সুমন প্রতিদিন স্কুলে যায়। আজও স্কুলে যাচ্ছে তবে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় বাবার বকুনি খেতে হয়েছে। মনটা ভিষণ ভার। নিচে ডাইভারকে না দেখে সে চেঁচিয়ে বলল -
এ্যই ড্রাইভার কাক্কু , তুমি কোথায় ? তারাতারি আসো।
কোথায় ড্রাইভার ? কোথায় কে, কেমন অদ্ধুত লাগছে।
প্রতিদিন ডাক দিতে না দিতেই সবাইকে পেয়ে যায় অথচ আজ কারো কোনো সাড়া নেই।
ড্রাইভারের রুমে গিয়ে তার মেজাজ আরও বিগরে গেল। ড্রাইভার ঘুমোচ্ছে !
আরে কাক্কু আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে না ?
ড্রাইভার চমকে উঠে চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। ড্রাইভার অত্যন্ত আবেদনের সাথে বলল- কাক্কু গাড়ি যে কাল নষ্ট হয়ে গেল, তোমাকে তো বলাই হয়নি।
গাড়ি নষ্ট হলে আমি যাব কী করে ?
আমি কী করব বল ? রাগ করে সে বেরিয়ে গেল।
সাধারনত গাড়িতে না গেলে সুমন হেঁটেই স্কুলে যায়।
আজও তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে হেটে চলছে রাস্তার পাশ দিয়ে। হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার মাঝামাঝি অবস্থানে এসে তার মনে হল, কে যেন তার মাথায়, চুলে হাত বুলাচ্ছে আলতো করে।
তখনই সে মাথা ঘুরালো পেছনে। কিন্তু কই কোনো লোক নেই!ভাবতেই তার মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করে উঠল... ...... ..... .........।
চোখ বন্ধ ... ... চোখ খোলার চেষ্টা কর... ... ভয় নেই। পাশে থেকে কেউ বলছে তাকে বারবার।কিন্তু চোখের পাতা সে তুলতে পারছে না। আচমকা চোখে পানি আসতেই এমনিতেই চোখ খুলে গেল।বাবা তোমার কী হয়েছে ?
.... .... .... সুমন কেঁদে উঠল।
অস্পষ্ট স্বরে কিছু কথা বলার চেষ্টা করল কিন্তু গলাটা ভীষণ ধরে এল। তখন সে দেখতে পেল তার সামনে কেউ বলছে -
আমি ছোকড়া ভূত !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




