মাহিয়া আক্তার পিংকি ও বিপ্লব বেপারি দুই ভাইবোন। তাদের মা ১ বছর ৫ মাস ধরে বিদেশে কাজ করছে। আর মা বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই খালার বাড়িতে থাকে তারা।শিশু দুটির খালার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা গ্রামে। কিন্তু ছোট ছোট কিছু বিষয় নিয়ে তাদের করা হয় নির্যাতন। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই ভাইবোন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকায় দাদার বাড়িতে চলে যাবে তারা।
অসীম সাহসী দুই অ্যাডভেঞ্চারার গত ৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা যাওয়ার কথা বলে তারা খালার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন তাদের খালা।
গত কয়েক দিনে টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে ভাটারা থেকে শিশু দুজনকে উদ্ধার করে সিআইডি। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, দাদার বাড়ি যাওয়ার জন্য ঢাকায় এলেও বাসা হারিয়ে ফেলায় তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। গুলশান পার্কের কাছে তারা কান্নাকাটি করা অবস্থায় এক রিকশাচালকের নজরে পড়ে তারা । দুজন জানায় তাদের বাবা মা নেই । একপর্যায়ে ওই রিকশাওয়ালা তাদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানেই তারা এই ক’দিন ছিল। এরই মধ্যে একটি ফোনের দোকান হতে তারা তাদের বাবার নাম্বারে ফোন করে আব্বু আব্বু বলে ডাক দেয় । কিন্তু বাবা কোন জবাব দেয়নি । এরপর রিকশাওয়ালা তার মোবাইল থেকে ওদের বাবার নাম্বারে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করে আপনার বাড়ি কি ফরিদপুর ? বলেই রিকশাওয়ালা ফোন লাইন কেটে দিয়ে মোবাইল অফ করে। এই ছিল সম্ভাব্য খুজে বের করার একমাত্র উপায় । সি আই ডিতে অপহরন মামলা এলে তারা বাবার কাছে থাকা ২০ সেকেন্ডের ওই কল নিশানা করে ফোনের দোকান হয়ে রিকশাওয়ালার ভাটারার বস্তিতে । উদ্ধার হয় শিশু দুটি এবং তারা এখন ফরিদপুরের সেই খালার বাড়িতে ।
শিশু দুটিকে নিয়ে যাওয়ার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় সিআইডি কারন রিকশাওয়ালার আচরন সন্দেহজনক ।
সি আই ডির এই অপারেশন অভূতপূর্ব ।
আমরা সব পারি শুধু সুস্থ চেষ্টা আর দায়িত্ববোধ মুল বিষয় ।
খালাদের চরিত্র উন্মোচিত এখানে । মা বাবার সম্পর্ক নষ্ট হলে সন্তানদের উপর দিয়ে কি ঝড় বয়ে যায় এই ঘটনা তার প্রমান । ১৩ বছরের এই মেয়েটি যদি পাচার হয়ে যেত !! খুব কষ্টকর এইসব ভাবনা ।
আমার জীবনে হারিয়ে যাওয়া দুটি শিশুকে তাদের মামা আর বাবার হাতে তুলে দিয়েছি গুলিস্তানে , মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে ।
ব্লগার , হারিয়ে যাওয়া শিশুদের সহায়তা দিন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬