.
...
.......
নবীজির রওজার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। আমার মেয়ে আর স্ত্রীর প্রথম নবীজির রওজায় দোয়া চাওয়ার জন্যে আসা। হঠাৎ-ই একজন বাংলাদেশী আমার কাছে আসলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন - একটু কথা বলতে পারি? আমি নরসিংদীর মানুষ।
হাল্কা-পাতলা মানুষটা জানালেন, দালালকে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে সৌদিতে এসেছেন। দালাল বলেছিলো কাজ দিবে, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ কাটানোর পরেও কাজ দিতে পারেনি। আপনি কি আমাকে একটু ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন? এই কথা বলে লোকটা তার শার্ট উঠিয়ে পেট দেখালো। ভাতের অভাবে তার পেটে - বুকে লেগে গিয়েছে। একই অবস্থা তাদের ২২-২৩-জন মানুষের।
আমি তাকে বাংলাদেশ এম্বেসির নাম্বার ইন্টারনেট থেকে খুজে দিলাম। এম্বেসীর পরিচিত একজন অফিসারের নাম দিয়ে বললাম যে, আমার রেফারেন্স দিতে। তাহলে হয়তো কোন সেফ হোমে তার থাকার ব্যবস্থা হবে, হয়তো প্লেনে করে ফিরে যেতে পারবে দেশে। সাথে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আই,ও,এম)-এর নাম উল্লেখ করে বললাম যে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে।
দেখলাম, নুরু নামের লোকটা ইতস্তত করছেন। তারপরে বললেন - দেখি বাকি ২৩ জনের সাথে কথা বলে, ওরা কি বলে। এরপরে মানুষটা আমার কাছে দোয়া চেয়ে চলে গেলেন।
তারপরে বললেন - দেখি বাকি ২৩ জনের সাথে কথা বলে, ওরা কি বলে। এরপরে মানুষটা আমার কাছে দোয়া চেয়ে চলে গেলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



