
মাশা আমিনি একজন কুর্দি মুসলিম । ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে মাশা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের ধর্মীয় পুলিশ। আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি অচেতন হয়ে যান। তিনদিন কোমায় থাকার পর গত শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই ইরানে হিজাব বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মাশাকে গ্রেফতারের সময় তার মাথায় আঘাত ও গাড়ির সাথে ঠুকে দেয় বদমাশ পুলিশ । গতকাল বিক্ষোভ আগুনে রুপ নেয় । হিজাব খুলে আগুন দিয়েছে ইরানী বিপ্লবী মহিলারা । আয়াতুল্লাহদের আস্তানা থেকে একজন চ্যালা গেছে মাশার বাড়িতে সান্ত্বনা দিতে । নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, মাশা আমিনি হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু আমিনির পরিবার জানিয়েছে, তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং সবল ছিলেন। মাশা আমিনির বাড়ি কুর্দিস্তানের শহরে বিক্ষোভে ৩ জন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে । আধুনিক পন্থীরা এখন বলছে এই বর্বর পুলিশ তৈরির ধারনাটা ভুল ছিল । সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তেহরানে নারীরা তাদের মাথার হিজাব খুলে ফেলে দিয়ে চিৎকার করছেন 'স্বৈরাচারীর মৃত্যু চাই''- যে শ্লোগানে ইরানে সাধারণত শীর্ষ নেতাকে বোঝানো হয়। সেখানে আরও শ্লোগান দেয়া হয়, 'বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক চলবে না।' বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন নারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ঘিরে ধরে তার ওপর হামলা করে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের যৌনকর্মী বলেও গালি দিয়েছে পুলিশ। মহিলাদের পরাজিত করার একটা সহজ পদ্ধতি যৌনকর্মী গাল সেঁটে দেওয়া । এই আগুন কোথায় গড়ায় তা দেখার বিষয় ।
আয়াতুল্লাহদের পতনের সময় আসন্ন ।
ছবি বিবিসি / টুইটার
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




