বাংলাদেশ রাইফেল, সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত হইছে, তাগো নাম পাল্টানো হইবো। ফলে অনেকেই (সামুর অনেক ব্লগারসহ) মনে করতাছে, এতে বিডিআরের নাম-নিশানা, তাগো অর্জন, গৌরবময় ইতিহাস সকল মুইছা যাবে। যুক্তিটা আসলে ঠিক না। একবার ভাবেন তো, পাকিস্তান আমলে বিডিআরের নাম কি বিডিআর আছিলো?? আছিলো না। এখন বলেন, বিডিআর নাম বদলানোর পর কি একাত্তুরে তাগো ভূমিকা ভুইলা গেছে মানুষ? ভুলে নাই। স্বাধীনতার আগে ও পরে যেসব জওয়ানরা ছিলো, তারাই ছিলো, কাউরে বাদ দেয়া হয় নাই।
এখন আসেন বর্তমানে। বিডিআর চাক আর না চাক, তাগো ইতিহাসে একটা দিন লেখা থাকবো: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। এখন এই চিহ্ন অমোচনীয়। একটা জিনিস ভাবেন, যেসব জওয়ানরা ফিরা আসছে, তারা প্রত্যেকেই আরো ইনফেরিয়র কমপ্লেক্সিটিতে (হীনমন্যতা) ভুগবে। তাদের গুটি কয়েক সতীর্থের দায় বহন করবে তারা সচেতন কিংবা অবচেতনভাবেই। ওদিকে, আর্মির লোকজনও...বিডিআর শুনলেই তাগো মেমোরি রিকল হইতে থাকবে....দৈনন্দিন কাজ করা জওয়ানদের সঙ্গে আরো ডিফিকাল্ট হইয়া দাড়াইবো।
এমন অবস্থায় যদি নাম পাল্টানো হয়...তাইলে মানসিক জটিলতা দূর হইতে পারে। দই পক্ষেরই। আ তাছাড়া, নাম পাল্টাইলেই কি একটা মানুষের বিগত অর্জন নাই হইয়া যায়? মাফ করবেন, একটা উদাহরণ দেই....সুমন চাট্টুজ্যে এখন কবির সুমন...তো? কিছু হইছে??? তার অর্জন কি নাই হইয়া গেছে?? না হয় নাই।
যাক গা, আমি মনে করি...স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরাইয়া আনতে শুধু নাম না, গায়ের ইউনিফর্মও পাল্টানো দরকার। তাইলে মেমোরি রিকল হইবো না। নয় তো ঐ বিডিআর নাম কিংবা ইউনিফর্ম ব্যাড মেমোরির পয়েন্টার হিসেবে কাজ করবে এবং নানা জায়গায় প্রতিবন্ধকতা তৈরী করবে। যেমন আর্মির আচরণ জওয়ানদের প্রতি (আরো; যদি আগে খারাপ থাইকা থাকে) খারাপ হইবো। এতে জওয়ানরা সীমান্ত রক্ষা করবে না নিজেগো সম্মান হারানোর বেদনায় কাতরাইতে থাকবে????
এইটা একটা মনস্তাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত। মেন্টালি ঐ জায়গা থেকে জওয়ান ও আর্মিরে ফ্রি করতে না পারলে....জটিলতা বরং বাড়বে কমবে না। অতএব, শুধু নাম না.....ইউনিফর্মও পাল্টানো হোক।