১৬ অক্টোবর ভোরে এক নবজাতকের জন্ম দেন শাহিনুর নামের এক নারী। জন্মের পরপরই ঐ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে হাস্পাতালের গ্লাভস রাখার একটি প্যাকেটে ভরে শাহিনুরের স্বামী ইয়াসিনের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসক জানান সন্তানটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। হাসপাতাল কর্মচারিদের কথামতো সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান ইয়াসিন। তবে অর্থসঙ্কট থাকায় শিশুটিকে নিয়ে যেতে বলা হয় অপেক্ষাকৃত কম খরচের রায়েরবাজার কবরস্থানে।
রায়েরবাজারে নিয়ে গেলে শিশুটির জন্য একটি কবর খোঁড়া হয়। সব প্রস্তুতি শেষ করে যখন কবরে রাখা হবে এমন সময় নড়ে ওঠে শিশুটিকে রাখা বাক্সটি। জীবনের অস্তিত্ব জানান দেয় নবজাতক। পরে সেখান থেকে নবজাতকে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে আসেন ইয়াসিন।
বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে শিশুটি চিকিৎসাধীন আছে। সেখানের চিকিৎসকরা বলেছেন, নবজাতের অবস্থা তেমন ভালো না, যেকোনো সময় কিছু ঘটে যেতে পারে।
ইয়াসিন মোল্লা জানান, ঢামেক হাসপাতালে সন্তান জন্মের পরপরই সেখানের লোকজন হ্যান্ড গ্লাভস রাখার একটি খালি বড় প্যাকেটে ভরে নবজাতকটিকে মৃত বলে আমাকে দেন। সেই প্যাকেটটি নিয়েই আমি কবরস্থানে গিয়েছিলাম। সেখানে নড়ে ওঠে আমার নবজাতক সন্তান।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, নবজাতকটি জীবিত আছে। সে ভালো আছে ও তার চিকিৎসা চলছে।
প্রিয় ব্লগার , এ এমন বিচিত্র তেমন কিছু নয় এই বাংলাদেশে । প্রায় খরচবিহীন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেই মানুষ সরকারি হাসপাতালে যায় । শিশুটিকে কোন সাপোর্ট দেওয়া বা ই সি জি করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল কিনা জানবার উপায় নেই । আমার বয়েসি ভাতিজা সেইই সময়ে দাই এর হাতে জন্ম নিলে তার নড়াচড়া কিছু না দেখে বুকে কান পেতে কান্নার রোল উঠলো । সদ্যজাত মৃত শিশুকে কবর দেয়ার প্রস্তুতিতে জন্মদাত্রী দেখতে চাইলেন , আমার ভাই বাচ্চাকে উঠানোর সময় খেয়াল করলেন নাকের তুলো নড়ছে । তিনি শিশুর কানের কাছে জোর আওয়াজে ধমক দিলেন । শিশুটি কেদে উঠলো ভয়ে । জীবিত শিশু মায়ের কোলে গেল । বাড়িতে হাসির রোল উঠলো । ১৯৫৭ সালে এক গণ্ড গ্রামের কথা ।
আলোচ্য শিশু যদি আজিমপুরে দাফন হত তবে জানবেন একটা জীবিত শিশু কোন অপরাধ ছাড়াই দাফন হত , জোরে বলেন আলহামদুলিল্লাহ ।
আমরা সপ্ত আসমানের কোন স্তরে আছি জানিনা তবে আমরা বড্ড নির্বোধ স্তরে আছি এতটুকুই বুঝি ।
জাযাকাল্লাহ খাইরান ।।
পুনশ্চঃ বোল্ড অংশটি আবার পড়ুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০২