দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল।
এক সময় স্বাভাবিকভাবে সার্কের কার্যক্রম চলতো, যদিও ধীর গতিতে এগুচ্ছিল তবুও আশা জাগানিয়া কিছু কাজ হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ ভারতের মসনদে আবির্ভূত হল নব্য ধর্মীয় উগ্রবাদী, গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতার সুসংগত করতে ধর্মীয় উগ্রতা ছড়িয়ে দিল আর তার জন্য প্রয়োজন ছিল পাকিস্তান বিরোধী একটি পদক্ষেপ, সার্ক দিয়ে সেই পদক্ষেপ পূর্ণ করলো আর তার সেই হাওয়ায় পাল তুললো আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনিও চেতনার ঔষৎ হিসাবে ব্যবহার করলেন সাথে সার্কের সাথে জিয়াউর রহমানের নাম একটু জোরালোভাবে জড়িত তো আছেই।
একটু ভাবুন তো, ভারত, বাংলাদেশ কি পাকিস্তানের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করেছে? বানিজ্য বন্ধ করেছে?
দিব্যি নিয়মিত পাকিস্তান ভারত রেলপথে ট্রেন যাচ্ছে আসছে। পাকিস্তানের দেওয়া জমিতে বাংলাদেশ স্থায়ী ভবন তৈরি করার জন্য চুক্তি করেছে! তাহলে ভিতরে সব চলছে উপরে উপরে কেন এই বিরোধী মনোভাব? কেন একটি আশা জাগানিয়া জোট সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর করে দেওয়া?
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষের বাস এই অঞ্চলের আটটি দেশে। বিশ্বের অন্যতম বানিজ্য ভূমি এই অঞ্চল। আমাদের অতীত ইতিহাস আমাদের গৌরবময় সমৃদ্ধ দেখিয়ে দেয়, তখন তাবৎ বিশ্বের লোক এখানে এসেছে বানিজ্য করতে এখন এখনকার জনগণ কামলা দিতে তাবৎ বিশ্বে যায়। এর মূল কারণ এই অঞ্চলের মানুষের রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা, ধর্মীয় উগ্রতা, মুর্খতা, সবচেয়ে বড় সমস্যা হল প্রচন্ড ক্ষমতালোভী। মীর জাফর, উমিচাঁদদের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় সামন্য ক্ষমতার জন্য এরা কিভাবে সমগ্র জাতির সাথে বেঈমানি করেছিল।
বিশ্বে এখন অন্যতম আর্কষন হচ্ছে পর্যটন নির্ভর বাণিজ্য, যদি খেয়াল করি তাহলে দেখবো আমাদের এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ অতীত ইতিহাস আছে, প্রাকৃতিক লীলা ভূমি এ অঞ্চল, এই সব কে কেন্দ্র করে যদি একটি বাণিজ্য রুট তৈরি হয় এ অঞ্চলে তাহলে বিশ্বের অন্যতম আর্কষনীয় অঞ্চল হবে এটি।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ অঞ্চল তবুও সঠিক প্রযুক্তি না থাকায়, শক্তিশালী জনবলের না থাকায় এখনো বিশ্বমুখী হয়ে আছে এই অঞ্চলের মানুষ।
এ অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের উচিত হবে খুব দ্রুত সার্ক কার্যকরী করা, একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে জন্ম দেওয়া তাহলে বহিঃবিশ্ব এখানে এসে নাক গলাতে পারবে না, নইলে পাকিস্তান আনবে চীন, ভারত আনবে আমেরিকা আবার পাকিস্তান যাবে আমেরিকা আর ভারত যাবে রাশিয়া এভাবে পরনির্ভরতা নিয়ে বেঁচে থাকবে এ অঞ্চলের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
একটি মজার টুইস্ট দিয়ে শেষ করছি, আমার পরিচিত অনেকে আছেন যারা প্রচন্ড ভারত বিরোধী কিন্তু বছর শেষে ট্যুর কিন্তু ইন্ডিয়াতে!! চমৎকার যুক্তি আছে ভারতের জনগণের সাথে আমাদের বিরোধীতা নয়, সরকারের সাথে বিরোধীতা।
আমরা জনগণ এক, ক্ষমতার লোভে নেতারা আমাদের মাথায় চেতনার বীজ অথবা ধর্মীয় উগ্রতা পুশ করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭