ভাষা শহীদ।
গতকাল রাতে হঠাৎ করে কলমের কালি ফুরিয়ে গিয়েছিল
তাই হয়নি লেখা তোমাদের নামে
অভিনয়ে ঠাসা দু'কলম বাণী।
এখন রাত অনেক গভীর, নিস্তব্ধ পৃথিবী
অভিনেতারা ঘুমিয়ে পড়েছে সবাই, তোমাদের মুখোমুখি বসে-
একটু গল্প করি, তোমাদের স্বপ্নের মৃত্যুর গল্প।
----------------------------------------------------------------------
এখনো মেডিকেলের সামনে দু'মিনিট নিরবে দাঁড়ালে
শো শো গুলির শব্দ ভেসে আসে কানে
রাজপথে প্রতিটি রক্তের বিন্দুর ছাপ যেন জীবন্ত হয়ে উঠে
চারিদিকে মুখরিত হয়, একটি স্লোগান-
"রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"।
------------------------------------------------------------------------
চিত্তরঞ্জন সাহের এক ঝুড়ি বই নিয়ে শুরু
বাংলা একাডেমি হয়ে এখন সোহরাওয়ার্দী মাঠ
বত্রিশ বই থেকে এখনো লক্ষ বইয়ের বহর,
এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই
আপ্লুত হয়ে চোখের জল ফেলে লাভ নেই
যা দেখছো, এর ভিতরে ভাষা প্রেমের অস্তিত্ব নেই
আছে অসীম মুনাফার আয়োজন।
খুবই কষ্ট পাই যখন দেখি ওরা ফুটপাথের ভাষাকে সাহিত্য বলে
আরো বেশি দুঃখ হয় তখন, যখন দেখি-
এক দল শিক্ষিত লোক সেটাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে হাসিমুখে।
এরা ভাষাকে শ্রদ্ধা করে না, ভালবাসে না
এরা ভাষাকে খুন করে ফ্রেব্রুয়ারি এলে।
কবে আর শিখবে এই অধমের দল!
কবে এরা বুঝবে সাহিত্য একটি দেশকে করে তুলে মহান
কবে শিখবে একটি জাতির সমগ্র সত্ত্বা লুকিয়ে থাকে সাহিত্যের ভিতর।
শতাব্দীর পর শতাব্দীর জাগ্রত থাকে সাহিত্যের সেই সুপ্ত লাভা।
এখন বড় সংকুচিত সময়
ফ্যাসিবাদ কুড়ে কুড়ে করছে শেষ ইতিহাস
নব্য গীতে সয়লাব চারিদিক,
নিভু নিভু বায়ান্ন জলন্ত সেই অগ্নি শিখা
জানিনা, আর কতদিন আলো বিলাতে পারবে।
ফজরের আযানের ধ্বনি আসছে ভেসে
এখনই হবে ভোর, সূর্যের আলোয় কেটে যাবে এই অন্ধকার
তবে ভাষার এই অন্ধকার কাটাতে কবে আসবে কলমের রাজবর?
আজ তবে উঠি, অন্য কোন একদিন আবারো মুখোমুখি বসে-
গল্প করবো। শুধু একটুও আশ্বাস দিচ্ছি
করবো না কখনো মিথ্যা অভিনয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:১৩