আমি এসি ল্যান্ডের বিষয়টা একটু অন্যভাবে দেখবো।
আমি একটু ১৯৯৯ সাল থেকে ঘুরে আসতে চাই। মাজদার হোসেন মামলার ৩ নাম্বার পয়েন্টে বলে হয়েছে, "সকল ধরনের ম্যাজিস্ট্রেটের পরীক্ষা বিপিএসসি নিতে পারবে না।" তার মানে বিচার বিভাগ হবে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদ।
তবে এর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নাই, তবে প্রয়োজন পড়লে করতে হবে।
কিন্তু সিআরপিসির বেশ কয়েকটা ধারা পরিবর্তনের দরকার আছে। ধারা ১০, ৩৭, ২৬০, ২৬১, ২৬২ এগুলাতে পরিবর্তন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যায়গাতে যতক্ষন না জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কথাটা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে ততক্ষন বিচার বিভাগ আলাদা হচ্ছে না।
আমার মতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যতদিন পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে ততদিন পর্যন্ত আমরা মাঝে মাঝে মধ্যেই প্রাশাষনের কর্তাব্যক্তিদেরকে দেখবো এরকম অদ্ভুত অনৈতিক কাজ করতে।
আমার মতে মণিরামপুরের এসি ল্যান্ড, উনি সিস্টেমের বাইরে না। সিস্টেমটাই এখন এমন হয়ে গেছে যে ক্যাডারদেরকে হুজুর হুজুর করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলি। আর তারাও মনে করে আমরা জনগনের সেবক না, জনগনের স্যার। আমি যা বলবো এরা সেটা মানতে বাধ্য। না মানলে বিচার করার পাওয়ার তো আমার আছেই।
কিন্তু একটা সভ্য রাষ্ট্রে যখন বিচারিক পাওয়ার বিচার বিভাগের মানুষ না করে নির্বাহী বিভাগের মানুষ করে তখন সেটা আর সভ্য রাষ্ট্র হিসাবে থাকে না।
তাই দুদিন পর পর ঠাকুরগাও এর ডিসি, মণিরামপুরের এসি ল্যান্ডের দেখা যায়। সামনে আরো যাবে। নো টেনশন বাংলাদেশ। তোমাকে আমরা সভ্য বানাবো না, তোমার কিছু করার আছে? আমরা ঘাড় ত্যাড়া৷
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩১