আমাদের এক টিচার বলেন, “বেঁচে থাকা নয়, মরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক!” ধর্মীয় দৃষ্টিকোন বাদ দিয়ে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলেও ঠিক তাই। প্রতিটি জীবের মাঝে প্রতিনিয়ত এত পরিমান জৈব-রাসায়নিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে; যার অধিকাংশর সঠিক ব্যাখ্যা দেয়া এখনো সম্ভব হয় নি। যদি জীব দেহের সকল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়, তবে কি ল্যাবে প্রাণ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে?
আপাত দৃষ্টিতে প্রশ্নটা সহজ মনে হতে পারে কিন্তু এর মাঝে জটিলতার পরিমানটাও কম না। এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে বিজ্ঞানীরা চেস্টার ত্রুটি রাখেননি। ধর্মীয় সৃষ্টিবাদকে (বিশেষ উদ্দেশ্যে শ্রষ্ঠা জীব সৃষ্টি করেছেন) বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই আলোচনার বাইরে রেখে এসেছেন। এরিস্টোটল (৩৮৪-৩২২ খৃ:পূ

দেখেছিলেন শুকনো নালায় জল ফিরে আসলে, সেখানে নানা প্রকারের জলপোকার জন্ম হয়। তা দেখে তিনি স্বতস্ফূর্ত জীবনের ত্বত্ত প্রদান করেন। তার মতে, “অনুকূল পরিবেশ পেলে, স্বতস্ফূর্ত ভাবে জীবনের সৃষ্টি হয়।“ অনুবিক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের আগ পযর্ন্ত এই ত্বত্তটাই বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টিকে ছিল। কিন্তু লুই পাস্তুর (১৮২২-১৮৯৫) জৈবজনি (Bio-genesis) ত্বত্ত প্রদান করেন এবং প্রমান করেন, “কোন জীব বা জীবকোষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে উৎপত্তি লাভ করতে পারে না; জীব কোষ অবস্যই পূর্ববর্তি কোষ থেকে সৃষ্ট।“জীবের উৎপত্তি নিয়ে একটি ত্বত্ত এখন বেশ আলোচিত, ‘বর্হিজাগতিক প্রাণ!’ কোন অতি বুদ্ধিমান বর্হিজাগতিক প্রাণী পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার করেছিল। এই ত্বত্ত অনুযায়ী একটা সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়, ‘পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি’ কিন্তু এর পরেই আবারও প্রশ্ন চলে আসে, ‘তাহলে তাদের উৎপত্তি হল কিভাবে?’
পৃথিবীর বর্তমান অবস্থায় স্বতস্ফূর্ত ভাবে প্রাণ সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়; কিন্তু আদিম দশায় কি স্বতস্ফূর্ত ভাবে প্রাণ সৃষ্টি হওয়া সম্ভব ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে, বিজ্ঞানী স্টনলি এল. মিলার ১৯৫৩ সালে প্রমান করেন; পৃথিবীর আদিম দশায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অ্যামাইনো এসিড তৈরি হওয়া সম্ভব! কিন্তু অ্যামাইনো এসিড মানেইতো আর জীব না জীবনও না। অ্যামাইনো এসিড থেকে তৈরি হতে হবে প্রোটিন সংগে লাগবে DNA আর RNA. গবেষণা চলতে থাকে সৃষ্টির রহস্য উৎঘাটনে।
মিলার এর পরীক্ষার পর আরো অনেক পরীক্ষা হয়েছে; এবং এটা স্বিকৃত যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়াতেই জীবের সৃষ্টি। তাই যদি হয় তাহলে নিশ্চয় ল্যাবে প্রাণ সৃষ্টি করা যাবে?
চলবে>>>
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫২