যন্ত ৩ জনের ভালো লেগেছে, ১০ জনের ভালো লাগেনি। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এই ১০ জন কারা। এটা নিশ্চয়ই সামহোয়্যার ইন কর্তৃপক্ষের জানা সম্ভব। এই ১০ জনকে কর্মকান্ড চালাতে দেয়াটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না। বরং এটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সংগঠিত হতে সহায়তা করা।
সাইফিহমুবেষ্ট নামক ব্লগার ২০ জানুয়ারি রাত ১টা ৩৯ মিনিটে ‘ফর্দ নিয়া আইছি মিঞা ভাইয়েরা। পইড়া দেখেন। পর্দার ভিতরে ঢুকেন নইলে সমস্যা আছে। ১৮+’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশ করেন। এতে জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতার খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি বেলা ৩টা ২৯ পর্যন্ত পোস্টটি ১৭ জনের ভালো লেগেছে, ১৮ জনের ভালো লাগেনি। আবার শেখ রফিক নামক ব্লগার ৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ২৯ মিনিটে ‘ছাত্র শিবির ইজ দ্য সেকেন্ড জেনারেশন অব রাজাকার’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। ২০ জানুয়ারি বেলা ৩টা ৩৭ পর্যন্ত পোস্টটি ১৫ জনের ভালো লেগেছে, ১৪ জনের ভালো লাগেনি। ভালো লাগা না লাগার এই পরিসংখ্যান থেকে ব্লগে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের আধিক্যের হিসেব মেলে। দেশে জামায়াত-শিবিরপন্থীদের সংখ্যানুপাতে সামহোয়্যার ইনের অনুপাতটা কি একটু বেশিই বেমানান নয়?
জামায়াত-শিবিরের সপক্ষে সামহোয়্যার ইনে ব্লগিং হয়- এটা কোনো ধারণা নয়, বরং তথ্য। কানন শাহ নামক ব্লগার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটে ‘জামায়াত-শিবির : সন্ত্রাসী, নাকি সন্ত্রাসের শিকার’ নামক একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। আবার সুভ্র নামক একজর ব্লগার ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে ‘শিবির সন্ত্রাসী নয় তা প্রমাণের জন্য শিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাংবাদিকতাই যথেষ্ট’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশ করেছেন। এদের চেয়ে আরো একধাপ এগিয়ে আছেন ভালো নামক একজন ব্লগার। তিনি সরাসরি এই ব্লগটিকে সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করছেন। ১৪ মার্চ, ২০০৯ রাত ১২টায় তিনি শিবির ক্যাডার নোমানীকে নিয়ে একটি প্রশস্তিমূলক লেখা প্রকাশ করেছেন ‘এই আমার প্রিয় ভাই, শহীদ নোমানী ভাই!’ শিরোনামে। ১১ মার্চ, ২০০৯ রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রকাশ করেছেন ‘শাহাদাতের মিছিলে নতুন পথিক : শহীদ হাফেজ রমজান আলী’ শীর্ষক একটি লেখা। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রকাশিত ‘পল্লবকে শুধু ব্যান নয়- আইপি প্রকাশ করুন’ শীর্ষক একটি লেখায় তিনি লিখেছেন, ‘পল্লবের পোস্ট পড়ে যে কোনো সামান্যতম আইকিউসম্পন্ন ব্লগারও বুঝতে পারবেন, এটা কোনোক্রমেই ইসলামী সংগঠনের কেউ হতে পারে না। খুব কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে বর্তমান দৃঢ় একটা অবস্থানে পৌঁছে যাওয়া এদেশের ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা অনেক বেশি বুদ্ধিমান। তার আইপি প্রকাশ করুন। সে যদি শিবির বা জামায়াতের কর্মী হয়েও থাকে তার বিরুদ্ধে সংগঠনের কাছে অভিযোগ জানাব আমি। একই দিনে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে ওই লেখায় তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘যদি বলা হয় শিবির খারাপ, আমি বলবো শিবির ভালো। যদি বলা হয় শিবির রাজাকার, আমি বলব শিবির বাংলাদেশটাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।’ জিসান আল আহরার নামক একজন ব্লগার ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪টা ৪৩ মিনিটে শিবিরের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের খবরাখবর উল্লেখ করে ‘শিবিরের নতুন কমিটি : সভাপতি ডা. ফখরুদ্দীন, সেক্রেটারি সাঈদী’ শীর্ষক একটি লেখা দিয়েছেন। হলদে ডানা নামক আরেক ব্লগার ‘একজন শিবির কর্মীর কথা’ শীর্ষক একটি লেখা প্রকাশ করেছেন ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩টা ৩৪ মিনিটে।
সামহোয়্যার ইন ব্লগে যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে, সেই লেখাগুলোর ভিত্তিতে সাপ্তাহিক মন্তব্য করেছে। এবং এটা খুবই পরিষ্কার যে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সমাজের ঘৃণিত শক্তি জামায়াত-শিবির এই জনপ্রিয় ব্লগটি ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছে। জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ভুল করলে সেটা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই সাপ্তাহিক কর্তৃপক্ষের। তবে এই প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক কোনো মনগড়া, অসত্য বা ভুল তথ্য পরিবেশন করেনি যেমন অন্য কোনো ক্ষেত্রেও করে না। সামহোয়্যার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করলেই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা এও বিশ্বাস করতে চাই, এই ব্লগে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের পক্ষে ‘প্রোপাগান্ডা’ চালানোর সুযোগ কেউ পাবেন না, কর্তৃপক্ষ অশুভ শক্তিকে সেই সুযোগ দেবেন না।
0

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




