somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধ এবং আমার অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং আজ আমাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই লেখায় আমি কোচিং ব্যাবস্থাকে যেভাবে প্রকাশ করবো তা একান্তই আমার নিজস্ব ভাবনা। আমি কোচিং ব্যাবস্থার পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলবো না। আমি একজন সাধারণ ছাত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে এই কোচিং জীবনটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

এক বুক আশা আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে যেদিন প্রথম ফার্মগেট ওভারব্রিজের উপর দিয়ে কোচিং অভিমুখে যাচ্ছিলাম, সেদিন নিজের মধ্যে কিছু একটা অনুভব করছিলাম। এটাকেই সম্ভবত দৃঢ়প্রত্যয় বলে। ওই অচিন শহরের বুকে নিজের একটা পরিচয় খুঁজে পাওয়ার প্রত্যয়। এই গল্প একটি স্বপ্নবাজ ছেলের সংগ্রামের। সেই ছেলেটির ভুমিকায় অভিনয় করেছি আমি, আমার বন্ধুরা, আমার সকল সহপাঠীরা।

কলেজ জীবনের দুটো বছর কিছু একটা (সেটাকে লেখাপড়া বলতে লজ্জা লাগছে) করার পর আমাদের কোচিং অভিমুখী হওয়ার প্রধান কারন হচ্ছে আমরা একটা দিক নির্দেশনা চাই, যা অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি সবচেয়ে বেশি সমস্যা বোধ করেছি এই দিকনির্দেশনা নিয়ে। প্রথম দিন কোচিং এ যাওয়ার সাথে সাথেই আমাকে কেজি দশেক গাইড দেওয়া হল। সেগুলো বাসায় টেনে সেই যে এনেছিলাম, আজও সেগুলো অমনই আছে। তবে সেগুলো আমার ঘরের কিছু তেলাপোকা আর নোংরা কাপড়ের সঙ্গ পেয়েছে অবশ্য। কোচিং এ বিভিন্ন দিন বিভিন্ন ভাইয়ার আগমনের সাথে উদ্ভুত হতো কিছু মতাদর্শ যা আমাদের আশার সাম্পানে তেল না দিয়ে ফুটোয় করতো বেশি। আর সেই মতাদর্শ গুলো বাড়ি ফেরার পথে বাসের মধ্যে ঝুলন্ত বান্দর স্বরূপ আমাদের মস্তিষ্কে বিবর্তিত হয়ে যে মহৎ এবং অপ্রতিরোধ্য যুদ্ধ পরিকল্পনায় পরিনত হতো তার ফলাফল আমি আগের লেখায় আপনাদের জানিয়েছি। আমি এখনও আমার এমন কোন বন্ধুকে পাইনি যে ঠিক করে বলতে পেরেছে যে আসলে এই তিন মাসে কিভাবে পড়াশুনা করা উচিত!

একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলেই আমরা বুঝতে পারবো, যে বই দুই বছরেও আমরা স্যারদের লেকচার, প্রাইভেট টিউটরদের লেকচার শুনেও শেষ করতে পারিনি তা কিভাবে তিন মাসে সপ্তাহে তিন দিন তিন ঘণ্টার লেকচার (প্রতি লেকচারে তিনটা অধ্যায় !!!! )শুনে শেষ করে ফেলবো। কিন্তু তবুও আমরা এটা বুঝবোনা। আমিও আমার সময় বুঝিনি, আমার পূর্ববর্তীরাও বুঝিনি, সম্ভবত পরবর্তীরাও বুঝবেনা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, “ তাইলে ভাইজান আপনি আজাইরা প্যাঁচাল পারতাছেন কান? ভাগেন মিয়া।” ভাইরে, বুঝবার দরকার না মনে করলে বুইঝবেন না, তয় মিলাইয়া দেইখেন। সুকি থাকতি বুতি কিলেয়।

আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তী লেখায় আপনাদের জানাবো আমার মেসে থাকার, খাওয়ার এবং পড়াশুনা করার অভিজ্ঞতা। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। মনে রাইখেন, আমি কিন্তু উনিবারচিটি কুচিং করেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×