somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পড়ুন আর হাসতে ই থাকুন :P :P :P =p~ =p~ =p~ =p~ ;)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গুরুপাক ভোজনের পর বাংলাদেশের একজন শ্যামদেশের একজনকে বললেন, ‘দুই দিনের মধ্যে আপনাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আপনারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে তো কোনো কথাই বললেন না।’ থাই কর্মকর্তা: ‘আমাদের স্বাধীনতা ও পরাধীনতার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ১১ শতক থেকে একভাবেই কোনোমতে চলে যাচ্ছে। ১৯৪১ সালে জাপান দখল করেছিল, তাদের বিতাড়িত করেছি। তার পর থেকে জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো।’

৪৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তাঁর লাল রঙের টাইতে বুড়ো আঙুল দিয়ে টোকা মেরে বলেন: আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীন করলাম। ২৩ বছরে পাকিস্তানিরা সব শেষ কইরা দিয়া গেছে। তারপর দুইবার সামরিক শাসন। আপনাদের ভাগ্য ভালো, তাই উন্নতি করতে পারছেন।
আমাদের খোশালাপীকে থামিয়ে দেন শ্যামদেশি। হেসে বলেন: মিলিটারি শাসন কি আমরাই কিছু কম ভোগ করেছি? বর্তমান রাজা ভূমিবলের আমলেই আটবার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। কে ক্ষমতা দখল করল, তা নিয়ে মাথা না চাপড়ে, জনগণ ও প্রশাসন তাদের কর্তব্য যথারীতি পালন করে গেছে।
আমাদের লোক: তাজ্জবের ব্যাপার ভাই! কন কী? আটবার মিলিটারি ক্যু-দেতা হয়েছে? তার পরেও আমরা আপনাদের দেশেই মরতে এবং মার্কেটিং করতে যাই?
শ্যামদেশি: মার্কেটিং করতে যান বুঝলাম, কিন্তু মরতে যান কথাটার মানে বুঝলাম না।
বাঙালি: ওই হলো আরকি! একই কথা। চিকিৎসার জন্য গিয়ে অনেকে মারাও যায় কিনা। এখন বাংলাদেশের রাজনীতিক, আমলা ও বড়লোকদের মারা যাওয়ার ভেন্যু লন্ডন, আমেরিকার পরেই ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুর— বামরুনগ্রাদ ও মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল আমাদের ইকোনমি যে হারে চাঙা হচ্ছে এবং বড়লোকের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ২০২১ সালের মধ্যে আপনাদের আরও কয়েকটি বড় হাসপাতাল বানাতে হবে বাংলাদেশিদের জন্য।
সুখী মানুষের হাসি হাসেন শ্যামদেশি। বলেন: ‘আপনাদের ভালো হাসপাতাল, ডাক্তার নাই?’
বাংলাদেশি: আরে ভাই, নাই কোন জিনিসটা? ৪০-৫০ বছর আগে ঢাকা মেডিকেল, পিজি হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ছিল সেরা হাসপাতাল। ধনী-গরিব, মন্ত্রী-আমলা, কেরানি-পিয়ন সবারই চিকিৎসা হতো। এখন তা সম্ভব না। আচ্ছা, আমাদের যেমন স্বাধীনতাবাদী ও জাতীয়তাবাদী ডাক্তার আছেন, আপনাদের সে রকম কোনো বাদী ডাক্তার সমিতি আছে কি?
শ্যামদেশি: না, তা নাই। তা থাকলে আপনাদের রোগীদের বামরুনগ্রাদে মৃত্যুর হার হতো অনেক বেশি।
দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশি বলেন: ‘আচ্ছা, বাই দ্য বাই, আপনারা যে প্লেনে কাল আসলেন, সেটা দেখি এখানে রাইখা দিলেন। ওদিকে আপনাদের ফ্লাইটে সমস্যা হবে না? উড়োজাহাজ মোট কয়টা আছে আপনাদের?
শ্যামদেশি: জি, তা তো বটেই। আমরা এসেছি প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব বিমানে। আমাদের বিমানের সংখ্যা আমার জানা নাই। শ খানেক তো হবেই। আপনাদের অবস্থা কী?
দেশপ্রেমিক বাঙালি: আর বইলেন না! আমাদের কমতে কমতে অবস্থা এমন দাঁড়াইছে যে হাজিদের আনা-নেওয়া করা তো দূরের কথা, বড়লোক রোগীদের যে ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরে নেব, সে অবস্থাও নাই। এখন থাই এয়ার, ব্যাংকক এয়ারই আমাদের রোগীদের লাশ বহন করে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট অর্ধেক খালি আসে।
থাই কর্মকর্তা: কারণ কী? আমাদের বিমানে আপনাদের যাত্রীদের সিট দিতে পারি না, আর ওদিকে আপনাদের বিমান অর্ধেক খালি আসে!
বঙ্গসন্তান: আমাদের উড়োজাহাজের অবস্থা বেহাল। আমাদের পাইলটরা দক্ষ বলে কোনো রকমে চালাচ্ছেন। কেউ চড়তে চায় না। তা ছাড়া সিট খালি থাকলেও বিমানের কর্মকর্তারা বলেন, সিট নাই। থাইতে যান গিয়া।
থাই অতিথি: ভেরি গুড। তবে মধ্যপ্রাচ্যে আপনাদের যেসব শ্রমিক যাতায়াত করেন, তাঁদের আনা-নেওয়া করলেই তো আপনাদের আর কোনো দেশের যাত্রী বহনের প্রয়োজন হয় না। বামরুনগ্রাদের রোগী ও তাদের সঙ্গী আত্মীয়স্বজনকে নাহয় আমরাই আনা-নেওয়া করলাম।
বঙ্গসন্তান এবার কিছুটা বিরক্ত হন। বলেন: আরে ভাই, বিমানের কথা বাদ দেন। উড়োজাহাজ ওঠানামার জায়গাটাই তো ঠিক করতে পারলাম না ৪১ বছরে। এই রানওয়েতে অন্য দেশি পাইলটরা নামতে চান না। এখন তো রাতে প্লেন ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ। আপনাদেরও দিনের আলো থাকতে থাকতেই উড়তে হইব। এই বিমানবন্দর দিয়া চলবে না। চরের মধ্যে আরেকটা এয়ারপোর্ট করার পরিকল্পনা আছে। এত দিন হইয়া যাইত। কিছু বেহুদা লোকের বাগড়া দেওয়ায় কাজ শুরু হয় নাই। সেইটা হইব ব্যাংককের সুবর্ণভূমির মতো আলিশান।
থাই কর্মকর্তা: আপনাদের পদ্মা ব্রিজের কথা কি শুনলাম? কখনো শুনি হবে, কখনো শুনি হবে না। কোনটা ঠিক?
বাঙালি কর্মকর্তা: আপনি মাত্র দুই রকম কথা শুনেছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী-আমলাদের কথা প্রতিদিন শোনার সৌভাগ্য হয় না আপনাদের। পদ্মা ব্রিজ নিয়ে এ পর্যন্ত কথা হয়েছে অন্তত ৯৭ রকম। কয়েক দিনের মধ্যেই সেঞ্চুরি হবে। আসলে দুর্নীতি তো নয়, অর্থমন্ত্রী যা বলেছেন সেটাই ঠিক। দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে।
শ্যামদেশবাসী: দুর্নীতি জিনিসটা বুঝি। ওটা আমাদের দেশেও হয়। কিন্তু ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্র’ জিনিসটা কী?
ফ্যাক ফ্যাক করে হাসেন আপাদমস্তক সৎ বাঙালি: দুর্নীতির ষড়যন্ত্র কথাটার মানে আমরাও বুঝি নাই, কথাটার শানে নজুল অনেক রকম। এই কথার টীকা-ভাষ্য লিখতে গেলে অনেকগুলো পিএইচডি থিসিসের প্রয়োজন হবে। দুর্নীতি নয়—দুর্নীতির ষড়যন্ত্র। কার বাপের সাধ্য এ কথার অর্থ উদ্ধার করে। এতে একটা মরমি ভাব আছে। সিলেটের হাসন রাজার গানের মতো—আমি কিছু নয় রে আমি কিছু নয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য: আপনারা ব্যাংককে এত বড় বড় দুই-তিনতলা ফ্লাইওভার করলেন কীভাবে? গার্ডার ভেঙে চাপা পড়ে আপনাদের দেশে কী পরিমাণ লোক মারা গেছে?
থাইবাসীর মুখে বিষাদের ছায়া নামে। বলেন: হ্যাঁ, গত মাসে কাগজে দেখলাম, আপনাদের বহদ্দারহাটে নির্মীয়মাণ ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৪ জন মারা গেছেন। এর আগেও নাকি ওখানে গার্ডার ধসে পড়েছিল। নিম্নমানের কাজের জন্য কারও শাস্তি হয়নি?
বাংলাদেশি: ওই ফ্লাইওভারের ঠিকাদার আমাদের দলের নিজস্ব লোক। তিনি সিডিএর চেয়ারম্যান। নিম্নমানের মালমসলা দিয়ে কাজ তিনি করাতেই পারেন না। তবে দেখুন, এখন ধসে পড়ে ভালো হয়েছে। ১৪-১৫ জন মারা গেছে। বানানোর পরে ধসে পড়লে হাজার খানেক মারা যেত। তা ছাড়া দেখুন, জনবহুল দেশ। মানুষ কমাও দরকার।
থাইবাসী আরও বেশি বেদনায় ম্লান মুখে: একই সময় আপনাদের নিশ্চিন্তপুরে পোশাকশিল্প কারখানায় ১১১ জন মারা গেল আগুনে পুড়ে। শ্রমিকদের পুড়ে কয়লা হওয়ার খবরে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। প্রথম দিনের দুর্ঘটনায় খুব দুঃখ পাই। কিন্তু দুই দিন পরের আগুন লাগানোর ঘটনায় হতবাক হই। ২০ হাজার টাকা নিয়ে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন লাগানো অতি কাঁচা কাজ। ষড়যন্ত্রতত্ত্বকে একটি বিশ্বাসযোগ্য রূপ দিতে আর কয়েক দিন পরে ওটা গুছিয়ে করলেই হতো। মেয়েটি তো জানত যে ফ্যাক্টরিতে সিসি ক্যামেরা আছে। সে যা করছে, তা সবই ধরা পড়বে। গরিব অশিক্ষিত নারী শ্রমিকদেরও এত বেআক্কেল মনে করা ঠিক নয়। বাইরের দেশের মানুষ এতে বিরক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশের অনেক বিষয়ই থাইবাসীরা জানেন দেখে বঙ্গবাসী এবার বিরক্ত হন। তাঁকে এবার ঘায়েল করতে চান। বলেন: আপনাদের দেশেও তো দুর্নীতি, রাজনৈতিক বিক্ষোভ কম হয় না। এই তো গত মাসের ২৫ তারিখে পার্লামেন্ট ঘেরাও করল বিরোধী দল। অনাস্থা আনল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র সব দেশেই আছে।
শ্যামদেশি বাধা দেন। বলেন: রাজনৈতিক আন্দোলন, বিক্ষোভ আছে। ষড়যন্ত্র নাই। প্রয়োজনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারও করা হয়। লম্বা রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হয় না। যুবসমাজ রাজনৈতিক বিক্ষোভে অংশ নেয়, টেন্ডার নিয়ে মারামারি করে মাথা ফাটায় না। ছাত্রনেতারা ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য করে কোটিপতি হয় না। ক্যাম্পাসগুলোতে অনাবিল শান্তি। যখন ছাত্রবিক্ষোভ হওয়ার তখন হয়েছে। এত বড় ব্যাংকককে ঢাকার মতো উত্তর-দক্ষিণে, পূর্ব-পশ্চিমে ভাগাভাগি না করেও বেশ চালাচ্ছি। তবে থাইল্যান্ডকে আপনাদের মতো ডিজিটাল করতে পারিনি।
এ কথা শুনে খুশিতে দাঁত বের করেন বঙ্গবাসী। আগ্রহ নিয়ে জানতে চান: কী করে জানলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা?

সম্পূর্ণ
Click This Link
থাই কর্তা: ঢাকার রাস্তায় যাতায়াতের সময়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার রাস্তায়। ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন রাস্তার ডাইনে-বাঁয়ে আইল্যান্ডে তিন গজ পর পর। তাতে নেতাদের রঙিন ছবি। তাতে মনে হয় বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটার জায়গা আজ ডিজিটাল।
বঙ্গবাসী দেখলেন, শ্যামবাসীর সঙ্গে কথা বলে লাভ নাই। তাঁর মাথায় ঘুরছে অন্য জিনিস। যে চুক্তি হলো তা নিয়ে আরও আলোচনার জন্য কয়েকবার ব্যাংককে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সহাস্যে শ্যামবাসীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ। অনেক খুশি হলাম আপনার সঙ্গে এতক্ষণ কথা বলে।’

শ্যামবাসী মাথা নুইয়ে করমর্দন করেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১৪
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×