মানবজাতির যাবতীয় মন্দ কাজ শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে!!
প্রশ্নঃ ইবলিসকে মন্দ কাজের প্ররোচনা কে দেয়?!! কার প্ররোচনায় পরহেজগার ইবলিস প্রথম মন্দ কাজ তথা অহংকারী হয়ে আল্লাহ্র আদেশ সরাসরি অমান্য করে আদমকে সেজদা করতে অস্বীকার করেছিল?!!
এই বিষয়ে আমরা কোরআনের সূরা আরাফের ১৬ নাম্বার আয়াতে দেখি...
"সে (ইবলিস) বলল, ‘আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, সে কারণে অবশ্যই আমি তাদের জন্য আপনার সোজা পথে বসে থাকব।"
এখানে ইবলিস সরাসরি আল্লাহকে দোষারোপ করে বলেছে "আপনি (আল্লাহ্) আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন"! এবং ইবলিসের এই অভিযোগ আল্লাহ্ অস্বীকার করে নাই!! এখানে থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে পরহেজগার ইবলিসকে স্বয়ং আল্লাহ্ই মন্দ কাজে প্ররোচিত করে পথভ্রষ্ট করেছেন!! এক্ষেত্রে ইবলিসের দোষ কোথায়?!
আল্লাহকে কখনই কেউ দেখে নাই! তার অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারে নাই!! তারপরেও শুধুমাত্র কোরানের বাণীতে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে বিশ্বাসীরা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং প্রচন্ড রকমের ভয় করে!! এমন কোনো বিশ্বাসী মুমিনকে পাওয়া যাবে না যার মনে আল্লাহ ভীতি বা পরকালের শাস্তির ভীতি নাই!! কথা হলো বিশ্বাসীরা না দেখেই যে আল্লাহকে ভয় করে তার প্রতিটা বিঁধান মেনে চলার অন্তত চেষ্টা করে থাকে!! সেখানে স্বয়ং আল্লাহ্র সামনে থেকে এবং স্বয়ং তার মুখ থেকে বলা কোনো আদেশকে অমান্য করার দুঃসাহস বা স্পর্ধা সৃষ্টি জগতের কোনো প্রাণী বা বস্তুর হতে পারে এখন গল্প বিশ্বাসযোগ্য কি?!!
ইবলিস আগুনের সৃষ্টি বলে অহংকার করলো সে মাটির সৃষ্টি মানুষকে সেজদাহ করে নাই!! শয়তানের মতে আগুন উচ্চমানের আর মাটি নিম্নমানের পদার্থ!! প্রশ্ন হলো পদার্থ নিয়া শয়তানের এমন ধারণা ও মূল্যয়নবোধ কি ভাবে ও কেন হলো ?! শয়তান কি ভাবে নির্ধারণ করলো আগুন উচ্চমানের আর মাটি নিম্নমানের পদার্থ!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭