১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে বাংলার অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল আওয়ামী চোরদের কারণে। অমর্ত্য সেন তার Poverty and Famines বইতে লিখেছিলেন--
" খাদ্য আমদানীর উপর নির্ভরশীল সরকার দেশে তীব্র দুর্ভিক্ষ হওয়া সত্বেও খাদ্য শস্য আমদানীতে সাফল্য দেখাতে পারেনি। ১৯৭৩ সালের তুলনায় ১৯৭৪ সালে কম খাদ্যশস্য আমদানী হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জন্য দরকারি দু’টো মাস সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে খাদ্য আমদানীতে ব্যাপক ঘাটতি ঘটেছিল। দেখা যায়, ১৯৭৩ সালে যেখানে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খাদ্য শস্য আমদানী করা হয়েছিল যথাক্রমে ২৬৩ ও ২৮৭ মেট্রিক টন ১৯৭৪ সালের একইসময়ে সেই আমদানী কমে আসে ২৯ ও ৭৬ মেট্রিক টনে। এদিকে, তখন কিউবাতে পাট রপ্তানী করার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে খাদ্য সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র বারংবার পাট রপ্তানী বন্ধে চাপ প্রয়োগ করলেও শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার সেই চাপকে উপেক্ষা করেছিল। অনেকেই মনে করেন সেটি ছিল ভুল বাণিজ্য নীতি ও পররাষ্ট্রনীতি।"
'৭৪ এর গণমাধ্যমও দুর্ভিক্ষের কারণে মারা যাওয়া মানুষের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করত না। শুধুমাত্র দৈনিক গণকন্ঠ ও বিদেশী কিছু পত্রিকায় দুর্ভিক্ষের ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা প্রকাশ পেয়েছিল।
তাজউদ্দিন আহম্মদ তখন প্রধানমন্ত্রীকে সচেতন করার চেষ্টা করেছিলেন।তিনি বিদেশ সফর শেষে '৭৪ এর অক্টোবরে দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন--
"বিদেশে বাংলাদেশের যে ইমেজ দেখে এসেছু তাতে আমার মন ভেঙে গেছে। বাইরে গেলে বাংলাদেশকে চেনা যায়। পত্রিকায় লেখা হয় মিঃ ফোর্ড বঙ্গবন্ধুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এতে দেশের ইমেজ নষ্ট হয়। ব্যক্তি বড় জিনিস নয়। জনগণ যদি মনে করে আমি যোগ্য নই, তাহলে গদীতে থাকার কোন অধিকারই আমার নেই। মানুষকে বাঁচাতে হবে। ভিক্ষের চাল দিয়ে পেট ভরে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সব দেশেই হয়। কিন্তু এমন অবস্থা হয় না। এ অবস্থার জন্য আমি আপনি দায়ী। পয়সা আনাটা বড় জিনিস নয়।"
এই ঘটনার পর ২৬ অক্টোবর '৭৪ সালে শেখ মুজিব সাহেব তাজউদ্দীন আহম্মদকে দেয়া চিঠিতে লিখেন --
"প্রিয় তাজউদ্দীন আহম্মদ,
বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আপনার মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত থাকা সমচিন নয় বলে আমি মনে করি। তাই আপনাকে আমি মন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সাথে আপনার স্বাক্ষরের জন্য পদত্যাগপত্র পাঠানো হল।
ইতি-শেখ মুজিবুর রহমান ।
১) ক্ষমতার লোভে জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মিকে গ্রেপ্তার করেছিলো
২) সিরাজ শিকদার এর মত বিপ্লবী কে ক্রসফায়ার করে হত্যা করেছিলো
৩) বাকশাল গঠন করেছিলো সমস্ত রাজনৈতিক দল কে নিষিদ্ধ করেছিলো
৪) অবহেলায় ১৯৭৪ এ দূরভিক্ষে অনেক মজা মারা গিয়েছিলো
৫) তার রাজনৈতিক গুরু আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কে অপমান করে দল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন
৬) তাজউদ্দিন আহমেদ কে প্রধানমন্ত্রী এর পদ থেকে সরিয়ে নিজেই প্রদান মন্ত্রি হয়েছিলেন
৭) সিনিয়র সব নেতার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতেন তাদের তুই বলে সম্বোধন করতো
৮) তার ছেলে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশ চিনতে না পেরে গুলি করেছিলো
৯) তার মৃত্যুর তখনকার সাধারণ মানুষ খুসি হয়েছিলো তার দলের কোন নেতাকর্মি দেখতে আসেনি আমেরিকার বিখ্যাত চ্যানেল নিউজ করেছিলো মনে হচ্ছে এই শহরে কিছুই ঘটেনি
১০) তার মৃত্যুর পর তখনকার মন্ত্রিপরিষদ এর স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল বলেছিলো দেশ একটা ফেরাউন এর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
১১) ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য রক্ষি বাহিনী গঠন করেছিলো এবং দেশব্যাপী সরকার বিরোধী দের হত্যা এবং নির্যাতন করেছিলো
১২) জনগনের ত্রান-সাহায্য লুট করেছিল.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



