ঢাকা শহরে বসবাস করা দিনে দিনে ক্রমেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।বাসা থেকে বাইরে বেরুলেই যানজটের দুঃসহ যন্ত্রনা।আবার সারাদিন পর যখন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে ঘরে ফিরি তখন লোডশেডিংয়ের মাত্রাতিরিক্ত অত্যাচার।
পুরো শহরের সবখানে বিঃশৃংখলার ছাপ স্পস্ট। কোথাও কোনো নিয়মের বালাই নেই।যেন অনিয়মি এখানে একমাত্র নিয়ম।জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে বেরুতে হয়।গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবার একমাত্র ভরসা পাবলিক বাস।কিন্তু যারা নিয়মিত এসব বাসে যাতায়াত করেন একমাত্র তারাই জানেন কতটা সংগ্রাম করে তাদেরকে বাসে উঠতে হয়।মহিলাদের ভোগান্তির কথা আর নাইবা বললাম।টিকেট কেটেও যুদ্ধ করে বাসে উঠতে হয়।তাহলে টিকেটের দরকারটা কি?অনেক সময় দেখা যায় টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়াবার পরেও যেই বাস আসলো ওম্নি সবাই লাইন ভেঙ্গে হুড়হুড়ি করে বাসে উঠবার অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হল।বলাই বাহুল্য,বয়স্ক ও মহিলারা সেই অসম যুদ্ধে বরাবরি পরাজিত।তবে এর কিছু ব্যতিক্রমও আছে।সম্প্রতি বনানীর কাকলীতে দেখলাম কিছু বাসে কঠোরভাবে লাইন মেইনটেন করা হচ্ছে।
সবাই কি সুন্দর সারিবদ্ধভাবে লাইন মেনে বাসে উঠছে।উল্টো কেও লাইন ভেঙ্গে উঠতে চাইলে সবাই একসাথে তীব্র প্রতিবাদ করছে।এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে আমরা চাইলেই অনেক ভালোকিছু করতে পারি।সেজন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা আর সকলের আন্তরিক সহায়তা।এবার বাস চালকদের সম্পর্কে কিছু কথা।তাদের সবাইকে মনে হয় যেন একেকজন ফরমুলা ওয়ানের চ্যাম্পিয়ন!বাস কে প্লেনের গতিতে উড়িয়ে নেয়াটাই তাদের একমাত্র স্বপ্ন।মাঝে মাঝে এত জোরে হারড-ব্রেক করে যে তখন দাড়ান যাত্রীদের একজন আরেকজনের গায়ে হুমরি খেয়ে পড়তে হয়।ব্রেক করবার সময় ড্রাইভারদের মনেই থাকেনা যে, বাসের অর্ধেক যাত্রী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।বেপরোয়াভাবে বাস চালানই সড়ক দুরঘটনার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী।
সময় এসেছে সচেতন হবার। অনিয়ম আর কত?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




