চারদিকে এখন ঝিঁঝিঁপোকারা ডেকে চলেছে। সন্ধ্যা শেষ হয়ে চারপাশে রাতের অন্ধকারের ঘনঘটা। সেই আঁধারে খুব ক্লান্ত কোন মানুষ সেদিকে তাকিয়ে রাতের সৌন্দর্যগুলোর সাথে যুঝতে না পেরে কোন অজানা পথ ধরে চিরঅন্ধকার জঙ্গলে হারিয়ে যায় একদিন।
কিন্তু, সে জানে না, সেই অন্ধকার জঙ্গলে তাকে অনুসরণ করে চলেছে ছোট ছোট কিছু মানুষের দল। তারা এই বনে অনেক আগে থেকেই বাস করছিলো। হয়তো তারা ভবিষ্যতেও এখানেই বেঁচে থাকবে। তার পিছনে ছুটে একটাই প্রশ্ন খুঁজে বেড়াচ্ছে এই অশরীরী মানুষের দলটি, এই নিষিদ্ধ বনে অচেনা এ আগুন্তুক কি চায়?
আমরা যদি সেই অজানা, নামহীন জায়গায় বাস করতাম, তখন কি আমরা পথিকের এই উদ্দেশ্যহীন পথচলা চোখে চেয়ে চেয়ে দেখতে পারতাম? মনে হয় না। কিন্তু, আমরা জানি না, পথিকের সেই রহস্যময় পথচলা বুঝতে আমাদেরকে আবারো ছোটবেলায় ফিরে যেতেই হবে। সেই রহস্যলোভী ছোটবেলাতে ফিরে যেতে তবে বাঁধা কোথায়?
জীবনের অদৃশ্য ইশারায় আমরা স্বার্থের নাগপাশে বাঁধা পড়ে এগিয়ে চলি পিচ্ছিল পথে। মিথ্যায় আচ্ছাদিত সে পথ আমাদের ভুলিয়ে নিয়ে যায় কণ্ঠরোধ করা কোন পরাবাস্তব জগতে। বেঁচে থাকার কোন অবলম্বনের খোঁজে আমাদের সে ভীত পথচলা শেষ হয় না যতদিন না আমরা নতুন কোন পথের সন্ধান পাই।
সেই পথচলায় সঙ্গী হয়ে চারপাশের জীবনযাত্রা তাই বলে আমাদের জন্যে থেমে থাকে না। নীলাকাশ কি আমাদের জন্যে তার রং পাল্টে ফেলে অন্য রং ধারণ করে কখনো? কখনোই না।
তা সে কেন করবে যখন আমরা অলীক মরিচিকা'র পিছনে ছুটে চলেছি? তাই চলো যাই সামনে ছুটে সেই বাঁধন ছিড়ে যা আমাদের শৈশবে ফিরে যেতে বাঁধ সাধে। তবেই না আমাদের বুকের অতল গহ্বরে বাঁধা পড়া আত্মা আলোকিত পথে ধাবিত হবে! সেই পথে ছুটে গিয়ে আরেকটি সুযোগ নিতে বাধা কোথায়, বন্ধু?
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যদি কখনো জীবনের এই আত্মহারা ছন্দটি বুঝতে পারি, হয়তো নীলাকাশে ঊড়াল দিতে আমাদের আর কেউ বাঁধা দিবে না।
ছবিসূত্র: খরগোশের সাথে একটি ছোট্ট মেয়ে, জেপিজি ইমেইজ, Pixaboy, ২৬ জুলাই, ২০১৬, Click This Link
লেখার আইডিয়াঃ ডিপ ফরেস্টের বিভিন্ন গান থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৬