মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। তাই তো গান রচিত হয়েছে ‘ যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম, সদরঘাটের পানের খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম। ' বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয় একজন নেত্রী। কিন্তু আমার ধারণা এই জনপ্রিয়তার একটা বড় কারণ হল তার সৌন্দর্য। তার মত গায়ের রঙ বাংলাদেশের খুব কম মেয়েরই আছে। আমি ১৯৯৫ সালে তাকে সামনে থেকে একবার দেখেছিলাম। বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার আরেকটা কারণ হল উনি কখনও কটু কথা বলেননি। ওনার কথা সদা মার্জিত।
শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহু কথা বলেছেন যেটা শ্রুতিকটু এবং আপত্তিকর। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া জীবনে কখনও কোন বাজে কথা বলেননি। রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও এই দুই কারণে উনি জনপ্রিয়।
আসলে মানুষ সৌন্দর্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন না এই ব্লগের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমাদের শায়মা আপু যে সব হাবিজাবি থালা, বাটি, পায়েসের পোস্ট দেন তাতে ওনার পোস্টে এতো মন্তব্য আসার কথা না। কিন্তু মুলত সুন্দর মুখের কারণে এবং সুন্দর হাসির কারণে মানুষ ভুলে ওনার পোস্টে চলে আসে। ওনার পোস্টে বলার মত তেমন কিছুই থাকে না। কথার চেয়ে ছবি বেশী থাকে। ওনার ক্ষেত্রেও আরেকটা কারণ হল সুমিষ্ট কথা। কচি খোকা হোক কিংবা বয়সে ওনার নানার বয়সী কেউ হোক উনি সবাইকে ভাইয়ু বলে একদম নরম করে ফেলেন। নিজের বয়স সম্পর্কে তখন ওনার হুশ থাকে না। ওনার শত্রুও ওনার বাঁকা দাঁত বের করা হাসি আর ভাইয়ু ডাক শুনে মনে করে ইহার চেয়ে মিত্র ইহজগতে আর দুইটা নাই।
বিএনপি দলটা আমার দৃষ্টিতে তেমন কাজের কোন দল না। তবে জিয়াউর রহমানকে আমি খুব পছন্দ করতাম। ওনার মৃত্যুর পরে কেঁদেছিলাম। আমার নানীও জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করতেন। টিভিতে যখন দেখা যেত যে জিয়াউর রহমান খাল কাটার জন্য কোদাল দিয়ে কোপ দিচ্ছেন তখন আমার নানী বলতেন যে দ্যাখসো ব্যাডার গায়ে কেমন জোর, বাকিগুলি কোপ দিলে অর্ধেক কোদাল মাটি হয় আর জিয়া কোদাল দিয়ে কোপ দিলে পুরা কোদাল মাটিতে ভরে যায়। বিএনপি ইদানিং ভারত তোষণ করছে। কিন্তু ইহাতে জনগণ যে ক্ষুব্ধ হচ্ছে সেটা বিএনপির আধা পাগল রিজভি বা ভাঁড় মির্জা ফখরুল বুঝতে পাড়ছেন না। সামনের নির্বাচনে বিএনপির জেতার সম্ভবনা আছে। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা তারা পাবে বলে মনে হয় না। একমাত্র চালান জীন চালান দিতে পারলে হয়তো তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১০