ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য সচিব কাতর কণ্ঠে বললেন ভাইরাস সর্বত্র । হাসপাতালগুলোয় সিট নেই , অক্সিজেনের অভাব । কোভিড চেকিং এ লম্বা গাড়ির সারি । একমাত্র নিরাপদ জায়গা হচ্ছে ঘর । তাকে দেখে বিপর্যস্ত লাগছিল । স্বাস্থ্য কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা ব্যাস্ত জীবিত রোগী বা মরদেহ নিয়ে । হাসপাতালে আলাদা বেড বসিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে । এখন বাকি জরুরি অবস্থা জারি ।
একটু আগে হু প্রধান বললেন চীনা কতৃপক্ষ দুজন হু এক্সপার্টকে উপদ্রুত এলাকা যেখানে ভাইরাস প্রথম সঙ্ক্রমন হয়েছিল সেখানে ঢুকতে দেয়নি । হু প্রধানকে বেশ নাখোশ মনে হল ।
কাল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সেনাবাহিনীর সমাপনি কুচকাওয়াজে দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন প্রতিটি মুহূর্ত প্রস্তুত থাকতে হবে যুদ্ধ করার জন্য । ভাবলাম আরেকটি যুদ্ধ কি লেগে গেল কিনা । জানলাম এটা চীনাদের প্রতিনিয়ত শ্লোগান , ডোন্ট গেট নারভাস । আলিবাবা ই কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা গত দুমাস ধরে গায়েব । মনে করা হচ্ছে তাকে গুম করা হয়েছে । জ্যাক গেল অকটোবরে চীনা নেতাদের অর্থনীতি জনিত কার্যকলাপে সমালোচনা করেছিলেন , ব্যাস যাবে কোথায় ন্যাটা , গুম হয়ে গেছে ।
ভারতের টিকা নিয়ে বেশ জম্পেশ কাণ্ড কারখানা শুরু হয়েছে । আমি একজন অজানা লেখকের লেখা কিছুটা তুলে দিলাম ।
-----ভারত যখন টিকা পাবে আমরাও তখন পাবো। আমাদের ভারতের টিকা পাওয়া ব্যহত হবেনা কারণ টিকা কেনা হচ্ছে জিটুজি চুক্তি মানে সরকারে সরকারে চুক্তির ভিত্তিতে। তিনটাই নির্জলা মিথ্যা কথা। প্রথমত সেরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা একই দিনে বলেছে ভারত টিকা কিনছে তাদের কাছে থেকে প্রতি ডোজ ২.৭৪ ডলারে। আর মন্ত্রী ১৫ ডিসেম্বরে নিশ্চিত করেছে যা প্রথম আলোতে ছাপাও হয়েছে তা হচ্ছে, সরকার টিকা কিনছে ভারত থেকে প্রতি ডোজ ৫ ডলারে।
আমরা এর মধ্যেই জেনেছি ভারত যখন টিকা পাচ্ছে তখন আমরা পাচ্ছিনা। বেক্সিমকো গতকাল নিশ্চিত করেছে এটা জিটুজি চুক্তি নয় এটা দ্বিপাক্ষীয় বেসরকারি ব্যবসায়িক চুক্তি।
এরা এতো মিছা কথা বলে কেন? এতো মিথ্যাচার এদের মজ্জার যে এদের সমালোচনা করতেও আর রুচি হয়না। এইসব অপদার্থ আমরা পয়সা দিয়ে পালি।
এইবার আসেন আসল কথায়। ভারত টিকা দেবে ৩ কোটি ডোজ। আমি খুব শিওর না এতে তিন কোটি মানুষের টিকা দেয়া যাবে নাকি দেড় কোটি মানুষকে দেয়া যাবে? কারণ একেক মানুষের জন্য দুইটা ডোজ টিকা লাগবে। আমি যদি ধরেও নেই তিন কোটি মানুষের জন্যছয় কোটি ভায়ালের কথা বলা হচ্ছে, তাহলে দেশের বাকী পনেরো কোটি মানুষ কোথায় থেকে ভ্যাক্সিন পাবে? পনোরো কোটি মানুষের ভ্যাক্সিনের খোজ নাই আমরা ভগ্নাংশের ভ্যাক্সিন নিয়ে কেন কথা বলতেছি?
আমরা চাইনিজ ভ্যক্সিন নিলাম না। তারা বিনা পয়সায় দিতে চেয়েছিলো। তারা ট্রায়াল করতে চেয়েছিলো শুধু। তখন মন্ত্রনালয় বসে কত টাকা মারা যায় এই প্রজেক্ট থেকে সেই হিসাব করতেছিলো। চায়নার কোম্পানী সিনোভ্যাকে টিকার পরীক্ষা সফল হলে সিনোভ্যাক বাংলাদেশকে টিকা তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করতো। সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের কোম্পানি দেশেই টিকা উৎপাদন করতে পারতো। সেটাকে হেলায় দুরে ঠেলে ফেলা হয়েছে। সিনোভ্যাক নাকি টাকা চেয়েছিলো পরীক্ষার জন্য। এটাও ডাহা মিথ্যা কথা।------- গল্প শেষ ।।
ভারতে দুরকম টিকা বানানো হয়েছে । আস্ত্রাজেনেকা আর কভিশিল্ড । কভিশিল্ড এই কদিন হয় শুনছি । আগে জানতাম আস্ত্রাজেনেকা অক্সফোর্ড – ভারত যৌথ সহায়তায় তৈরি এবং বাংলাদেশ তাইই পেতে যাচ্ছে । এখন শুনছি কভিশিলড তৃতীয় ট্রায়ালও সম্পন্ন করেনি । আসলে কি ঘটছে তাইই জানিনা । একটা ঝাক্কাস সিনেমা স্ক্রিপ্ট হতে পারে এই কাহিনী নিয়ে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩