দেশের গণতন্ত্র এখন কত নিম্নমুখী শাহরিয়ার কবিরের মন্তব্য দেখে অনুমান করা যায়, "দেশে কার্যত বিরুধীদল নেই, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি এখন বিরুধীদলের ভুমিকা পালন করছে!!! গনতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রের গনতন্ত্রের চর্চা কতটা নিম্নমুখী হলে এই রকম বক্তব্য শুনতে হয়!!
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নব ভাঁড় বলেছেন "বিএনপির জায়গা জাতীয় পার্টি দখল করবে!! বর্তমানে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে ভোগা এই সার্কাস পার্টি এ দেশের গনতন্ত্র ধংসের মুল সহযোগী।
একটি দেশের গনতন্ত্রের বিকাশ, গনতন্ত্রের চর্চা ধরে রাখতে হলে প্রথমে প্রয়োজন বাকস্বাধীনতা, কথা বলার সর্বোচ্চ অধিকার, দ্বিতীয় শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দল, তৃতীয় ন্যায় বিচার, চতুর্থ সুশীল সমাজ।
আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থান ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, কথা বলার স্বাধীনতা দিনকে দিন সংকুচিত হচ্ছে, ক্ষমতাসীনদের নিপীড়নে প্রধান বিরোধীদল আজ দিশেহারা, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ক্ষমতাসীনরা তৈরি করেছে কার্টুন বিরোধী দল, ন্যায় বিচার এখন ডুগরে কাঁদে, আর সুশীল সমাজের জায়গায় সৃষ্টি হয়ে চুশীল সমাজ যাদের প্রধান কাজ এখন দালালি করা।
আমার এই মাতৃভুমিতে জানি না কবে আবার গনতন্ত্রের সূর্য উঁকি দিবে, জানি না কবে বহুদলীয় গনতন্ত্রের চর্চা আবার কবে শুরু হবে।
শিরোনামের সাথে লেখার মিল না থাকার জন্য দুঃখিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৩