somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফাল্লুজার শিশুরা তেজস্ক্র্রিয়তার শিকার

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মার্কিন সেনারা ইরাক ত্যাগের সময়ে ফাল্লুজা নগরীর বাসিন্দা ও চিকিৎসকরা অভিযোগ তুলল যে মার্কিন সেনারা এই শহর দখলের সময় যে প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল সে সময় তারা যে বোমা ও মিসাইল ব্যাবহার করেছে তাতে ইউরেনিয়াম ও ফসফরাস পাওয়া গেছে। কেউ তাদের কথায় গা করলনা কারন এই সরকার মার্কিনীদের পছন্দের এবং মার্কিনীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা নিষেধ। ২০০৫এ ডাক্তার সামিরা আলানি একজন শিশু বিশেষজ্ঞ একান্ত নিজের উদ্যোগে হাসপাতাল গুলোতে জন্ম নেয়া কিছু অস্বাভাবিক শিশু যাদের পেট ফাড়া, নাড়ি বেরনো, এক চোখা, মাথার অর্ধেক নেই, হাত পা হীন জন্ম নিচ্ছিল। এই শিশুরা ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরেই মারা যাচ্ছিল। বেচে থাকা কজনের খুব কষ্টকর ও ব্যয়বহুল জীবনযাপন করতে হচ্ছিলো। সামিরা প্রায় সব শিশুর মায়ের উপর চিকিৎসা করল ও পূর্ব পুরুষদের রোগ শোকের খবর নিল। শক্ত সামর্থ্য এইসব ইরাকি মহিলারা প্রায় নিরোগ ছিল। আরও অভিযোগ এলো অকাল গর্ভপাতের ঘটনা যা সাধারনত ঘটেনা। বেশ গোপনে চুল এবং বেচে থাকা শিশুদের ঘায়ের নমুনা জার্মানিতে পাঠাল। প্রথম যা ধরা পড়ল তা ইউরেনিয়ামের ঊপস্থিতি। ফাল্লুজার বাসিন্দারা একথা বলেছিল যে তাদের শহরে যে বোমা , গুচ্ছ বোমা ও মিসাইল ফেলেছিল সেনারা তারা ভেবেছে এটি তারই কোন তেজস্ক্র্রিয়তা থেকে হবে হয়ত। কিন্তু সরাসরি ইউরেনিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি তাদের ভাবিয়ে তুলল । এযে সুদূরপ্রসারী এক চক্রান্ত তা বুঝতে আর বাকি রইলনা ফাল্লুজার ইরাকিদের। স্থানীয় সরকার নালিশ পেল কিন্তু গা করলনা তেমন। পূর্ণ গবেষণায় বেরুল এটি ডি ইউ বা ডিপ্লিটেড ইউরেনিয়াম যা ইউরেনিয়ামের বর্জ্য বিবেচিত হয়। এই কম রেডিয়েশন সম্পন্ন ডি ইউ ধীরে মানুষের দীর্ঘ ক্ষতি সাধন করে প্রায় নীরবে। প্রায় বিনা মুল্যে ইউরেনিয়াম পরিশোধন ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য থেকে প্রাপ্ত এই জিনিস ব্যাবহারে সফলতা পাওয়ায় মার্কিনীরা গোপনে দারুন খুশি। অর্থাৎ সামনের দিনগুলোতে এই নিরব ঘাতককে ব্যাবহার করা যাবে মিসাইলের অয়ারহেড হিসাবে। হিরোশিমাতে যে তেজস্ক্রিয়তা হয়েছিল এই অমুল্য রতন তার থেকে বহুগুন শক্তিশালী।পারমানবিক বর্জ্য এখন ডাম্পিং এর জন্য জায়গা খুজতে হবেনা বরং তা ব্যাবহার হবে গুচ্ছ বোমা ও মিসাইলের মাথায়।অসুখ চাই আর চাই পরিত্রান। কিন্তু এই অসুখের কোন পরিত্রান নেই বরং মানবকুলকে পঙ্গু করে দেওয়ার অসাধারন এক পদ্ধতি আবিস্কার হল ।
ডঃ আলানি ২০০৯ পর্যন্ত ফাল্লুজার একটি হাসপাতালেই ৬৭৭ টি সদ্য জন্ম নেয়া বিকলাঙ্গ শিশুর চিকিৎসা করেছেন।এই বিকলাঙ্গতার কোন মেডিকাল টার্ম নেই যাকে দিয়ে একে পরিচিত করান যাবে। সাধারনের মধ্যে হার্ট, লিভার, কিডনি ও মস্তিষ্কের অসুখ ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। শিশুদের অধিকাংশই বেচে নেই বহুবিধ রোগের কারনে।এই শিশুদের পিঠের হাড় ও স্পাইন এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ যে বেচে থাকার কোন আশ্বাস দেওয়া যায়না। কিন্তু আমরা তাদের ছবি সংরক্ষন করছি এবং তাদের মা বাবার বৃত্তান্ত।চার বছরের আব্দুল জলিল মোহাম্মেদ পিঠে বড় মাংসপিণ্ড নিয়ে জন্মেছে । ডাক্তাররা কোনভাবেই ওই পিণ্ডকে অপসারন করতে পারছেনা।তার হৃৎপিণ্ডে দুটি ছিদ্র, পেশির অক্ষমতা, ব্লাডার নিয়ন্ত্রণহীন, এবং নির্ভরশীলতা। ডাক্তাররা বলেছেন তার মাথায় ভবিষ্যতে পানি জমে বিপদাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি করবে।আব্দুলের নার্ভাস সিস্টেমে গোলযোগ তোঁ আছেই। আলানি ও ব্রিটিশ চিকিৎসক খ্রিস্টোফার বাসবি যৌথ এক গবেষণার পর ২০১১ তে একটি গবেষণাপত্রে বলেন ফাল্লুজার মাটি, পানি ও চুল থেকে ইউরেনিয়াম, মার্কারি, বিসমুথ এর মতো উপকরন পাওয়া গেছে।রিপোর্টের কিছু অংশঃ"Whilst caution must be exercised about ruling out other possibilities, because none of the elements found in excess are reported to cause congenital diseases and cancer except Uranium, these findings suggest the enriched Uranium exposure is either a primary cause or related to the cause of the congenital anomaly and cancer increases. Questions are thus raised about the characteristics and composition of weapons now being deployed in modern battlefields."
সদ্য জন্ম নেয়া শিশু বাদে বড়দের মধ্যেও নানা রকমের রোগশোক দেখা যাচ্ছে যা পূর্বে ছিলনা। ফাল্লুজা ছাড়াও অন্যান্য এলাকাতে প্রায় একই প্রকোপ দেখা যাচ্ছে কিন্তু ভীত ডাক্তাররা মুখ খুলছেন না। একজন সাহসী নারী ডাঃ সামিরা আলানি নির্ভীক চিত্তে এর উপায় বের করার একটা দৃশ্যমান ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।



















































সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×