

যারা খুব ভোরে ওঠেন এবং ঘরের কাজ কিছু থাকলে তা সেরে অফিস যান তাদের দুপুরে চোখ লেগে আসে । চেয়ারে বসে ঝিমিয়ে নেন কিছুক্ষন । যাদের ঝিমানোর পরিবেশ নেই তারা বাকি কাজটুকু মেজাজ খারাপ নিয়ে করেন বা যত্ন হয়না সেই কাজের । অনেক আগে আমেরিকান বিগ বসদের ওপর জরিপ হয়েছিল ন্যাপ নেন কিনা । প্রায় সবাই হ্যা বলেছিলেন দু একজন বাদে । প্রায় দু বছর আগে হুয়া ওয়েই মোবাইল কোম্পানির সিটিতে জরিপ চালিয়ে পাওয়া গেল এই সব তরুন ইঞ্জিনিয়াররা সবাই তাদের ওয়ার্ক ষ্টেশনে ডেস্কের নিচে ভাজ করা স্লিম বেডে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন । সাধারনত ১২ টায় লাঞ্চ টাইম । ডাইনিং রুম থেকে নিজের বাটিতে খাবার নিয়ে চপ সটীক দিয়ে চট পট খেয়ে বেড আন ফোল্ড করে ৪০ মিনিটের ঘুম । এই ঘুম তাদের ফ্রেশ করে দেয় । নিজের কথাই বলি । স্কাল্পচার স্টুডিও থেকে ১২ টার আগেই আমাদের ডরমিটরি বিল্ডিঙের নিচ তালায় বিদেশীদের ডাইনিং । পছন্দ সই যা সেলফে থাকে আজকের মেন্যু তা থেকে অর্ডার দিয়ে তারপর খেয়ে সোজা নয় তালায় রুমে । শবাসন করতাম আমি । ১ ঘণ্টা বাদে আবার কাজে ফেরা । শরীরটা বেশ চনমনে থাকতো , কাজও ভাল হতো। হুয়াওয়েই যখন পশ্চিমের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়লো তখন একদিন কোন পত্রিকায় ঐ শোবার ছবি দিয়ে সবাইকে তাজ্জব করেছিল হুয়াওয়েই । আজকে সিনিয়র ফোরামে একজন একটা ছবি দিয়ে চীনা কর্মীদের গুনগান গাইলেন । এই গুনগান আমরাও ৩৫ বছর আগে ভোগ করেছি ডরমিটরি কাছে পিঠে ছিল বলে । হুয়াওয়েই কর্মীরা যারা ওভারটাইম করেন তারা দুপুরে খাওয়া এবং ঘুমানোর জন্য ২ ঘণ্টা সময় পান । এই সুবিধা মার্কেটিং বা সেলস এ যারা থাকেন তারা পাননা । সব কোম্পানিতেই এই সুবিধা নেই । হুয়াওয়েই সিটি নিয়ে আরেকদিন লিখব ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


