
আমি এই লেখায় দেখানোর চেষ্টা করবো যে পৃথিবীতে যত ধরণের বড় অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ হয় সেই অপরাধগুলির শীর্ষে থাকে মুলত অমুসলিম জন অধ্যুষিত দেশগুলি। মুসলমান প্রধান দেশগুলি এই বড় মাত্রার অপরাধে প্রথম সারীতে নেই।
বিশ্ব জুড়ে সর্বজন স্বীকৃত বড় অপরাধের কিছু উদাহরণ হোল;
১। হত্যা বা হত্যার চেষ্টা
২। ধর্ষণ
৩। অগ্নিসংযোগ
৪। চুরি
৫। অপহরন
৬। গ্যাং বা মাফিয়া কর্মকাণ্ড
৭। যৌন হয়রানি
৮। ইনসেসট
৯। ডমেস্টিক ভায়োলেন্স
১০। ডাকাতি
১১। মাদকাসক্তি
১২। নারী এবং শিশু পাচার
উপরের অপরাধ ছাড়াও আরও কিছু অনৈতিক কাজ আছে যে কাজগুলি পৃথিবীর বৃহৎ ধর্ম সমুহের বিধান অনুযায়ী অনৈতিক।
১। সমকামিতা
২। জুয়া
৩। পতিতাবৃত্তি
৪। মদ
৫। ব্যভিচার
এখন দেখা যাক এই অপরাধগুলির ক্ষেত্রে কোন দেশগুলি শীর্ষে আছে। তবে উপরের সব অপরাধের উপরে উপযুক্ত জরীপ খুঁজে না পাওয়ার কারণে সামান্য কয়েকটা ক্ষেত্রে উপাত্ত দেয়া সম্ভব হোল না।
হত্যা বা হত্যার চেষ্টায় শীর্ষ ১০ টি দেশঃ
ওয়াইজ ভোটার ডট কমের জরীপ অনুযায়ী নীচের ১০ টা দেশে হত্যা বেশী হয়।
দেশের নাম প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় খুনের সংখ্যা
১। জ্যামাইকা - ৪৫ জন
২। হন্ডুরাস - ৩৬ জন
৩। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩ জন
৪। মেক্সিকো ২৮ জন
৫। সেইন্ট লুসিয়া ২৮ জন
৬। বেলিজ ২৬ জন
৭। কলম্বিয়া ২৩ জন
৮। ব্রাজিল ২২ জন
৯। ডমিনিকা ২১ জন
১০। গিয়ানা ২০ জন
উপরের একটা দেশও মুসলিম প্রধান দেশ না।
ধর্ষণে শীর্ষ ১০ টি দেশ ( উইকিপিডিয়া অনুযায়ী);
দেশের নাম প্রতি লাখে ধর্ষণের সংখ্যা
১। দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৬ জন
২। বতসোয়ানা ৯৩ জন
৩। সুইডেন ৬৪ জন
৪। নিকারাগুয়া ৩২ জন
৫। গ্রেনাডা ৩১ জন
৬। সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস ২৯ জন
৭। অস্ট্রেলিয়া ২৯ জন
৮। পানামা ২৮ জন
৯। বেলজিয়াম ২৮ জন
১০। যুক্তরাষ্ট্র ২৭ জন
উপরের একটা দেশও মুসলিম প্রধান দেশ না।
অগ্নিসংযোগ করার অপরাধে এগিয়ে থাকে দেশঃ
১। যুক্তরাষ্ট্র
এই ব্যাপারে আর কোন উপাত্ত খুঁজে পেলাম না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধমূলক অগ্নিসংযোগ সব চেয়ে বেশী হয়ে থাকে।
সুত্র - library.cqpress.com
চুরির অপরাধে শীর্ষে আছে যে ১০ টি দেশ
দা গ্লোবাল ইকনমি ডট কমের তথ্য অনুযায়ী;
দেশের নাম প্রতি লাখ জনসংখ্যায় চুরির ঘটনা
১। কোস্টারিকা ১৫৮৭ টি
২। আর্জেন্টিনা ৯২০ টি
৩। চিলি ৬৩৩ টি
৪। উরুগুয়ে ৫২২ টি
৫। ইকুয়েডর ৪৫৭ টি
৬। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩২ টি
৭। কলম্বিয়া ২৪৪ টি
৮। পানামা ২৪৩ টি
৯। পেরু ২২৩ টি
১০। মেক্সিকো ১৭৯ টি
উপরের সবগুলি দেশ অমুসলিম জন অধ্যুষিত দেশ।
অপহরনে শীর্ষ ১০ টি দেশ
জাতিসংঘের ২০১৮ সালের উপাত্ত অনুযায়ী;
১। পাকিস্তান
২। যুক্তরাজ্য
৩। জার্মানি
৪। মেক্সিকো
৫। মরক্কো
৬। ইকুয়েডর
৭। ব্রাজিল
৮। নিউজিল্যান্ড
৯। অস্ট্রেলিয়া
১০। নেদারল্যান্ড
উপরে শুধু পাকিস্তান এবং মরক্কো মুসলমান প্রধান দেশ।
হত্যায় শীর্ষে যে ৫০ টি শহর আছে তার মধ্যে এই দেশগুলির নাম আছেঃ
১। মেক্সিকো
২। যুক্তরাষ্ট্র
৩। ব্রাজিল
৪। দক্ষিণ আফ্রিকা
৫। জ্যামাইকা
৬। হাইতি
৭। ইকুয়েডর
৮। কলম্বিয়া
৯। পুয়েরটোরিকো
১০। হন্ডুরাস
সুত্র - Click This Link
উপরের একটা দেশ মুসলমান প্রধান দেশ না
ডমেসটীক ভায়োলেন্স – শীর্ষ ১০ টি দেশ
১। কিরিবাতি (অমুসলিম)
২। ফিজি (অমুসলিম)
৩। পাপুয়া নিউ গিনি ( অমুসলিম)
৪। বাংলাদেশ (মুসলিম)
৫। সলোমন আইল্যান্ড (অমুসলিম)
৬। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (অমুসলিম)
৭। ভানুয়াতু ( অমুসলিম)
৮। আফগানিস্তান (মুসলিম)
৯। ইকুইটারিয়াল গিনি (অমুসলিম)
১০। উগান্ডা ( অমুসলিম)
সুত্র - thelancet.com/article/S0140-6736(21)02664-7/fulltext#seccestitle120
উপরের ২ টা দেশ মাত্র মুসলিম রাষ্ট্র।
ইনসেসট (মুলত ভাই-বোন, বাবা-মেয়ে, মা-ছেলের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে এখানে) -
এই ধরণের যৌন সম্পর্ক যে কতটা নিকৃষ্ট কাজ সেটা আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু পৃথিবীতে বহু অমুসলিম দেশ আছে যেখানে এই ধরণের সম্পর্ক বৈধ। সঙ্গত কারণেই বোঝা যায় যে এই সব দেশে এই ধরনের অপরাধ অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় এই অমুসলিম দেশগুলিতে ইনসেসট কোন অপরাধ না, দেশগুলি হোল; আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, কিউবা, ফ্রান্স, ইতালি, ইসরাইল, জাপান, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, পেরু, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ড, ভেনিজুয়েলা। এছাড়া আরও কয়েকটি অমুসলিম দেশ আছে যেখানে ইনসেসট কোন অপরাধ না। পৃথিবীর কোন মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে ইনসেসট বৈধ না। অমুসলিম রাষ্ট্রগুলিই এই অনৈতিক কাজকে আইনের দ্বারা বৈধ করেছে।
সূত্র - Click This Link
ডাকাতিতে শীর্ষ ১০ টি দেশঃ
১। কোস্টারিকা
২। আর্জেন্টিনা
৩। চিলি
৪। উরুগুয়ে
৫। ইকুয়েডর
৬। দক্ষিণ আফ্রিকা
৭। কলম্বিয়া
৮। পানামা
৯। পেরু
১০। মেক্সিকো
সুত্রঃ Click This Link.
উপরের সবগুলি দেশ অমুলিম জন অধ্যুষিত দেশ।
নারীদের মদ এবং মাদকাসক্তি সমস্যায় শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। যুক্তরাষ্ট্র
২। স্কটল্যান্ড
৩। নিউজিল্যান্ড
৪। কানাডা
৫। ওয়েলস
৬। অস্ট্রেলিয়া
৭। আয়ারল্যান্ড
৮। চেচিয়া
৯। পোল্যান্ড
১০। যুক্তরাজ্য
সুত্র - https://ourworldindata.org/drug-use
উপরের কোন দেশই মুসলিম প্রধান নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রেও ঘুরে ফিরে এই দেশগুলির নামই হয়তো আসবে।
নারী এবং শিশু পাচারে শীর্ষ দেশ সমুহঃ
সুত্র - Click This Link
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ড এলাকায় পৃথিবীর ৫২.৩৬% সেক্স ট্রাফিকিং ভুক্তভুগি অবস্থান করে। রাশিয়া, পোল্যান্ড, ইউক্রেন, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, বেলারুস, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং স্লোভাকিয়া এই অঞ্চলে ১৪.০৭% সেক্স ট্রাফিকিং ঘটে থাকে। মদ্ধপ্রাচ্চের দেশগুলিতে বিশ্বের মোট সেক্স ট্রাফিকিংয়ের ৫.৯৮% ঘটে থাকে।
বাকি সেক্স ট্রাফিকিং ঘটে থাকে বিক্ষিপ্তভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে। উপরের উপাত্ত থেকে বোঝা যায় যে সেক্স ট্রাফিকিংয়ের সাথে মুলত অমুসলিম দেশগুলি জড়িত। মুসলমান দেশ সমুহে সেক্স ট্রাফিকিং ঘটে কিন্তু সেটা বিশ্বের মোট সেক্স ট্রাফিকিংয়ের তুলনায় তেমন বেশী না।
সমকামিতায় শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। নেদারল্যান্ড
২। স্পেন
৩। কানাডা
৪। বেলজিয়াম
৫। লুক্সেমবার্গ
৬। উরুগুয়ে
৭। সুইডেন
৮। আয়ারল্যান্ড
৯। যুক্তরাজ্য
১০। ডেনমার্ক
সুত্র - Click This Link
কোন মুসলিম রাষ্ট্র সমকামিতাকে সমর্থন করে না।
জুয়ায় শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। অস্ট্রেলিয়া
২। সিঙ্গাপুর
৩। আয়ারল্যান্ড
৪। ফিনল্যান্ড
৫। যুক্তরাষ্ট্র
৬। নিউজিল্যান্ড
৭। কানাডা
৮। নরওয়ে
৯। ইতালি
১০। যুক্তরাজ্য
সূত্র - Click This Link
কোন মুসলমান প্রধান দেশের নাম এই তালিকাতে নেই।
পতিতার সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। চীন - সাড়ে ৩৬ লাখ
২। রাশিয়া - ৩০ লাখ
৩। যুক্তরাষ্ট্র - ১৫ লাখ
৪। ব্রাজিল – ১৪ লাখ
৫। ভারত - ৬,৫৭,৮০০
৬। ভেনিজুয়েলা - ৪,৭৩,০০০
৭। নাইজেরিয়া - ৪,১০,০০০
৮। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গ ৩,৫০,৩০০
৯। জার্মানি ৩ লাখ
১০। কলম্বিয়া ২,৪৪,৪০০
সূত্র - Click This Link
উপরের একটা দেশও মুসলমান প্রধান না।
মাথা পিছু হিসাবে মদ খাওয়ার শীর্ষে যে দেশগুলি আছে;
১। মলদোভা
২। লিথুনিয়া
৩। চেক রিপাবলিক
৪। সেইচেলিস
৫। জার্মানি
৬। নাইজেরিয়া
৭। আয়ারল্যান্ড
৮। লুক্সেমবার্গ
৯। লাতভিয়া
১০। বুলগেরিয়া
সূত্র - Click This Link
উপরের একটা দেশ মুসলিম প্রধান না।
ব্যভিচারে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। থাইল্যান্ড
২। ডেনমার্ক
৩। জার্মানি
৪। ইতালি
৫। ফ্রান্স
৬। বেলজিয়াম
৭। নরওয়ে
৮। স্পেন
৯। ফিনল্যান্ড
১০। যুক্তরাজ্য
সুত্র - Click This Link
উপরের তালিকায় একটা মুসলিম প্রধান দেশের নাম নেই।
দুর্নীতিতে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
১। সোমালিয়া
২। সিরিয়া
৩। দক্ষিণ সুদান
৪। ভেনিজুয়েলা
৫। ইয়েমেন
৬। লিবিয়া
৭। হাইতি
৮। উত্তর কোরিয়া
৯। ইকুয়েটরিয়াল গিনি
১০। বুরুন্ডি
সূত্র - Click This Link
উপরে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাম আছে। যেমন সোমালিয়া (সিভিল ওয়ার বিধ্বস্ত একটা দেশ), সিরিয়া (এখনও যুদ্ধ চলছে), ইয়েমেন (এখনও যুদ্ধ চলছে), লিবিয়া (সিভিল ওয়ার বিধ্বস্ত একটা দেশ)।
গ্যাং বা মাফিয়া কর্মকাণ্ডে শীর্ষে আছে যে দেশগুলিঃ
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী যে সব দেশে সব চেয়ে বেশী গ্যাং অপরাধ সংঘটিত হয় তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাম সবার আগে আছে। ২০০৭ সালের তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে কম পক্ষে ৩০ হাজার গ্যাং আছে। ল্যাটিন অ্যামেরিকা এল সাল্ভেদরে প্রায় ৫০,০০০ গ্যাং সদস্য আছে। প্রায় ১ লক্ষ মেক্সিকান গ্যাং সদস্য আছে যারা ড্রাগ চোরাচালান করে থাকে। হাইতির পোর্ট অ প্রিন্সের ৪০% নিয়ন্ত্রণ করে গ্যাং সদস্যরা। জাপানের ইয়াকুজা গ্যাং পৃথিবীর অন্যতম বড় একটা গ্যাং। এদের প্রায় ৮৬,৩০০ সদস্য আছে। চিন এবং হংকং য়ের ত্রিয়াদ গ্যাং পৃথিবীর আরেকটা বড় গ্যাং। এদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১,৬০,০০০। ইউরোপের ইতালিতে প্রায় ২৫,০০০ গ্যাং সদস্য আছে। এদের সাথে সারা বিশ্বে যুক্ত আছে আরও ২,৫০,০০০ সদস্য। অস্ট্রেলিয়াতে মটর সাইকেল গ্যাং সদস্য তালিকা ভুক্ত আছে ৪৪৮৩ জন। নিউজিল্যান্ডে ২৫ টি গ্যাং আছে। মোট সদস্য সংখ্যা ৮০৬১ জন।
ক্রিমিনালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী শীর্ষ অপরাধ প্রবণ দেশগুলিঃ
১। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গ
২। কলম্বিয়া
৩। মিয়ানমার
৪। মেক্সিকো
৫। নাইজেরিয়া
৬। ইরান
৭। আফগানিস্তান
৮। ইরাক
৯। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক
১০। হন্ডুরাস
উপরে ইরান, আফগানিস্তান এবং ইরাকের নাম আছে। এই তিন দেশের মধ্যে আফগানিস্তান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। বলতে গেলে এখনও গৃহ যুদ্ধ চলমান। ইরাকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
উপরে যে অপরাধ বা অনৈতিক কাজগুলি উল্লেখ করা হয়েছে এটার সাথে অপরাধ প্রবণতা, সততা এবং নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। পৃথিবীর সব বড় ধর্মে এই অপরাধ এবং অনৈতিক কাজগুলি নিষিদ্ধ। উপরের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই অপরাধ এবং অনৈতিক কাজের শীর্ষে আছে অমুসলিম দেশগুলি। অমুসলিমরা যদি মুসলমানদের চেয়ে বেশী নিজ নিজ ধর্ম মেনে থাকে তাহলে কেন এই অমুসলিম দেশগুলি তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। এটার উত্তর হোল অমুসলিমরা সার্বিকভাবে তাদের ধর্মীয় অনুসরনের ক্ষেত্রে মুসলমানদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। মুসলমানরা অনেক অসততা ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকলেও বিভিন্ন ধরণের অপরাধ এবং অনৈতিক কাজকে একত্রে হিসাবে নিলে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অনুশাসন মানার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের চেয়ে এগিয়ে আছে। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ, পতিতাবৃত্তি, দুর্নীতি, মানব পাচার, মাদকাসক্তি, মাদক পাচার, জুয়া, মদ, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, শিশু নির্যাতনের মত ভয়ংকর অপরাধের বৈশ্বিক উপাত্ত পর্যালোচনা করলে মুসলমানদের অবস্থান অমুসলিম দেশগুলির চেয়ে ভালো।
বিশ্বে অস্ত্র এবং যুদ্ধ ব্যবসা কোন মুসলিম দেশ করে না। এগুলি করে থাকে বিশ্বের সুপার পাওয়ার বিশিষ্ট উন্নত এবং ধনী দেশগুলি। পৃথিবীতে বর্তমানে যতগুলি যুদ্ধ চলছে তার বেশীর ভাগে ইন্ধন জোগাচ্ছে এই ধনী এবং উন্নত দেশগুলি। এগুলি বড় মাপের অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ।
ছবি - গুগল প্লে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




