“ যে আমি বিতর্ক করি
সে আমিই জ্বলে উঠি দ্বিমুখী শক্তির ঘর্ষে
নতুন সৃষ্টির অঙ্গিকারে।
যুক্তিযুদ্ধে সব্যসাচী, চেতনায় অনির্বাণ-
অন্তরের সীমানা বিস্তারে......”
- বিরূপাক্ষ পাল
আমার জীবনের খুব বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে বিতর্ক। যে বয়সে একটি ছেলে চার দেয়ালের বন্দিত্ব ভেদ করে বিপুলা এ পৃথিবীকে দেখতে শেখে, বুঝতে শেখে, সেই বয়স থেকেই আমি ভালবেসেছি বিতর্ক। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, আমি ভালবেসেছি একটি বিতর্ক ক্লাবকে- ‘কুষ্টিয়া জিলা স্কুল ডিবেটিং ক্লাব’কে। এই বছরের ৫ই জুন ক্লাবটি সাত বছর পূর্ণ করে আটে পা দিল। অনেকদিন ধরেই এ ব্যাপারে কিছু লিখব ভাবছি। আজ লিখতে বসে একটা দায়মুক্তির আনন্দ অনুভব করছি।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের বিতর্ক ইতিহাস অনেক পুরনো হলেও ২০০৫ সালে ডিবেটিং ক্লাব তার পথচলা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ নাফিস আহমেদ রুমি এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক রহমান। মডারেটর মোঃ রেজাউল করিম, সহকারী শিক্ষক, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল। তবে একজন মানুষের কথা আলাদাভাবে না বললে প্রতারণা করা হবে। তিনি হচ্ছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক এবং ডিবেটিং ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা জনাব কাজী নুরুল হক স্যার।
এভাবে পথচলা শুরু। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি
যাই হোক, বছরের প্রায় শেষের দিকে আমরা চলে এসেছি। কিছুদিন আগেই KZSDC এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে অভ্যন্তরীণ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও উত্সাব। সামনে নতুন বছরে আসবে নতুন কমিটি। তাদের প্রতি রইলো শুভ কামনা। এগিয়ে যাও বন্ধুগণ ! সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
আমরা বিশ্বাস করি এভাবে বিতর্ক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি যুক্তিবাদী, কুসংস্কারমুক্ত, মুক্তমনা সমাজ গড়ে তুলবো। তাইতো আমরা বলি- “শিক্ষার পরশে শান্তি, যুক্তির পরশে মুক্তি”। যুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হোক চারিদিক। আমরা শত শত তরুণ মিলে তারুণ্যের শতদল ফুটিয়ে তুলবো। দূর করব সকল প্রতিবন্ধকতা। সকল হতাশা। গড়ে তুলবো আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ।
জয়তু বিতর্ক।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



