আমার কর্জে হাসানা প্রজেক্ট থেকে কর্জ/ধার পাওয়া মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ১৭-জন লিস্টে রয়েছেন। তাঁদের মাঝে দু'জনের কেইস খুবই ইন্টারেস্টিং।
ঢাকা নিবাসী বৃদ্ধা মহিলা। ঘর ভাড়ার টাকা দিয়ে জীবন চলে। বৃদ্ধার স্বামী একজন আর্মী অফিসার ছিলেন। স্বামীর বানানো ফ্ল্যাটে থাকেন। ছেলে-মেয়েরা তাঁর সাথে থাকেন না। নিজের সন্তানদের নিকট থেকে কিছু পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। ভাড়াটিয়া কয়েক মাস ধরে ভাড়া দিচ্ছে না। আমরা বৃদ্ধা মহিলাকে ৭০,০০০ টাকা কর্জে হাসানা দিয়েছি যা দিয়ে তাঁর কয়েক মাস চলবে। তিনি ১০ মাসের মাঝে টাকাটা ফিরিয়ে দিবেন।
আরেকজন হচ্ছেন একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। কিশোরগঞ্জে বাড়ি। শিক্ষকতার টাকা দিয়ে জীবন চলে না বলে সিজোনাল ফলের ব্যবসা করেন। আমার কাছে ৫০,০০০ টাকা চেয়েছিলেন এইবারে আমের ব্যবসায় হাত দিবেন। আগে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধার নিয়ে ঠকেছেন। আমাদের কর্জে হাসানা প্রকল্প থেকে ৩০,০০০ টাকা দিয়েছি। আরও, ২০,০০০ টাকা ইদের পরে দিবো। আশা করি, তাঁর কাজে লাগবে।
আগের বছরে কর্জে হাসানার টাকা প্রায় ১০০% পরিশোধ হয়েছিলো। সেই সাফল্যের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাচ্ছি। ব্যাংকে টাকা জমিয়ে রাখাটা আমি পছন্দ করি না। এর চেয়ে সেই টাকাটা যদি কারো উপকারে লাগে, তাতেই মনে শান্তি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪১