
জয় বাংলা বাংলার জয় গানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় আমায় উদ্দিপ্ত করত । গানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাজতো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সূচনা সঙ্গীত হিসাবে । জন্ম আমার ধন্য হল মাগো কি যে প্রেরনা জোগাত লিখে বোঝানো যাবে না । সাবিনার সুরেলা কণ্ঠ এই গানকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় স্থাপন করেছে ।
তখন জানা হয়নি গান কারা বা কে লিখেন । আরও বেড়ে ওঠার সাথে সাথে জানতে শুরু করলাম গান একজন লেখে , একজন গায় , এর মাঝে আরেকজন সুর না করে দিলে অসম্পূর্ণ থাকে ব্যাপারটা । গাজী সাহেব লিখেছেন ২০ হাজারের বেশি গান। তাঁর লেখা গান গীত হয়েছে সকল খ্যাতনামা শিল্পীর কণ্ঠে। তার গান লেখা শুরু সেটা ১৯৬৩ সালের কথা,যখন তিনি ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র।তার প্রথম লেখা গানে সুর করেছিলেন নাজমূল হুদা বাচ্চু আর শিল্পী ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন।গানটি ছিল ‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’। ১৯৬৪ সাল থেকে তার গান নিয়মিত বাজাতো রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রে। তারপর লিখেছেন টেলিভিশনের জন্য জন্মলগ্ন থেকে। চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম গান লেখেন ১৯৬৭ সালে,ছবির নাম ছিল আয়না ও অবশিষ্ট।
তাঁর বহুমুখী প্রতিভার প্রকাশ হতে থাকে যখন তিনি গানের পাশাপাশি সংস্কৃতির অন্যান্য শাখায় বিচরণ শুরু করেন।চলচ্চিত্রে সংলাপ,কাহিনী, চিত্রনাট্য লিখে দক্ষতার সাক্ষর রাখেন। এরপর হাত দেন চলচ্চিত্র পরিচালনায়।১৯৮২ সালে মুক্তি পায় প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক। পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ৪১ টি ছবিতে।
তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১১০।একুশে পদক পেয়েছেন ২০০২ সালে,স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন ২০২১ সালে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি পাঁচবার।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার এর জন্ম কুমিল্লার দাউদকান্দি'র তালেশ্বর গ্রামে ১৯৪৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি।
আজ সকালে (সাড়ে ছয়টা দিকে) ঘুম ভাঙার পর বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে যান তিনি। এরপর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আমাদের মন ও মননের পুরোটা জুড়ে থাকবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার । শ্রদ্ধা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




