ক্রিকেটের যেমন বিভিন্ন ফরম্যাট রয়েছে তেমনি বিতর্কেরও রয়েছে বিভিন্ন ফরম্যাট। বিভিন্ন মডেলের বিতর্ক আজকাল বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সংসদীয় বিতর্ক সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ঢাকার বাইরে এখনও এটি তেমন একটা প্রচলিত নয়। এখনও আমরা সনাতনী বিতর্কেই বুদ হয়ে রয়েছি। অনেকের মনেই সংসদীয় বিতর্কের নিয়মাবলী নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তা দূর করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা।
বিতর্ক অঙ্গনে ’৯১ এর সংবিধান সংশোধনীর আগে থেকেই বিভিন্নভাবে সংসদীয় বিতর্কের চর্চা প্রচলিত থাকলেও অনেকটা জাতীয় রাজনীতির উপচে পড়া প্রভাবে মূলধারার বিতর্ক মডেল এ পরিণত হয় ’৯২-’৯৩ বা সমসাময়িক সময়ে। অল্প সময়ের মধ্যে সংসদীয় রীতির বিতর্ক একটি জনপ্রিয় ধারায় পরিণত হয়। জাতীয় টেলিভিশনে এবং প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোতে সংসদীয় বিতর্কের প্রচলন বলে দেয় প্রচলিত সনাতন ধারা বা অন্য যে কোন ধারার মতই এই ধারাটিও সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী।
সংসদীয় বিতর্কের মুল ধারাটি এসেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউজ অব কমনস’ বা নিম্নকক্ষের অধিবেশনে আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক তর্কযুদ্ধকে অনুসরণ করে। এ পর্যন্ত সংসদীয় রীতির বাংলাদেশী এবং আন্তর্জাতিক রূপরেখায় তেমন বিশেষ কোন পার্থক্য নেই।
এখানে মোট ছয়টি পরিচ্ছেদে সংসদীয় বিতর্কের নীতিমালা বর্ণনা করা হবে।
১ম পরিচ্ছেদঃ পরিকাঠামো
২য় পরিচ্ছেদঃ স্পিকার, দায়িত্ব ও ক্ষমতা
৩য় পরিচ্ছেদঃ বিতর্কের বিষয়বস্তু ( সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা ), বিশ্লেষণ কৌশলপত্র
৪র্থ পরিচ্ছেদঃ বক্তব্যের বৈশিষ্ট্য
৫ম পরিচ্ছেদঃ পয়েন্টসমূহ
৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদঃ কিছু বিশেষ শব্দের ব্যাখ্যা
এভাবে কয়েক পর্বের মাধ্যমে সংসদীয় বিতর্কের নীতিমালা বর্ণনা করা হবে। সকলকে নিরন্তর শুভেচ্ছা। যুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত হোক চারিদিক। জয়তু বিতর্ক।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন ( বি ডি এফ )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



