
২০২২ সালে, বাংলাদেশ সরকার ৩২৯টি প্রাইভেট আমদানীকারককে ৯১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এখন, এই পরিমাণ চাল আমদানি যদি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যাবস্থার আওতায় নিয়ে এসে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানিতে বিনিয়োগ করে যৌথ ভাবে প্রাইভেট ফার্মগুলোর সাথে মিলে আমদানি করলে, সরকারের যেমন লাভ হতো তেমনি বাজার ব্যবস্থাও সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসতো।
আমি যতটুকু অর্থনীতি বুঝেছি, তাতে চারটি বিষয় যে কোন অর্থনীতিতে অগ্রগণ্য। সেগুলো হচ্ছে- উৎপাদন, আমদানী, রপ্তানি এবং বিক্রয়। একটি দেশের জনগণের চাহিদা মিটাতে সেই দেশের ভূমিতে যতটুকু পারা যায়, উৎপাদন করা হবে। উৎপাদন করার পরে যদি দেখা যায় চাহিদা এবং বিক্রয়ের পরিমাণে গড়মিল আছে, তখন আমদানি বা রপ্তানী করা হয়। বাড়তি পণ্য থাকলে তা রপ্তানি বা মজুদ করা হয়, আর ঘাটতি থাকলে আমদানি কয়ে চাহিদা যোগান দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ হয়ে উঠছে দিন দিন। ২০২২ সালে আমাদের দেশে ৯৬.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয় যা ২০২১ সাল থেকে ৩৫.৪২ ভাগ বেশি। ২০২১ সালে যে পরিমাণ আমদানি করা হয় তা ২০২০ সাল থেকে ২০% বেশি।
৯৬.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করার পরে, এই পণ্য থেকে যদি গড়ে ২৫% মুনাফা আসে, তাহলে, প্রায় ২৩.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা আসার কথা। এ থেকে বাংলাদেশ সরকার যদি ৫০% বিনিয়োগ করে, তাহলে শুধু আমদানি খাত থেকেই বছরে ১২৮২.৫০ বিলিয়ন টাকার মুনাফা আসবে যা দিয়ে জনগণের মান উন্নয়নে ব্যায় করতে পারতো।
আমদানি খাটে এই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যবস্থা সফল হলে পরবর্তীতে রপ্তানী ও উৎপাদন খাতেও সরকার বিনিয়োগ করে দেখতে পারে। এটা শুধুই একটি আইডিয়া। এর সাথে অর্থনীতির কোন সূত্রের যোগাযোগ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



