...
.....
'........ সৌদি আরবে ঊমরাহতে এসেছি আজ ৯ দিন হলো। এই দুই শহরের অনন্য স্থাপত্যশৈলীর মসজিদ্গুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া মনকে আনন্দিত করে তুলে। মনে সাহস আসে, ইচ্ছা করলে মুসলমানরাও অনেক কিছু করে দেখাতে পারে! তবে, যে ব্যাপারটা সত্যিই অভিভূত করে, আমার বাংলাদেশের ভাইদের পদচারনা এইসব মসজিদ্গুলোকে আরো শক্রিশালী করে তুলেছে।
মক্কা মদীনাতে যেসব মসজিদে আমি গিয়েছি, সেসব মসজিদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নিজেদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন আমার দেশের ভাইয়েরা। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিগণ যাওয়ার সময়ে মসজিদ ময়লা করে রেখে যান। অনেকেই খেজুর খেয়ে আঁটি মসজিদ আঙ্গিনায় ফেলে দেন। এতে পিছলে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া মসজিদের ভিতরে অনেকে খাওয়া-দাওয়া করেন। এইসব ময়লা পরিস্কারের দায়িত্বে আমাদের ভাইয়েরা। এছাড়াও, জমজমের পানি আনা-নেওয়া ও তা খেতে সাহায্য করা, মুসল্লীদের রেখে যাওয়া কোরআন শরীফ ঠিক জায়গায় রাখা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে থাকা এখানকার বাংলাদেশীদের দায়িতব।
খোদার ঘরকে এভাবে সুন্দর রাখার কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশী কর্মীগণ। আরো বেশি অবাক হতে হয় তাঁদের আরবী ভাষায় দক্ষতা দেখে! আমাদের দেশে একজন ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীও ভালো করে আরবী বলতে জানেন না। কিন্তু মক্কা মদীনার মসজিদের দায়িত্বে থাকা আমাদের বাংলাদেশী ভাইয়েরা এক্ষেত্রে অনন্য। তাঁরা অনর্গল আরবী বলতে পারেন ও বুঝতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



