মাইক পম্পেই
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট গতকাল রাতে মিডিয়া লাইভে এসব নতুন তথ্য দিলেন আধা ঘণ্টা ধরে। খোদ তেহরানেই আল কায়দার সদর দফতর স্থাপন করা হয়েছে । আয়মান আল জাওয়াহিরি এখন ইরানে তবে এসব তথ্যের কোন প্রমান তিনি দিতে পারেননি । গেল বেশ ক’বছর ধরে আল কায়দার বেশ দুরাবস্থা যাচ্ছিল । ২০০২ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধংসের পরই ওসামা বিন লাদেন তার পরিবারের ১৩ সদস্যকে গাধার পিঠে চড়িয়ে ইরানে সৌদি দুতাবাসের পথে পাঠান । মাত্র ঘণ্টার মধ্যেই তিনি নিজে দুই স্ত্রী সহ অজানা পথে যাত্রা শুরু করেন । তার সন্ধানে মার্কিন বিমান তোরা বোরা পর্বত এলাকায় ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে । পরের কাহিনী সবার জানা । মাইক পম্পেই ইরানকে বেছে নেওয়ার কৌশলগুলো তুলে ধরলেন । পাকিস্তান এবং আফঘানিস্তান কায়দার পুরাতন এলাকা বলে যোদ্ধাদের লুকিয়ে থাকার , অস্ত্র গোলা বারুদ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও ভাড়াটে সৈন্য পাওয়া সহজ হবে এইসব এলাকায় । ইরান এখন আরব বিদ্বেষী হওয়ায় এই সুবিধা আল কায়দা পুরোটা ব্যাবহার করবে। ট্র্যাম্পের একটা ইচ্ছা ছিল ইরান আক্রমনের । সম্ভবত আল কায়দা ইস্যু তার জানা ছিল এবং ইরানের নিউক্লিয়ার প্রকল্পে মাত্রাতিরিক্ত ইউরেনিয়াম উৎপাদনকে ইস্যু করে আরেকটি ইরাক বানানোর পরিকল্পনা করছিল মার্কিন প্রশাসন । ২০ জানুর আগে সেক্রেটারি অফ স্টেটএর এই ঘোষণা একটা মুলা ঝুলিয়ে রেখে যাওয়ার বিষয়ের মত । যুদ্ধ ছাড়া মার্কিন অর্থনীতি শুন্য । সি আই এ র দেওয়া তথ্য একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না । আমরা অপেক্ষায় কাল কি ঘটে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১১