গান আমাদের মনে কোন নতুন অনুভূতির সৃষ্টি করতে পারে না। বরং, যার মনে যা আছে, গান সেটাকেই জাগ্রত করে দেয়। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যখন কোন গান চলে, আমরা ভাবালুতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। সেই গান আমাদের মনের মাঝে কোন না কোন আবেশ তৈরী করে।
মধ্যযুগের প্রখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী তাঁর কিমিয়ায়ে সা'দাত গ্রন্থে বলেছেন যে, আমাদের মন ভাবাসক্তি থেকে মুক্ত নয়; বরং, খোদার প্রেম, নারী প্রেম, সংসারের মোহ, প্রভৃতির কোন না কোন পদার্থের প্রতি মানব-মন আসক্ত ও আকৃষ্ট রয়েছে। তাই, কোন সুললিত কন্ঠের সুমধুর সুর শোনা মাত্র যার মন যেদিকে আকৃষ্ট রয়েছে, তা মনকে আলোড়িত করে। অর্থাৎ, কারো মন যদি খোদার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে, চেতনা-জাগানিয়া গান সেই মনের মাঝে খোদার চিন্তাকে আরো প্রখর করে তোলে।
সেই জন্যে বলা যায়, যে অন্তরে খোদা তা'আলার প্রেমানল বিদ্যমান রয়েছে, সেই আগুনকে আরো প্রজ্বলিত করার জন্যে খোদা-প্রেমবর্ধক গান বা 'সামা' শ্রমণ করা প্রয়োজন। পক্ষান্তরে, যে প্রাণে কোন প্রকার কদর্য আসক্তি লুকানো রয়েছে, সেই প্রাণের সামা শোনা উচিৎ নয়, ইসলামে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, আপনার মনের অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৬