somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সত্যপথিক শাইয়্যান
অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

এমন ভৃত্যকে নিজের পাশে রাখুন যে আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে শুনবে

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ আমি আপনাদের একটি গল্প বলবো। এই গল্পটি একজন রাজা, তাঁর সভাসদ এবং রাজার ভৃত্যকে নিয়ে। এ যেমন-তেমন ভৃত্য নয়! আমাদের রান্নাঘরে বা খাবার রুমে রাতে বিছানা পেতে শোওয়া ভৃত্যটির মতো তো নয়ই! বরং, সে ছিলো এমন এক ভৃত্য যাকে রাজা নিজ রাজ দরবারের সিংহাসনের পাশে বসার অনুমতি দিয়েছিলেন! বুঝুন কি ছিলো তার মহিমা!

অবশ্য এই নিয়ে রাজ দরবারের সভাসদের গাই-গুই তো লেগেই ছিলো! সেটা যখন অসন্তোষে রূপ নিলো,রাজা করলেন কি একদিন সবাইকে একটি বিশেষ সময়ে আসতে বললেন। নির্দিষ্ট দিনে সবাই এসে উপস্থিত হলেন। সেখানে রাজার ভৃত্যটিও ছিলো।

রাজা তখন নিজের মুকুট মাটিতে নামিয়ে সভাসদদের একে একে ডাক দিয়ে বললেন যে, তারা যেন তাঁর মুকুটটি পা দিয়ে পিষিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। রাজার কথায় সবাই খুব অবাক হলেন! কেউই সেই কাজটি করতে রাজি হলেন না।

এবারে, রাজা তাঁর ভৃত্যকে ডাকলেন। বললেন, সে যেন মুকুটটি পা দিয়ে মাড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলে। ভৃত্যটি নিজের জুতাটি শক্ত করে বেধে মুকুটটি ভাঙতে যাবে, সেই মুহুর্তে, সভাসদ-কোটাল-সেনাপতি সবাই তলোয়ার বের করে ভৃত্যকে ঘিরে ফেলে বললেন- "ওরে হতভাগা! নিমকহারাম! তুই আমাদের রাজার মুকুটকে পায়ে দলে অসম্মান করতে যাচ্ছিস, সামান্য ভৃত্য হয়ে তোর এত্তো বড় সাহস!"

এই বলে তারা যখন ভৃত্যকে মেরে ফেলতে যাবে, তখন রাজা হুংকার দিলেন- "খামোশ! কেউ আমার ভৃত্যকে একটি আঘাতও করবে না।"

সভাসদরা তখন খুব অবাক হলেন। বললেন- "হুজুর, এই হতাভাগা আপনার নিমক খেয়ে নিমক হারামী করতে যাচ্ছিলো! আমরা না থামালে তো সে আপনার মুকুটটাই ভেঙ্গে ফেলতো!"

তখন রাজা বললেন - "সে কোন নিমক হারামি করে নাই! তোমরা এতো দিন ধরে আমার পাশে থেকেও আমার হুকুমের অমান্য করলে! মুকুটটি ভাঙতে অস্বীকৃতি জানালে! আরে, তোমরা তো শ্রদ্ধা করো আমার মুকুটকে! আর, সে? আমার ভৃত্যটি তার প্রভুর মুখ নিঃসরিত বাণীকে অনুসরণ করেছে। অর্থাৎ সে আমাকে ভালবেসেছে, আমার মুকুটকে নয়।"

"এখন বলো, নিমক হারাম কে বা কারা?"







সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলন পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলনের পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লালবদর নীলা ইস্রাফিল এখন বলছেন ও স্বীকার করছেন যে—
জুলাইয়ের সবকিছুই ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন।
মুগ্ধের হত্যাও সেই ডিজাইনের অংশ।

অভিনন্দন।
এই বোধোদয় পেতে দেড় বছর লাগলো?

আমরা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×