আমাদের সমাজে স্ত্রীর বয়স স্বামীর চেয়ে বেশী হলে মানুষ পিছনে কানাঘুষা করে। যদিও সামনে হয়তো কিছু বলে না। কিন্তু আসলেই কি এটা আদৌ কোন সমস্যা। আমার মনে হয় না। স্বামী বা স্ত্রী তাদের পছন্দ মত বিয়ে করেছে। সমস্যা যদি হয় তাদের হবে। অন্য মানুষের সমস্যা হওয়ার কথা না। আসলে আমাদের সমাজে একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে যে স্ত্রীর বয়স হবে স্বামীর চেয়ে কম। বিয়ে শাদীর সম্বন্ধ খুঁজতে গেলে আমরা মেয়ে আর ছেলের বয়সের পার্থক্যটা খুব ভালো করে দেখে থাকি। আবার অনেক ছেলে বা মেয়ে নিজের চেয়ে ৪/৫ বছরের ছোট (ছেলের ক্ষেত্রে) বা বড় (মেয়ের ক্ষেত্রে) পাত্রি বা পাত্র খুঁজে থাকে। এটার কোন দরকার আছে কি না সেটা নিয়েও আমার মনে প্রশ্ন আছে।
আমাদের সমাজে যেহেতু ছেলের দায়িত্ব সংসার চালানোর তাই ছেলেকে অবশ্যই উপার্জনক্ষম হতে হবে এবং সংসার চালানোর সামর্থ্য থাকতে হবে। মেয়ের ক্ষেত্রে আয়, রোজগার করাটা জরুরী না। যেহেতু ছেলেকে উপার্জনক্ষম হতে হয় তাই স্বাভাবিকভাবেই ছেলের বিয়ের উপযুক্ত হতে মেয়ের চেয়ে দেরী হয়। হয়তো এই কারণে এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আশা করা হয় যে ছেলের বয়স মেয়ের চেয়ে বেশী হবে। অনেক ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য থাকাটাও (ছেলে মেয়ের চেয়ে কয়েক বছরের বড় হতে হবে) আমরা প্রয়োজন মনে করি। আমার মতে ছেলে আর মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হলে এবং যদি উভয়ে উভয়কে পছন্দ করে সেই ক্ষেত্রে অন্যান্য সামাজিক বাঁধা আসলে কোন বাঁধা না। সংসার তো সমাজ করবে না। ‘মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া কারেগা কাজী’। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত থাকলে এই সব সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আসলে কোন প্রতিবন্ধকতা না।
অনেক সেলিব্রেটি এই ধরণের প্রতিবন্ধকতাকে থোড়াই কেয়ার করে। ফলে দেখা যায় এরা যখন ১ম, ২য়, ৩য় বা ৪র্থ বিয়ে করে তখন পাত্র বা পার্টির বয়স নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না।
সুত্র – কোন সুত্র নাই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
ছবি – এটা আমার বিয়ের ছবি না। ছবির সুত্র হল - EXPRES.CO.UK
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৮