ধর্ষণ মামলায় প্রথম মৃত্যু দণ্ডের আদেশ হয়েছে টাঙ্গাইলে । ৫ জন আসামির দুজন হাজির ছিল আদালতে , বাকি তিনজন জামিনে ছিল । টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের সুনিল চন্দ্র শীলের ছেলে সাগর চন্দ্র শীল, দিগেন চন্দ্র শীলের ছেলে গোপি চন্দ্র শীল, চারালজানি গ্রামের বাদল চন্দ্র মনিঋষির ছেলে সঞ্জিত চন্দ্র মনিঋষি, সুনিল মনিঋষির ছেলে সুজন মনিঋষি এবং মনিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে রাজন চন্দ্র।
তাদের মধ্যে সঞ্জিত চন্দ্র মনিঋষি ও গোপি চন্দ্র শীল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষনার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকি তিন আসামি জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করেছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌশুলী (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ২০১২ সালে সাগর শীলের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভূঞাপুরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি সাগর ভূঞাপুর এসে ওই ছাত্রীকে কৌশলে মধুপুরে নিয়ে যান। মধুপুরের চারালজানি গ্রামে রাজনদের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চান সাগর। কিন্তু বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সাগর তাকে ধর্ষণ করেন। পরে সেখানে মেয়েটিকে আটকে রাখা হয়। ১৭ জানুয়ারি রাতে মধুপুরে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে মেয়েটিকে সাগরসহ পাঁচজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরদিন (১৮ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে তার অভিভাবকরা এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। ওইদিনই (১৮ জানুয়ারি) ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনই পুলিশ আসামি সুজনকে গ্রেফতর করে। সুজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে অন্য আসামিরাও গ্রেফতার হন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২১