এই গরমে সকালে মুখে রুচি থাকে না । ছোট বেলা থেকে দেখি বড়রা চিড়া ভিজিয়ে তাতে দই আর কলা চটকে দিব্যি খাচ্ছেন । কোথাও চিড়ার সাথে খেজুর বা আখের গুড় ডলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন । একসময় আমিও ঐ পথ ধরলাম এবং আমার সারাটি দিন কি শীতল গেল । যে কটি জিনিষ উল্লেখ করলাম তাতে মহা উপকার আছে কি হজমে কি উদ্দীপনায় । যাদের কোন উপায় নেই দই কলা আয়োজনের তারা রাতে ভেজানো পান্তা ভাত মরিচ ডলে খেয়ে নেয় । পেয়াজের এখন এতো দাম যে উচ্চারনেও ভ্যাট দিতে হয় । পান্তা বিশেষ করে আতপ চালের ফারমেনটেড হয়ে শরীরে একটা ম্যাজমেজে আলস্যি এনে দেয় । আমাদের কিষানদের জিজ্ঞাসা করতাম তোমাদের কি ম্যাজম্যাজ করে । দেঁতো হাসি দিয়ে বলত শরীরে বলবর্ধক এই পান্তা , মরিচ , পেয়াজ মাঠে শরীরে তাকত আনে , কাজকাম মনোযোগ দিয়ে করি । কিষাণরা ভোরে জমিতে নামলে সকাল ১০টা নাগাদ তাদের ভাত তরকারি বা পান্তা আইলে বসে খেত । আমরা দক্ষিণে পোঁদ আতপ চাল ছাড়া খেতে পারি না । ৯৫ সালে চিংড়ি ঘের করার সময় মাছ ওঠানোর সময় আসত পূর্ণিমা এবং অমাবশ্যায় । আমি যেতাম এবং সকালে পান্তা খেয়ে ঢুলতাম । ঘুমিয়ে নিতাম কিছু সময় । দক্ষিণে কিলোমিটারের ওপর ফাকা জমির ওপর দিয়ে আসা ঠাণ্ডা হাওয়ায় একদম মজে যেতাম । একটা সময় এপ্রিল মে মাসে চিড়া কলা বা দই কম্পুলসারি হয়ে গেল । এখন ডায়াবেটিসে ঘায়েল হয়ে এক দুদিন হয়ত খেলাম একটা টেনশন নিয়ে । তবু ভাল আছি , বেশ আছি ।
আপনাদের কথা বলুন , শুনি ।
ছবি গুগল থেকে নেয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৯