এদিকে ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম বাংলানিউজকে অনুযোগ করে বলেন, ‘গত একবছরে সাংবাদিকরা ছাড়া আর কেউ আমাদের খোঁজ রাখেনি। ফিরেও তাকায়নি পরিবারটি কেমন আছে, কিভাবে চলছে’। শনিবার সরেজমিনে নাগেশ্বরীর রামখানার কলোনিটারী গ্রামে ফেলানীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বাংলা নিউজকে জানান, ১০-১২ দিন ধরে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তিনি কোনো সহায়তা পাননি মেয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার। পাশে এসে দাঁড়ায়নি কেউ। ফেলানীর মা জাহানা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘মেয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ধর্মীয় আয়োজনের সামর্থ তো আমাদের নেই। সরকারসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন কি এগিয়ে আসতে পারতো না? কেউ দেখতেও আসলো না, একবছর পর পরিবারটি কেমন আছে। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবসময় পাশে থাকার, খোঁজখবর নেওয়ার।’ ফেলানীর বাবা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘সরকারের কেউ ফিরেও দেখেনি আমাদের দিকে। কোােনা খোঁজ রাখেনি কেউ। সাংবাদিকদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। যতদিন বেঁচে থাকবো তাদের ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না। কারণ তারাই আমাদের খোঁজ খবর রেখেছেন’। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে এসে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা তুলে দিয়ে হাজার-হাজার মানুষের সমাবেশে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকার সব দায়িত্ব নেবে। দিয়েছিল পুনর্বাসনের অঙ্গীকার। কিন্তু কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ৫ সন্তান নিয়ে আমাদের দিন চলছে খেয়ে না খেয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



