জ্ঞানতাপস রুমী বলেছেন- 'তুমি সমুদ্রের এক ফোঁটা পানি নও, বরং সেই এক ফোঁটা পানিতে পুরো একটি সমুদ্র।'
কোয়ান্টাম ফিজিক্স বলে, আপনি যদি আলো থেকে একটি ফোটন কণা নিয়ে সেটিকে একটি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে নিক্ষেপ করেন, তবে সেই আলো'র ফোটন কণাটি বিশ্বজগতের সমস্ত তথ্য বহন করবে! কোয়ান্টাম ফিজিক্স এই সেই দিন ব্যাপারটি আবিস্কার করেছে। আসলে, এখনো কেউ ব্ল্যাকহোলে কোন ফোটন কণা নিক্ষেপ করা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। কিন্তু, আমাকে অবাক করে, যদি ব্যাপারটা সত্যি হয়ে থাকে, এতো বছর আগে রুমী কিভাবে ব্যাপারটা জানতে পারলেন?
পৃথিবী'র আদ্যিকাল থেকে জ্ঞান বিকশিত হতে হতে আমাদের কালে এসেছে। বিশাল এই জ্ঞানের ভান্ডার আমরা আমাদের মস্তিস্কে বয়ে চলেছি যার কোনটা আমরা জানি, আর কোনটা আমাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। বিজ্ঞানীরা বের করেছেন, এখন পর্যন্ত ১৪ ধরণের জ্ঞান এই পৃথিবীতে বিদ্যমান। এইসব জ্ঞানের উৎস যে মস্তিস্ক আর তার ৮৬ বিলিয়ন নিউরন, সেটার সম্পর্কে আমরা আসলে খুব কমই জানি। আমি জানি না, এখন পর্যন্ত কয়টা নিউরন আমার ব্রেন ব্যবহার করেছে, কোন জ্ঞানটা কোন নিউরনে অবস্থিত। সেগুলোকে বের করার উপায় কি?
রুমী হয়তো জানতেন। তিনি এখন থাকলে হয়তো প্রশ্নের উত্তরগুলো বের করা যেতো।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯