সুলতান’স ডাইনের কাচ্চিতে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সপ্তাহখানেক ধরে দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল। বাইরের খাবার, বিশেষ করে হোটেল-রেস্তোরাঁর গরু-খাসি সমৃদ্ধ যেকোনো বিরিয়ানি জাতীয় খাবার বয়কট করার কথাও বলছেন অনেক নেটিজেন। আমরা খাবার টেবিলে দুদিন আগে একটা ব্যাবসাকে কিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈ চৈ করে বসিয়ে দেওয়া যায় তার প্রমান হাতে নাতে পেলাম তা আলাপ করছিলাম । আমার কন্যা ফোড়ন কেটে বলল দেখ বাবা এই বাড়ির শুরুর খাবার সুলতানের কাচ্চি দিয়ে শুরু হয়েছে । আমি চিৎকার করে বললাম বল কি ? সর্বনাশ !! আমরা ২০২০ এর মার্চ ২৫ তারিখে দুপুরে মালপত্র রেখে লেবাররা চলে গেলেই কন্যা কোথায় জানি ফোন করল । আধা ঘণ্টার মধ্যেই খাবার হাজির । ক্ষুধা ছিল পেটে তাই গোগ্রাসেই খেলাম বিরিয়ানি । আমার প্লেটে খাচার মাংস ছিল । এরপর বহু অকেশনে আমরা কাচ্চি খেয়েছি কিন্তু তা যে সুলতানের জানতাম না । জামাই বলল ওদের বিশাল ব্যাবসা , ওরা কি এভাবেই কুকুরের মাংস দিয়ে ব্যাবসার বারোটা বাজাবে ? আশ্বস্ত হলাম যে ওরা 'ওটা' দেয়নি । গতকাল জাতীয় ভোক্তা পরিষদ জানিয়েছে তারা কাচ্চিতে অন্য প্রাণীর অস্তিত্ব পায়নি । যাক বাবা বাচা গেলো । আজ সকালের গরম খবর হল সুলতান ৩৫% কমে কাচ্চি সাপ্লাই দিচ্ছে । খাব কি খাবনা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি ।
একদিকে ভাল হয়েছে । এখন হোম ডেলিভারিতে সবাই যত্নবান হবে । মেসেজ দেবে প্যাকেটের ভিতর " নিন দাদা এক টুকরো বেশিই দিলাম , তবুও আমাদের ছেড়ে যাবেন না" ।।
দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০১